পাসকি ব্যবহার করে জিমেইল অ্যাকাউন্ট আরও সুরক্ষিত রাখার উপায়
						ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি এখন পাসওয়ার্ড ফাঁস বা হ্যাকিং। এই সমস্যার সমাধানে গুগল নিয়ে এসেছে নতুন প্রমাণীকরণ ব্যবস্থা ‘পাসকি’। পাসওয়ার্ড ছাড়াই বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে লগ-ইন করা যায় এই প্রযুক্তিতে। এতে জিমেইলসহ গুগলের সব সেবায় নিরাপত্তা বাড়বে বহুগুণে।
পাসকি কী ?
পাসকি হলো এক ধরনের ডিজিটাল শনাক্তকরণ ব্যবস্থা, যা ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে এনক্রিপটেড কী ব্যবহার করে। এটি ব্যবহারকারীর নিজস্ব ডিভাইসে নিরাপদভাবে সংরক্ষিত থাকে। পাসওয়ার্ডের মতো এটি কোনো ওয়েবসাইটে লেখা বা পাঠানো হয় না, ফলে হ্যাকিং বা অনুমতিহীন প্রবেশের আশঙ্কা থাকে না। গুগল শুধু একটি ‘পাবলিক কী’  সংরক্ষণ করে, যা ব্যক্তিগত ‘প্রাইভেট কী’ ছাড়া কোনো কাজে আসে না।
এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর আঙুলের ছাপ, মুখের স্ক্যান বা ডিভাইস আনলক করার মাধ্যমে যাচাই সম্পন্ন হয় এবং এসব তথ্য কখনোই গুগলের সার্ভারে পাঠানো হয় না।
কীভাবে পাসকি চালু করবেন
পাসকি সেটআপ করতে সময় লাগে মাত্র কয়েক মিনিট। ধাপে ধাপে যা করতে হবে-
- আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন-ইন অবস্থায় myaccount.google.com/signinoptions/passkeys
-এ যান। - পরিচয় যাচাইয়ের জন্য পাসওয়ার্ড দিন।
 - ‘ক্রিয়েট এ পাসকি’ অপশনে ক্লিক করুন।
 - পপ-আপ উইন্ডো এলে ‘কনটিনিউ’ নির্বাচন করুন।
 - ব্রাউজার যখন অনুমতি চাইবে, তখন ‘অ্যালাউ’ দিন।
 - অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহার করলে ‘আইক্লাউড কি-চেইন’ চালু রাখুন।
 - শেষে আপনার ডিভাইসের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস রিকগনিশন, বা স্ক্রিন লক দিয়ে যাচাই সম্পন্ন করুন।
 
লগ-ইন করার সময় ব্যবহারের নিয়ম
পাসকি সক্রিয় করার পর লগ-ইন প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়। গুগলের লগইন পেজে গিয়ে ই-মেইল ঠিকানা লিখলেই হবে; এরপর পাসওয়ার্ড টাইপ করার পরিবর্তে ডিভাইস আনলক করতে বলা হবে। আঙুলের ছাপ বা মুখের স্ক্যান দিলেই আপনি নিরাপদভাবে সাইন-ইন হয়ে যাবেন; পাসওয়ার্ড মনে রাখার প্রয়োজন নেই এবং দুই স্তরের যাচাইয়ের কোডেরও দরকার নেই।
কেন পাসকি বেশি নিরাপদ
পাসকি লেখা যায় না, ফিশিং করা যায় না এবং ডেটা ফাঁসের মাধ্যমে চুরি করাও সম্ভব নয়। ফলে এটি প্রচলিত পাসওয়ার্ড বা এমনকি টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের  চেয়েও নিরাপদ বিকল্প।
গুগল জানিয়েছে, ভবিষ্যতে সব ব্যবহারকারীকে ধীরে ধীরে এই পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হবে, যাতে অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলো আরও শক্ত নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনা যায়।
সূত্র : টাইস অব ইন্ডিয়া