ভারতের সব স্মার্টফোনে সরকারি ট্র্যাকিং অ্যাপ বাধ্যতামূলক
ভারতের সরকার নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশীয় ব্যবহার বা আমদানি হওয়া সব স্মার্টফোনে সরকারি ট্র্যাকিং অ্যাপ ‘সঞ্চার সাথী’ প্রিপ্রোইনস্টল করা থাকতে হবে। সরকার বলেছে, এটি মোবাইল চুরি, পাচার এবং কল সেন্টার প্রতারণা রোধে প্রয়োজন। তবে বিরোধী দল এবং গোপনীয়তা কর্মীরা মনে করছেন, এটি নাগরিকদের উপর ব্যাপক নজরদারি করার হাতিয়ার হতে পারে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলিকে ৯০ দিনের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে যে, সব ফোনে অ্যাপটি সক্রিয় রয়েছে। সরকারের দাবি, অ্যাপটির মাধ্যমে মোবাইল চুরি এবং প্রতারণা শনাক্ত করা যাবে। তবে সমালোচকরা বলছেন, অ্যাপটি ব্যবহারকারীর অবস্থান ট্র্যাক করতে পারে এবং বার্তা, ছবি বা অডিওসহ ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম।
কংগ্রেস পার্টির প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, ‘সঞ্চার সাথী একটি নজরদারি অ্যাপ। প্রতারণা রোধ এবং নাগরিকদের ফোনে কী হচ্ছে তা দেখার মধ্যে খুব সূক্ষ্ম সীমারেখা রয়েছে।’ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অ্যাপটি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক নয় এবং ইচ্ছা করলে ব্যবহারকারী যেকোনো সময় এটি আনইনস্টল করতে পারবেন।
ডিজিটাল নীতিবিদ নিখিল পাহওয়া বলেছেন, ‘যদি সরকার প্রতিটি ফোনে এই ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যাপ বসায়, তবে এটি আপনার ডিজিটাল জীবনেও নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করবে। তথ্য একত্রিত করার কারণে প্রতারণার সুযোগও বেড়ে যাবে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘সরকার দীর্ঘদিন ধরে তথ্য সংগ্রহ ও সংযুক্ত করছে, যা অনলাইন প্রতারণার পথ সুগম করবে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি অ্যাপ সাইবার নিরাপত্তা বাড়াতে পারে, তবে নাগরিকদের গোপনীয়তার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে। এককভাবে তথ্য সংরক্ষণ করলে হ্যাকিং বা তথ্য ফাঁসের ঝুঁকিও বেড়ে যাবে।
সূত্র : দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস