ব্রাউজারের ইনকগনিটো মোড আসলে কতটা নিরাপদ

Staff Reporter

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৫৭

ব্রাউজারের ইনকগনিটো মোড আসলে কতটা নিরাপদ

অনলাইনে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অনেকেই ব্রাউজারের ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করেন। অনেকের ধারণা, এতে তারা পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধুই আংশিক সুরক্ষা দেয়। আপনার ব্রাউজিং হিস্ট্রি ও কিছু তথ্য ঠিক থাকলেও নেটওয়ার্ক বা ওয়েবসাইট পর্যায়ে ট্র্যাকিং থেকে এটি আপনাকে রক্ষা করে না।

ইনকগনিটো মোড কী করে

ইনকগনিটো বা প্রাইভেট উইন্ডো চালু করলে ব্রাউজার লোকালভাবে কিছু তথ্য সংরক্ষণ বন্ধ করে দেয়। দেখানো সাইটের ঠিকানা ব্রাউজারের হিস্ট্রিতে থাকে না। সেশনের কুকি ও সাইট ডেটা উইন্ডো বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায়। ফর্মে দেওয়া তথ্য এবং লগ-ইন ডেটাও সংরক্ষিত থাকে না। তবে ডাউনলোড করা ফাইল ও যোগ করা বুকমার্ক থাকে আপনার ডিভাইসে।

ইনকগনিটোতে কী করে না

ইনকগনিটো মানে সম্পূর্ণ গোপন থাকা নয়। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, অফিস বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক প্রশাসক এবং ভিজিট করা ওয়েবসাইটগুলো এখনো আপনার কার্যক্রম দেখতে পারে। আইপি ঠিকানাও প্রকাশিত থাকে, তাই লোকেশন শনাক্ত করা যায়। এছাড়া এটি ভাইরাস, হ্যাকিং বা ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষা দেয় না।

ব্যবহারকারীদের ভুল ধারণা

অনেকে মনে করেন ইনকগনিটো মোডে সব ধরনের ট্র্যাকিং থেকে মুক্ত থাকা যায়। কিন্তু বাস্তবে এটি কেবল ব্রাউজারের হিস্ট্রি মুছে দেয়। নেটওয়ার্ক স্তরে নজরদারি বা অনলাইন আক্রমণ থেকে এটি রক্ষা করে না।

বেশি গোপনীয়তার উপায়

যদি সত্যিই অনলাইনে গোপন থাকতে চান, ভিপিএন ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ট্রাফিক এনক্রিপ্ট করে এবং আইপি ঠিকানা লুকায়। টর ব্রাউজারও ব্যবহার করা যেতে পারে, যা অতিরিক্ত গোপনীয়তা দেয়। গোপনীয়তামুখী সার্চ ইঞ্জিন বা ব্রাউজারের কঠোর ট্র্যাকিং প্রতিরোধও সাহায্য করতে পারে।

সতর্ক থাকা জরুরি

ইনকগনিটো মোড কেবল ডিভাইস পর্যায়ের নিরাপত্তা দেয়। তাই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, পাসওয়ার্ড বা আর্থিক লেনদেনে সব সময় সতর্ক থাকা জরুরি। প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও সচেতনতা না থাকলে অনলাইন কার্যক্রম পুরোপুরি নিরাপদ হয় না।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া