পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন কাজে লাগানোর ৫ উপায়
পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফেলে রাখার দরকার নেই। এই যন্ত্রগুলোকে পুনর্ব্যবহার করে ই-মেইল, গেমিং, ওয়াই-ফাই, ব্যাকআপ এবং ভিডিও কলের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব। তাই পুরনো ফোনগুলোকে আরও কার্যকর করে তোলার জন্য জেনে নিন ৫টি দারুন উপায়।

১. সাইকেল হেড-আপ ডিসপ্লে
পুরনো ফোনকে হেড-আপ ডিসপ্লে হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে নেভিগেশন, মিউজিক এবং পডকাস্ট চালানো সম্ভব। চাইলে ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড অটো ডিসপ্লে হিসেবেও ব্যবহার করা যায়, যা সাইকেল চলাকালীন নিরাপদ ও সুবিধাজনক।
২. স্বয়ংক্রিয় ফাইল ব্যাকআপ
পুরনো ফোনকে পোর্টেবল হার্ড ড্রাইভের মতো ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাকআপ করা সম্ভব। সিনকথিং-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করে ফোনের ফাইলকে মিরর করা যায়, যাতে কোনো ডেটা হারানো না যায়।
৩. পোর্টেবল গেমিং কনসোল
পুরনো ফোনকে মোবাইল গেমিংয়ের জন্য ব্যবহার করা যায়। রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে ফোন ব্যবহার করে নিংটেন্ডো সুইচ-এর মতো অভিজ্ঞতা পাওয়া সম্ভব। ব্যাটারি সমস্যাও থাকবেনা, কারণ এটি প্রধান ফোনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
৪. ওয়াই-ফাই রিপিটার
পুরনো ফোনকে ওয়াই-ফাই সিগন্যাল সম্প্রসারণের জন্য ব্যবহার করা যায়। এটি বিশেষভাবে ঘরের সেই কোনাগুলোর জন্য কার্যকর, যেখানে ইন্টারনেট সিগন্যাল কম থাকে।
৫. ওয়েবক্যাম
পুরনো ফোনকে ইউএসবি-এর মাধ্যমে ওয়েবক্যাম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ফোনের ফ্রন্ট বা রিয়ার ক্যামেরা ল্যাপটপের ক্যামেরার তুলনায় অনেক বেশি রেজোলিউশন প্রদান করে, যা জুম বা গুগল মিটে ব্যবহারযোগ্য।
পুরনো ফোনের ব্যবহার সীমিত নয়। এটি মিউজিক, পডকাস্ট, স্মার্ট হোম রিমোট বা ই-বুক রিডার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। সৃজনশীলতার উপর নির্ভর করে, একটি পুরনো ফোনকে সহজেই নতুনভাবে কাজে লাগানো সম্ভব।