ডায়াল এডিশন কীবোর্ড এনেছে গুগল জাপান

গুগল জাপানের জি-বোর্ড টিম নতুনভাবে কীবোর্ড তৈরি করেছে। এতে প্রচলিত কী-এর বদলে ডায়াল ব্যবহার করা হয়েছে। এই ডিভাইসটির নাম জি-বোর্ড ডায়াল এডিশন এবং এটি সম্পূর্ণ ওপেন-সোর্স। টিম বলছে, ডিজাইনটি অনুপ্রাণিত হয়েছে রোটারি টেলিফোন ইনপুট পদ্ধতি থেকে, যা বহু বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছে এবং ব্যবহারকারীদের স্মৃতিতে জায়গা দখল করে রেখেছে।
প্রতি বছরের অক্টোবরের শুরুতে, জাপান জি-বোর্ড টিম একটি ঐতিহ্য বজায় রাখে। সফটওয়্যার কীবোর্ডের বাইরে তারা নতুন ফিজিক্যাল কীবোর্ড ডিজাইন করে এবং উৎস শেয়ার করে, যাতে প্রযুক্তি প্রেমীরা নিজে তা বানিয়ে পরীক্ষা করতে পারে। ২০২৪ সালে তাদের একটি কীবোর্ড ছিল যা মোবিয়াস স্ট্রিপ ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত। প্রতিটি প্রকল্পে তারা নকশা, গাইড ও ফাইল শেয়ার করে যাতে উপাদান, প্রিন্টিং ও অ্যাসেম্বলি সহজ হয়।
জি-বোর্ড ডায়াল এডিশন ব্যবহারকারীর ইনপুট অভিজ্ঞতাকে নতুন ভঙ্গিতে তুলে ধরেছে। এতে আছে প্রধান কিউডব্লিউইআরটিওয়াই (QWERTY) ডায়াল, যা ঘুরিয়ে দ্রুত টেক্সট ইনপুট নেওয়া যায়। গুগল বলছে, এই কীবোর্ডে কনসেন্ট্রিক রিং ব্যবহার করা হয়েছে। এতে রেসপন্স টাইম কমে আসবে। পাশাপাশি আলাদা ডায়াল রাখা হয়েছে যাতে গুরুত্বপূর্ণ কী ক্লাস্টারে সমান্তরাল ইনপুট করা যায়। এই পদ্ধতি টাইপিং স্পিড বাড়ায় এবং হাত ও কব্জির ওপর চাপ কমায় ফলে দীর্ঘ সময় লেখালেখিতে পেশীর ক্লান্তি ও ক্ষয় কম হবে।
ডায়াল ঘোরালে একটি মসৃন আওয়াজ আসে, যা ব্যবহারকারীর ইনপুটকে ধীর ও মনোযোগী করে। ফলে টাইপিং ভুলও কমে এবং ব্যবহারকারী আরও নির্ভুলভাবে লেখার সুযোগ পায়। নতুন ডিজাইনের রূপ পরিচ্ছন্ন, যা স্পর্শবান্ধব অভিজ্ঞতা দেয়। কীবোর্ডে বিভিন্ন রঙ ও ফিনিশের নমুনা দেখানো হয়েছে এবং ফ্যাব্রিক কভারও আছে যাতে এটি ঘরের সাজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া যায়। জী-বোর্ড টিম একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে ক্লোজড ক্যাপশনসহ ডিজাইন ও কার্যকারিতা দেখানো হয়েছে।
রোটারি ফোন যুগের অনুপ্রাণিত মাউস স্ট্যান্ড একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। মাউসটি স্ট্যান্ডে রাখলেই ভিডিও কনফারেন্সে কল হোল্ড, ভিডিও ক্যামেরা বন্ধ করা বা মাইক্রোফোন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই সুবিধা অফিস বা দূরবর্তী কাজের সময় দ্রুত বিরতি নেওয়া ও নিয়ন্ত্রণ সহজ করে।
জি-বোর্ড টিম ভবিষ্যতে ডিজে, পোষা প্রাণী এবং দাইকাগুরা পারফর্মারের জন্য কাস্টম ডায়াল কীবোর্ড তৈরির পরিকল্পনা করছে।
জি-বোর্ড ডায়াল এডিশন দেখিয়েছে, প্রযুক্তি সংস্থাগুলো কেবল সফটওয়্যারেই সীমাবদ্ধ নয়। নতুন ধারণা ও অপ্রচলিত ডিজাইন গ্রহণ করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও সৃজনশীল ও আরামদায়ক করা সম্ভব।
সূত্র : টমস হ্যান্ডওয়্যার