বিশ্বজুড়ে চাহিদাসম্পন্ন ৮ প্রযুক্তিগত দক্ষতা

Staff Reporter

নিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৫

বিশ্বজুড়ে চাহিদাসম্পন্ন ৮ প্রযুক্তিগত দক্ষতা

বর্তমান প্রযুক্তি যুগে শুধু সিলিকন ভ্যালি বা বড় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নামেই সীমাবদ্ধ সাফল্য নয়। রিমোট কাজ, বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের যুগে দক্ষতা আর উদ্যমই হলো মূল চাবিকাঠি। এখন যেকোনো প্রান্ত থেকে সঠিক দক্ষতা অর্জন করে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার তৈরি করা সম্ভব। এই লেখায় ৮টি প্রযুক্তিগত দক্ষতা নিয়ে আলোচনা করা হলো, যা বিশ্বজুড়ে চাহিদাসম্পন্ন এবং ক্যারিয়ার গতি বদলে দিতে পারে।

১. ডেটা অ্যানালাইসিস

ডেটা এখন যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল হাতিয়ার। এক্সেল ও মৌলিক পরিসংখ্যান দিয়ে শুরু করে পাইথন বা ট্যাবলো ব্যবহার করে আরও উন্নত পর্যায়ে দক্ষতা অর্জন সম্ভব। কার্যকর সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য দক্ষ ডেটা বিশ্লেষক এখন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অমূল্য সম্পদ।

২. কোডিং ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট

মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট বা ফিনটেক সিস্টেম সফটওয়্যার সকল প্রযুক্তির মেরুদণ্ড। পাইথন ও জাভাস্ক্রিপ্টের মতো ভাষা ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে নিজেকে প্রমাণ করা সম্ভব। গিটহাব ও রিপ্লিটের মতো প্ল্যাটফর্ম সাহায্য করে দক্ষতা প্রদর্শনে।

৩. সাইবার নিরাপত্তা

ডিজিটাল ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের চাহিদাও বেড়েছে। নেটওয়ার্ক বোঝা, দুর্বলতা শনাক্ত করা ও নিরাপদ ব্যবস্থা তৈরি করা মূল দক্ষতা। সার্টিফিকেশন যেমন CompTIA Security+, CEH দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখায়।

৪. ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন

কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা ভালো হলে, তা দক্ষ ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনারদের কৃতিত্ব। ব্যবহারকারীর মন বোঝা, গবেষণা করা ও তথ্য বিশ্লেষণ করে সেরা ডিজাইন তৈরি করা হয়। ফিগমা, অ্যাডোব এক্সডি-এর মতো ফ্রি টুল ব্যবহার করে শেখা সম্ভব।

৫. ক্লাউড কম্পিউটিং

অফলাইন সার্ভারের যুগ শেষ। এডব্লিউএস, মাইক্রোসফট আজুর ও গুগল ক্লাউডে দক্ষতা অর্জন করে ওয়েব হোস্টিং থেকে বড় প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেস পরিচালনা করা যায়। স্টার্টআপ থেকে বড় সংস্থা পর্যন্ত সবাই ক্লাউড প্রযুক্তির উপর নির্ভর করছে।

৬. ডিজিটাল মার্কেটিং ও এসইও

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, বিজ্ঞাপন, ই-মেইল ক্যাম্পেইন ও কনটেন্ট মার্কেটিংয়ে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা অপরিহার্য। গুগল ও হাবস্পটের ফ্রি কোর্স ব্যবহার করে অভিজ্ঞতা অর্জন সহজ।

৭. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং

এআই এখন গবেষণাগার ছাড়িয়ে দৈনন্দিন জীবনের অংশ। নিউরাল নেটওয়ার্ক, চ্যাটবট, প্রেডিকশন মডেলসহ সব ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন সম্ভব ওপেন সোর্স ডেটা ও ফ্রি কোর্সের মাধ্যমে।

৮. নো-কোড ও লো-কোড টুলস

কোড না শিখেও অ্যাপ তৈরি বা ব্যবসা স্বয়ংক্রিয় করা সম্ভব। ওয়েবফ্লো, জ্যাপিয়ার, গ্লাইডের মতো প্ল্যাটফর্মে শুধু আইডিয়া থাকলেই তা বাস্তবায়ন করা যায়। ব্যবহারকারীর প্রয়োজন বোঝা ও লজিক ম্যাপিং মূল দক্ষতা।

এই ৮ দক্ষতা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে অর্জন ও কাজে লাগানো সম্ভব। শুধু একটি ল্যাপটপ, ইন্টারনেট কানেকশন এবং নিয়মিত অনুশীলনই আপনাকে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ারে পৌঁছে দিতে পারে।

সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া