আপনার মোবাইল ও কম্পিউটার নিরাপদ রাখার ৫টি সহজ ট্রিক
						জকের ডিজিটাল যুগে মোবাইল আর কম্পিউটার আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু এই ডিভাইসগুলো যত কাজের, ততটাই ঝুঁকির! হ্যাকার আর ম্যালওয়্যার ওঁত পেতে আছে আপনার তথ্যের জন্য। তাই, আপনার মোবাইল ও কম্পিউটার নিরাপদ রাখাটা খুব জরুরি।
আপনার মোবাইল ও কম্পিউটার নিরাপদ রাখার ৫টি সহজ ট্রিক
আপনার ডিভাইসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিচে ৫টি সহজ উপায় আলোচনা করা হলো:
১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
পাসওয়ার্ড! এটা যেন আপনার ডিভাইসের দরজার তালা। দুর্বল তালা যেমন সহজেই ভেঙে ফেলা যায়, তেমনি দুর্বল পাসওয়ার্ডও হ্যাক করা খুব সহজ। তাই, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাটা খুবই জরুরি।
- 
কেমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন?
- লম্বা পাসওয়ার্ড: কমপক্ষে ১২-১৫টি অক্ষর ব্যবহার করুন। যত লম্বা, তত শক্তিশালী!
 - অক্ষর, সংখ্যা ও চিহ্নের মিশ্রণ: ছোট হাতের অক্ষর (a, b, c), বড় হাতের অক্ষর (A, B, C), সংখ্যা (1, 2, 3) এবং চিহ্ন (@, #, $) মিলিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন।
 - ব্যক্তিগত তথ্য নয়: আপনার নাম, জন্ম তারিখ বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত তথ্য পাসওয়ার্ডে ব্যবহার করবেন না। এগুলো সহজেই অনুমান করা যায়।
 - বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড: একই পাসওয়ার্ড সব জায়গায় ব্যবহার করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। একটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে, বাকিগুলোও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
 
 - 
পাসওয়ার্ড মনে রাখার উপায়:
- পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন: LastPass, 1Password-এর মতো অনেক পাসওয়ার্ড ম্যানেজার আছে, যেগুলো আপনার পাসওয়ার্ড নিরাপদে সংরক্ষণ করে এবং মনে রাখতে সাহায্য করে।
 - মনে রাখার মতো জটিল বাক্য তৈরি করুন: এমন একটি বাক্য তৈরি করুন, যা আপনার মনে থাকবে এবং সেটার প্রথম অক্ষরগুলো দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। উদাহরণস্বরূপ, "আমার প্রিয় রং নীল, আমি প্রতিদিন সকালে চা খাই" - এই বাক্যটির প্রথম অক্ষরগুলো দিয়ে একটি জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি করতে পারেন।
 
 
২. নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করুন
সফটওয়্যার আপডেট অনেকটা আপনার ডিভাইসের ভ্যাকসিনের মতো। যেমন ভ্যাকসিন আমাদের শরীরকে রোগের হাত থেকে বাঁচায়, তেমনি সফটওয়্যার আপডেট আপনার ডিভাইসকে ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করে।
- 
কেন আপডেট জরুরি?
- নিরাপত্তা ত্রুটি সমাধান: সফটওয়্যার আপডেটে নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো সমাধান করা হয়, যা হ্যাকারদের জন্য ডিভাইস হ্যাক করা কঠিন করে তোলে।
 - নতুন ফিচার ও উন্নতি: আপডেটের মাধ্যমে নতুন ফিচার যুক্ত হয় এবং ডিভাইসের কার্যকারিতা বাড়ে।
 - বাগ ফিক্স: আপডেটের মাধ্যমে সফটওয়্যারের ছোটখাটো সমস্যা (বাগ) সমাধান করা হয়।
 
 - 
কীভাবে আপডেট করবেন?
- অটোমেটিক আপডেট চালু করুন: আপনার মোবাইল ও কম্পিউটারে অটোমেটিক আপডেটের অপশন চালু রাখুন। এতে নতুন আপডেট আসার সাথে সাথেই ইনস্টল হয়ে যাবে।
 - নিয়মিত ম্যানুয়ালি চেক করুন: মাঝে মাঝে নিজে থেকেও আপডেটের জন্য চেক করুন। সেটিংস-এ গিয়ে "Software Update" অপশনটি খুঁজে বের করুন এবং দেখুন কোনো আপডেট আছে কিনা।
 
 
৩. সন্দেহজনক লিঙ্ক এবং ফাইল থেকে সাবধান থাকুন
আজকাল হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে ইমেইল, মেসেজ বা ওয়েবসাইটে লিঙ্ক পাঠায়। এগুলোকে ফিশিং অ্যাটাক বলা হয়। আপনি যদি সেই লিঙ্কে ক্লিক করেন, তাহলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে বা ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ইনস্টল হতে পারে।
- 
কীভাবে চিনবেন ফিশিং অ্যাটাক?
- অপরিচিত প্রেরক: যদি কোনো অপরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সন্দেহজনক ইমেইল বা মেসেজ আসে, তাহলে সতর্ক থাকুন।
 - বানান ভুল: ফিশিং ইমেইলগুলোতে প্রায়ই বানান ভুল থাকে।
 - লোভনীয় প্রস্তাব: হ্যাকাররা প্রায়ই লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে থাকে, যেমন - "আপনি লটারি জিতেছেন" বা "ফ্রি আইফোন"।
 - তাড়াহুড়ো করা: তারা আপনাকে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নিতে বলবে, যাতে আপনি চিন্তা করার সময় না পান।
 
 - 
কী করবেন?
- লিঙ্কে ক্লিক করবেন না: সন্দেহজনক কোনো লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
 - ফাইল ডাউনলোড করবেন না: অপরিচিত উৎস থেকে আসা কোনো ফাইল ডাউনলোড করবেন না।
 - প্রেরককে যাচাই করুন: যদি কোনো পরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সন্দেহজনক কিছু আসে, তাহলে সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হন।
 
 
৪. অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন
অ্যান্টিভাইরাস হলো আপনার ডিভাইসের বডিগার্ড। এটি আপনার ডিভাইসকে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার ও অন্যান্য ক্ষতিকর সফটওয়্যার থেকে রক্ষা করে।
- 
কেন অ্যান্টিভাইরাস দরকার?
- রিয়েল-টাইম সুরক্ষা: অ্যান্টিভাইরাস আপনার ডিভাইসকে রিয়েল-টাইমে স্ক্যান করে এবং ক্ষতিকর কিছু পেলে সাথে সাথে সেটাকে ব্লক করে দেয়।
 - নিয়মিত স্ক্যানিং: এটি আপনার ডিভাইসের ফাইল ও ফোল্ডারগুলো নিয়মিত স্ক্যান করে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার খুঁজে বের করে।
 - নিরাপদ ব্রাউজিং: কিছু অ্যান্টিভাইরাস ব্রাউজিংয়ের সময় ক্ষতিকর ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে রক্ষা করে।
 
 - 
কোন অ্যান্টিভাইরাস ভালো?
বাজারে অনেক ভালো অ্যান্টিভাইরাস পাওয়া যায়। কিছু জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাসের নাম নিচে দেওয়া হলো:
- Bitdefender
 - Norton
 - Kaspersky
 - Avast
 - AVG
 
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি অ্যান্টিভাইরাস বেছে নিন এবং নিয়মিত আপডেট করুন।
 
৫. টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) ব্যবহার করুন
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন হলো আপনার অ্যাকাউন্টের জন্য সুরক্ষার দ্বিতীয় স্তর। পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি এটি আপনার পরিচয় নিশ্চিত করে।
- 
কীভাবে কাজ করে?
আপনি যখন কোনো অ্যাকাউন্টে লগইন করতে যান, তখন আপনার পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরে আপনার মোবাইল ফোনে একটি কোড পাঠানো হয়। এই কোডটি দেওয়ার পরেই আপনি অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারেন।
 - 
কেন এটা জরুরি?
যদি কোনো হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড জেনেও যায়, তাহলেও সে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না, কারণ তার কাছে আপনার মোবাইলে আসা কোডটি থাকবে না।
 - 
কীভাবে চালু করবেন?
প্রায় সব জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ও অ্যাপে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের অপশন আছে। সেটিংস-এ গিয়ে "Security" বা "Privacy" অপশনটি খুঁজে বের করুন এবং টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন।
 
কিছু অতিরিক্ত টিপস
উপরে দেওয়া উপায়গুলো ছাড়াও, আপনার ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখতে আরও কিছু জিনিস মনে রাখতে পারেন:
- পাবলিক Wi-Fi ব্যবহারের সময় সাবধান থাকুন: পাবলিক Wi-Fi নেটওয়ার্কগুলো সাধারণত সুরক্ষিত থাকে না। তাই, এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রদান করা উচিত না। ভিপিএন (VPN) ব্যবহার করে আপনি আপনার ইন্টারনেট সংযোগকে সুরক্ষিত করতে পারেন।
 - নিয়মিত ব্যাকআপ নিন: আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডেটা (ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট) নিয়মিত ব্যাকআপ রাখুন। এতে আপনার ডিভাইস হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলেও ডেটা হারানোর ভয় থাকবে না। গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স বা এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখতে পারেন।
 - অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করুন: আপনার মোবাইলে অনেক অ্যাপ থাকতে পারে যেগুলো আপনি ব্যবহার করেন না। এই অ্যাপগুলো আপনার ডিভাইসের জায়গা দখল করে এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো আনইনস্টল করে দিন।
 - স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন: আপনার মোবাইল ও কম্পিউটারে স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন। এতে কেউ আপনার ডিভাইস চুরি করলেও আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে পারবে না।
 - সন্দেহজনক আচরণ দেখলে রিপোর্ট করুন: যদি আপনার ডিভাইসে কোনো সন্দেহজনক আচরণ দেখেন, যেমন - হঠাৎ করে অনেক পপ-আপ আসা বা অপ্রত্যাশিত প্রোগ্রাম ইনস্টল হওয়া, তাহলে সাথে সাথে আপনার অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম দিয়ে স্ক্যান করুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
 
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
- 
আমার কি একাধিক অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করা উচিত?
না, একাধিক অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামই যথেষ্ট। একাধিক অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করলে আপনার ডিভাইসের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে এবং সফটওয়্যার কনফ্লিক্ট হতে পারে।
 - 
ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস কি যথেষ্ট নিরাপদ?
ফ্রি অ্যান্টিভাইরাসগুলো সাধারণত পেইড অ্যান্টিভাইরাসের মতো সুরক্ষা প্রদান করে না। তবে, একদম অ্যান্টিভাইরাস না থাকার চেয়ে ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা ভালো। আপনি যদি বেশি সুরক্ষার জন্য চান, তাহলে পেইড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন।
 - 
আমি কিভাবে বুঝব আমার কম্পিউটার হ্যাক হয়েছে কিনা?
যদি আপনার কম্পিউটার হ্যাক হয়ে থাকে, তাহলে আপনি কিছু লক্ষণ দেখতে পারেন, যেমন -
- কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়া
 - অপরিচিত প্রোগ্রাম ইনস্টল হওয়া
 - পপ-আপ বিজ্ঞাপন আসা
 - পাসওয়ার্ড পরিবর্তন হওয়া
 - বন্ধুদের কাছে স্প্যাম ইমেইল যাওয়া
 
যদি এই লক্ষণগুলো দেখেন, তাহলে দ্রুত আপনার অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম দিয়ে স্ক্যান করুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
 - 
পাবলিক Wi-Fi তে আমার ডেটা কিভাবে সুরক্ষিত রাখব?
পাবলিক Wi-Fi তে আপনার ডেটা সুরক্ষিত রাখার জন্য ভিপিএন (VPN) ব্যবহার করতে পারেন। ভিপিএন আপনার ইন্টারনেট সংযোগকে এনক্রিপ্ট করে এবং আপনার ডেটাকে হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও, সংবেদনশীল ওয়েবসাইটগুলোতে (যেমন - অনলাইন ব্যাঙ্কিং) লগইন করা থেকে বিরত থাকুন যখন আপনি পাবলিক Wi-Fi ব্যবহার করছেন।
 - 
আমার পুরনো ডিভাইস বিক্রি করার আগে কি করা উচিত?
আপনার পুরনো ডিভাইস বিক্রি করার আগে আপনার ব্যক্তিগত ডেটা মুছে ফেলা জরুরি। ফ্যাক্টরি রিসেট করার মাধ্যমে আপনি আপনার ডিভাইসের সমস্ত ডেটা মুছে ফেলতে পারেন। এছাড়াও, আপনি ডেটা ওয়াইপিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার ডেটাকে সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলতে পারেন, যাতে কেউ আপনার ডেটা পুনরুদ্ধার করতে না পারে।
 
| বিষয় | করণীয় | 
|---|---|
| পাসওয়ার্ড | লম্বা ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন, ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন, বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। | 
| সফটওয়্যার | অটোমেটিক আপডেট চালু রাখুন, নিয়মিত ম্যানুয়ালি আপডেট চেক করুন। | 
| সন্দেহজনক লিঙ্ক | কোনো সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করবেন না, অপরিচিত উৎস থেকে আসা ফাইল ডাউনলোড করবেন না, প্রেরককে যাচাই করুন। | 
| অ্যান্টিভাইরাস | ভালো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন, নিয়মিত আপডেট করুন। | 
| টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন | আপনার অ্যাকাউন্টে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন। | 
| অতিরিক্ত টিপস | পাবলিক Wi-Fi ব্যবহারের সময় সাবধান থাকুন, নিয়মিত ব্যাকআপ নিন, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করুন, স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন, সন্দেহজনক আচরণ দেখলে রিপোর্ট করুন। | 
ডিজিটাল নিরাপত্তা একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজকের আলোচনা করা এই ৫টি সহজ উপায় অনুসরণ করে আপনি আপনার মোবাইল ও কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, একটু সতর্কতা অবলম্বন করলেই আপনি অনেক বড় বিপদ থেকে বাঁচতে পারেন।