৮ ঘন্টা আগে
১০ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কারণ অনলাইন অপরাধীরা এআই দিয়ে শিশু নির্যাতনের ছবি তৈরি করছে। ২০২৪ সালে এসব ছবি অনেক বেড়ে গেছে।
যুক্তরাজ্য সরকার সম্প্রতি একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল ব্যবহার করে শিশু নির্যাতন ছবি তৈরি করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আইন করার ক্ষেত্রে এটি বিশ্বের প্রথম দেশ। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আইনটি মূলত শিশু নির্যাতনের ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবেলার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। যেখানে এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার করে শিশুদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
এতে আরও বলা হয়, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে শিশুদের অশালীন ছবি রাখা, তোলা, তৈরি করা বা শেয়ার করা অপরাধ। নতুন আইনে এআই টুল দিয়ে বাস্তব শিশুর ছবি নগ্ন করা নিষিদ্ধ হবে।
ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কারণ অনলাইন অপরাধীরা এআই দিয়ে শিশু নির্যাতনের ছবি তৈরি করছে। ২০২৪ সালে এসব ছবি অনেক বেড়ে গেছে।
‘আমরা জানি, অনলাইনে অসুস্থ অপরাধীরা যেসব কাজ করে, তা তাদের বাস্তবে ভয়ানক নির্যাতন করার দিকে নিয়ে যায়।,’- বলেছেন যুক্তরাজ্যর অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ইভেট কুপার।
‘এজন্য আমাদের অনলাইন এবং অফলাইন উভয় জায়গায় শিশু যৌন নির্যাতন বন্ধ করতে হবে, যাতে আমরা জনগণকে নতুন অপরাধ থেকে রক্ষা করতে পারি।’
সরকার জানিয়েছে, অপরাধীরা এআই টুল ব্যবহার করে নিজেদের চেহারা গোপন করে এবং মিথ্যা ছবি দিয়ে শিশুদের ভয় দেখিয়ে তাদের আরও নির্যাতনে জড়িত করে।যেমন, লাইভ ছবি দেখানোর মাধ্যমে।
নতুন আইনে শিশু নির্যাতনের ছবি তৈরির জন্য এআই টুল তৈরি, রাখা বা বিতরণ করা অপরাধ হবে। সেসাথে ‘পেডোফাইল ম্যানুয়াল’ নামে এআই সম্পর্কিত বইগুলোর মালিকানা নিষিদ্ধ করা হবে, যা প্রযুক্তির ব্যবহার শেখায়।
আরেকটি অপরাধ হবে ওইসব ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে, যেখানে শিশুদের প্রতি যৌন নীপীড়নের ছবি বা ভিডিও ছড়ানো হয়। সরকার পুলিশকে ডিজিটাল ডিভাইস খুলে পরীক্ষা করার সুযোগ দেবে। এসব ব্যবস্থা ক্রাইম অ্যান্ড পলিসিং বিলের মধ্যে থাকবে, যা পার্লামেন্টে আলোচনা করা হবে।
এছাড়া যুক্তরাজ্য সরকার এই মাসে ঘোষণা করেছে যে, তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি এবং শেয়ার করা যৌন বিষয়ক ‘ডিপফেক’ (ভুয়া) ভিডিও, ছবি বা অডিও অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে।
সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিশু অধিকার কর্মীরা। তারা মনে করছেন, এই আইন শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে এই ধরনের অপরাধ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা যায়। সূত্র: রয়টার্স।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...