২০২৫ সালের সর্বাধিক প্রযুক্তি-বান্ধব ১০ দেশ

Staff Reporter

নিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:৩৭

২০২৫ সালের সর্বাধিক প্রযুক্তি-বান্ধব ১০ দেশ
ছবি : দ্য ন্যাশন

প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এখন কেবল অর্থনৈতিক উন্নতির নয়, বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারের অন্যতম প্রধান কারণ। এ যুগের উদ্ভাবনী দেশ, গবেষণাধর্মী দেশ এবং প্রযুক্তি-উন্নত দেশগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, পরিচ্ছন্ন শক্তি, বায়োটেকনোলজি এবং ডিজিটালাইজেশনে নতুন ধারা স্থাপন করছে।

গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স এবং প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম রিপোর্টের মতো আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিং পৃথিবীর সবচেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশগুলোকে চিহ্নিত করে এবং দেখায় তারা কোন কোন ক্ষেত্রে (স্মার্ট সিটি, সংযুক্তি, অটোমেশন) বিশেষভাবে শক্তিশালী।

এই লেখায় ২০২৫ সালের শীর্ষ ১০ প্রযুক্তি-উন্নত দেশ এবং তাদের উদ্ভাবনী সক্ষমতার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো-

১. সুইজারল্যান্ড 
সুইজারল্যান্ড ২০২৫ সালে এখনও বৈশ্বিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের শীর্ষে। গবেষণা, পেটেন্ট ফাইলিং এবং হাই-টেক সেক্টরে এখনও নেতৃত্বে। মূল কারণ হলো উন্নত রিসোর্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আর অ্যান্ড ডি) বিনিয়োগ এবং উচ্চ শিক্ষার মান। গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে সুইজারল্যান্ড প্রায়শই শীর্ষে থাকে।

২. সুইডেন 
সুইডেন অটোমেশন, ডিজিটালাইজেশন এবং পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তিতে বিশ্বের অগ্রণী ভূমিকায় থাকে। দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো এবং টেকসই উন্নয়নে জোর থাকায় দেশটি প্রযুক্তি ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে।

৩. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বায়োটেকনোলজি, সফটওয়্যার এবং গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়। সিলিকন ভ্যালি, এমআইটি এবং ক্যালটেক দেশটির উদ্ভাবনী শক্তিকে এগিয়ে রাখে।

৪. দক্ষিণ কোরিয়া 
দক্ষিণ কোরিয়া সুপার-হাই-স্পিড সংযোগ, স্যামসাং ও এলজি মতো ব্র্যান্ড, এবং ৫জি, এআই ও রোবোটিক্সে নেতৃত্বের জন্য পরিচিত। প্রযুক্তি গ্রহণের স্তর বিশ্বের মধ্যে অন্যতম উচ্চ।

৫. সিঙ্গাপুর 
সিঙ্গাপুর স্মার্ট সিটি প্রযুক্তি, ফিনটেক এবং ডিজিটাল সরকারে অগ্রণী। এটি এশিয়ার অন্যতম প্রধান প্রযুক্তি কেন্দ্র। জনসেবা কার্যকারিতা এবং এআই নীতি প্রণয়নে দেশটির অবস্থান উচ্চ।

৬. যুক্তরাজ্য 
যুক্তরাজ্যের শক্তি জীববিজ্ঞান, ফিনটেক এবং বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে রয়েছে অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটি বৈশ্বিক গবেষণা ও হাই-টেক স্টার্টআপের জন্য প্রসিদ্ধ।

৭. ফিনল্যান্ড 

ফিনল্যান্ড মোবাইল প্রযুক্তি ও অনলাইন শিক্ষায় পরিচিত। নোকিয়ার ঐতিহ্য এবং শক্তিশালী জাতীয় উদ্ভাবনী নীতি দেশটিকে আন্তর্জাতিক ডিজিটাল প্রস্তুতিতে শীর্ষে রাখে।

৮. নেদারল্যান্ডস 
নেদারল্যান্ডস সংযুক্ত লজিস্টিকস, টেকসই প্রযুক্তি ও কৃষি প্রযুক্তিতে দক্ষ। উন্নত নীতি কাঠামো এবং গবেষণার কারণে দেশটি এই ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

৯. ডেনমার্ক 
ডেনমার্ক নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি, সবুজ প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল পাবলিক সার্ভিসে নেতৃত্ব দেয়। ডিজিটাল ব্যবসা পরিচালনায় দেশটি নিয়মিত শীর্ষে থাকে।

১০. চীন 
চীন পেটেন্ট ফাইলিংয়ে বিশ্বের নেতৃত্ব দেয় এবং R&D তে এগিয়ে, বিশেষ করে এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং টেলিকমিউনিকেশনে। শেনঝেন, বেইজিং এবং সাংহাই শহরগুলো প্রধান উদ্ভাবনী কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।

এই দেশগুলো শুধু প্রযুক্তিতে নয়, উদ্ভাবন, গবেষণা এবং বৈশ্বিক প্রভাবের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে পরিচ্ছন্ন শক্তি, ডিজিটাল সরকার থেকে স্মার্ট সিটিতে এরা আগামী দশকেও প্রযুক্তি নেতৃত্ব বজায় রাখবে।

সূত্র : দ্য ন্যাশন