নিজেকে অনলাইনে অদৃশ্য রাখার ৫ উপায়

Staff Reporter

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:২৫

নিজেকে অনলাইনে অদৃশ্য রাখার ৫ উপায়

আমরা ইন্টারনেটে প্রবেশ করলে প্রায় সব কাজই ট্র্যাক করা হয়। অনেকেই মনে করেন, প্রাইভেট ব্রাউজিং বা হিট্রি মুছে ফেলা তাদের নিরাপদ রাখে। কিন্তু বাস্তবতা এমন নয়। প্রতিটি অ্যাপ খোলা, ওয়াই-ফাই ব্যবহার, সার্চ করা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অংশ নেওয়ার তথ্য নীরবভাবে সংগ্রহ হয়। এই তথ্য থেকে তৈরি হয় ডিজিটাল পরিচয়, যা হ্যাকার বা কোম্পানিরা সহজেই ব্যবহার করতে পারে। তাই সত্যিকারের অজ্ঞাত পরিচয় ধরে রাখতে কৌশল জানা দরকার।

১. জিরো-লগ ভিপিএন ব্যবহার করুন

জিরো-লগ ভিপিএন আপনার আসল আইপি লুকিয়ে দেয় এবং ইন্টারনেট সংযোগকে এনক্রিপ্ট করে। এতে ওয়েবসাইট, বিজ্ঞাপনদাতা বা নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার আপনার কার্যক্রম ট্র্যাক করতে পারবে না। অবশ্যই এমন ভিপিএন বেছে নিন যা ব্যবহারকারীর কার্যক্রম সংরক্ষণ করে না। এটি ডিজিটাল অদৃশ্যতার মূল ভিত্তি।

২. মাল্টি-লেয়ার নেটওয়ার্ক রাউটিং ও পরিচয় আলাদা করুন

একটি স্থির নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর না করে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, সংবেদনশীল ব্রাউজিং-এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইস বা ওয়াই-ফাই ব্যবহার করুন। ব্যক্তিগত গবেষণা বা আর্থিক কাজে ব্যবহৃত ডিভাইস আলাদা রাখুন। এই প্রক্রিয়া আপনার আসল পরিচয় ও কার্যক্রমের মধ্যে সরাসরি সংযোগ ভেঙে দেবে।

৩. ট্র্যাকার ব্লক করুন এবং পরিচয় সংযোগ বন্ধ করুন

ওয়েবসাইট বা অ্যাপে থাকা ট্র্যাকার কুকি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা পিক্সেল ব্যবহার করে বড় পরিমাণে তথ্য সংগ্রহ করে। নিয়মিত কুকি ক্লিয়ার করুন, প্রাইভেসি-ভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করুন। একই ইমেইল বা ইউজারনেম বারবার ব্যবহার করবেন না। এটি আপনার পরিচয় লিঙ্ক হয়ে শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

৪. মেসেজ ও ফাইল এনক্রিপ্ট করুন

এনক্রিপশন তথ্যকে এমন কোডে রূপান্তর করে যা কী ছাড়া পড়া যায় না। গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বা ব্যক্তিগত মেসেজ এনক্রিপ্টেড রাখুন। অটোম্যাটিক ক্লাউড সিঙ্ক বন্ধ করুন, যাতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে না থাকে।

৫. নিয়মিত প্রাইভেসি অভ্যাস গড়ে তুলুন

অ্যাপ পারমিশন রিভিউ করুন, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করুন, পাসওয়ার্ড নিয়মিত পরিবর্তন করুন। ব্যক্তিগত ও অজ্ঞাত পরিচয়ের অ্যাকাউন্ট আলাদা রাখুন। ছোট ছোট সচেতনতা দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হলে ডিজিটাল সুরক্ষা শক্তিশালী হয়।

এভাবে নিয়মিত সচেতনতা ও সঠিক কৌশল ব্যবহার করলে আপনার অনলাইন কার্যক্রম হ্যাকার ও কোম্পানির নজর থেকে অদৃশ্য থাকবে।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া