এক্সে যুক্ত হলো অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য দেখার সুবিধা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স ব্যবহারকারীদের পরিচয় আরও স্বচ্ছভাবে দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে। প্ল্যাটফর্মটিতে ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে ‘অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে’ বিস্তারিত দেখার নতুন একটি সুবিধা। ব্যবহারকারীরা তাদের প্রোফাইল থেকেই জানতে পারবেন অ্যাকাউন্টের অবস্থান, কতবার নাম বদলানো হয়েছে কিংবা এক্স অ্যাপ কোন মাধ্যম থেকে ডাউনলোড করা হয়েছে। ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও বট শনাক্ত করতেই মূলত এই ব্যবস্থা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্কের পরিকল্পনায় নতুন সুবিধাটির ঘোষণা আসে গত অক্টোবরে। তখন এক্সের পণ্য বিভাগের প্রধান নিকিটা বিয়ার জানান, পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে তার নিজের অ্যাকাউন্ট এবং এক্স কর্মীদের প্রোফাইলে তথ্যগুলো দেখানো হবে। উদ্দেশ্য হলো ব্যবহারকারী যেন বুঝতে পারেন তিনি আসল কোনো অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত আছেন, নাকি বট কিংবা ভুল তথ্য ছড়ানো কোনো অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কথা বলছেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি কারও প্রোফাইলে লেখা থাকে যুক্তরাষ্ট্র, কিন্তু অ্যাকাউন্ট তথ্য দেখায় ব্যবহারকারী অন্য দেশে অবস্থান করছেন, তাহলে সেটি সন্দেহের কারণ হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে বট শনাক্ত করা কঠিন হয়ে উঠায় এই তথ্য অনেকের জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা।
ব্যবহারকারীরা প্রোফাইলের ‘যোগদান’ তারিখে চাপ দিলেই একটি নতুন পাতায় যাবেন। সেখানে দেখা যাবে অ্যাকাউন্ট খোলার সময়, অবস্থান, কতবার নাম পরিবর্তন হয়েছে, সর্বশেষ পরিবর্তনের সময় এবং এক্সের সঙ্গে সংযুক্তির উৎস। উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র অ্যাপ স্টোর বা গুগল প্লে থেকে ডাউনলোড করা হয়েছে কি না, তাও দেখা যাবে।

তবে এখনো সবার প্রোফাইলে অন্যের তথ্য দেখা সম্ভব হচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবহারকারীরা আগে নিজেদের তথ্য যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে এই সীমাবদ্ধতা রাখা হয়েছে। চাইলে দেশ না দেখিয়ে অঞ্চল বা মহাদেশও দেখানোর সুযোগ রয়েছে। দেশ দেখানোই ডিফল্ট অপশন।
এদিকে এক গবেষক এক্স অ্যাপের কোড বিশ্লেষণ করে দাবি করেছেন, আরও একটি নতুন সুবিধা পরীক্ষায় আছে। কেউ ভিপিএন ব্যবহার করলে এক্স সেই অ্যাকাউন্টে সতর্কবার্তা দেখাতে পারে। এতে উল্লেখ থাকবে, ব্যবহারকারীর দেশ বা অঞ্চল সঠিক নাও হতে পারে।
এক্স কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য না করলেও নিকিটা বিয়ার সাম্প্রতিক পোস্টে জানান, ধীরে ধীরে আরও বেশি ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে এই সুবিধা দেখা যাবে।
সূত্র : টেকক্রাঞ্চ