নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের ৭ সেটিংস

Staff Reporter

নিজস্ব প্রতিবেদক

রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৪৫

নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের ৭ সেটিংস
ছবি : মেক ইউজ অব

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করা এখন প্রায় সবাই জানে, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ সেই সেটিংসগুলো ব্যবহার করে না যা নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু শক্তিশালী মাস্টার পাসওয়ার্ড তৈরি করা বা টু-স্টেপ- অথেন্টিকেশন চালু করা যথেষ্ট নয়। কিছু সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস পরিবর্তন করলে আপনার নিরাপত্তা এবং সুবিধা উভয়ই অনেক বেড়ে যাবে।

১. বায়োমেট্রিক আনলক চালু করুন

আপনি যদি আপনার ব্যক্তিগত ফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করেন, তাহলে বায়োমেট্রিক আনলক চালু করা উচিত। এটি একটি আঙুলের ছাপ, মুখের শনাক্তকরণ বা অন্য কোনো নিরাপদ হার্ডওয়্যার-ভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করে লগ-ইন করার সুবিধা। এতে আপনাকে প্রতিবার মাস্টার পাসওয়ার্ড টাইপ করতে হবে না। তবে কেবল বিশ্বাসযোগ্য ডিভাইসে এই সেটিংস ব্যবহার করুন। ব্যক্তিগত ফোন, ল্যাপটপ বা অফিসের অনুমোদিত কম্পিউটারে বায়োমেট্রিক দ্রুত এবং নিরাপদ। এছাড়া এটি সহজ বা দুর্বল পাসওয়ার্ড পুনরায় ব্যবহার করার প্রলোভনও কমায়।

২. নতুন ডিভাইসে এক্সেস সীমিত করুন
যদি কেউ এমন ডিভাইস ব্যবহার করে যা আপনি আগে ব্যবহার করেছেন, সে সহজেই আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারে। ভালো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার নতুন ডিভাইস থেকে লগ-ইন ব্লক করে যতক্ষণ আপনি নিজেকে যাচাই না করেন। সাধারণত এটি ই-মেইল, পুশ নোটিফিকেশন বা অন্য অনুমোদিত পদ্ধতির মাধ্যমে হয়। এটি একটি অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্তর। মাস্টার পাসওয়ার্ড চুরি হলেও নতুন ডিভাইস যাচাই না হলে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না।

৩. অটো-ফিল পারমিশন পরীক্ষা করুন
অটো-ফিল সুবিধাজনক, কিন্তু এটি নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। কিছু ম্যানেজার ডিফল্টভাবে প্রায় সব ওয়েবসাইট বা অ্যাপে আপনার ক্রেডেনশিয়াল ফিল করার অফার দেয়। এটি ফিশিং পেজের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। নিরাপদ উপায় হলো অটো-ফিলকে কেবল সঠিক ওয়েবসাইটে সীমিত রাখা বা সংবেদনশীল ক্রেডেনশিয়াল পূরণের আগে ম্যানুয়াল কনফার্মেশন চাওয়া। প্রতিটি সাইটের জন্য এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

৪. ব্রিচ মনিটরিং এবং পাসওয়ার্ড হেলথ রিপোর্ট চালু করুন

যদি ওয়েবসাইটে ডেটা লিক হয়, শক্তিশালী পাসওয়ার্ডও ঝুঁকিতে পড়ে। আধুনিক পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে ব্রিচ মনিটরিং সুবিধা রয়েছে  । এটি আপনার সেভ করা লগ-ইন কোনো পরিচিত ডেটা লিকে মিললে সতর্ক করে দেবে। পাসওয়ার্ড হেলথ রিপোর্ট দুর্বল, পুনরায় ব্যবহার করা বা পুরনো পাসওয়ার্ড চিহ্নিত করে এবং পরিবর্তনের জন্য নির্দেশ দেয়। একবার এটি চালু করলে নিয়মিত আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

৫. লগ-ইন অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করুন
যদি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সবসময় লগ-ইন অবস্থায় থাকে, কেউ আপনার ডিভাইস ব্যবহার করলে তা খুলে দিতে পারবে। তাই সেশন টাইমআউট ঠিক করা জরুরি। এটি নির্ধারণ করে কতক্ষণ ভল্ট আনলক থাকবে এবং পুনরায় মাস্টার পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক চাওয়া হবে। সংক্ষিপ্ত টাইমআউট বেশি নিরাপদ, তবে বারবার লগ-ইন করতে হতে পারে। ভালো ভারসাম্য হলো কয়েক মিনিট নিষ্ক্রিয়তার পরে স্বয়ংক্রিয় লক করা।

৬. ভল্টের সংগঠন স্পষ্ট করুন
অগোছালো ভল্ট ধীরগতি আনে এবং ভুল লগ-ইনে ক্লিক করার ঝুঁকি বাড়ায়। ভল্টের একাউন্টগুলো স্পষ্টভাবে লেবেল ও গ্রুপ করলে ফিশিং সাইটে বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। ফোল্ডার, ট্যাগ বা ক্যাটেগরি ব্যবহার করুন। প্রায়শই ব্যবহৃত একাউন্ট পিন করুন। এটি দ্রুত অ্যাক্সেস এবং নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করে। 

৭. জরুরি এক্সেস কনফিগার করুন
জীবন অপ্রত্যাশিত। কখনো কখনো বিশ্বস্ত কাউকে আপনার একাউন্টে অ্যাক্সেস দিতে হতে পারে। অনেক পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ‘জরুরি এক্সেস’ ফিচার দেয়। এটি ব্যবহার করলে আপনি আগে থেকেই একটি বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে আপনার ভল্টে প্রবেশের অনুমতি দিতে পারেন।

সেট আপ করলে একটি ওয়েটিং পিরিয়ড থাকে। আপনার অনুমোদন ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এটি দুর্ঘটনাজনিত বা অননুমোদিত ব্যবহার আটকায়।

সূত্র : মেক ইউজ অব