৮ ঘন্টা আগে
৯ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিস্তৃতি কমাতে নানা রকম উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে এই ওয়েবসাইটগুলো সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে কি না- এমন তথ্য যাচাই করা যায়নি। এর আগে সরকারি পর্যায়ে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) সম্পর্কিত কর্মসূচি নিষিদ্ধ করেন ট্রাম্প।
মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের ওয়েবসাইট বন্ধের পর এবার মার্কিন প্রশাসনের ৩৫০টির বেশি ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা ও অবকাঠামো নিরাপত্তা সংস্থা সিআইএসএ প্রায় ১ হাজার ৪০০ ফেডারেল ওয়েবসাইটের তালিকা প্রকাশ করে, যার মধ্যে সাড়ে তিনশর বেশি ওয়েবসাইট কাজ করছিল না। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এর মধ্যে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, জ্বালানি, পরিবহন ও শ্রম বিভাগ সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট রয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) ও সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটও সোমবার দুপুরে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এই ওয়েবসাইটগুলো ঠিক কখন থেকে বন্ধ, তা জানা যায়নি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিস্তৃতি কমাতে নানা রকম উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে এই ওয়েবসাইটগুলো সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে কি না- এমন তথ্য যাচাই করা যায়নি। এর আগে সরকারি পর্যায়ে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) সম্পর্কিত কর্মসূচি নিষিদ্ধ করেন ট্রাম্প।
জানা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং টেসলা, এক্স ও স্পেসএক্সের মতো শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের হাতে ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগ ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’র (ডিওজিই) দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছেন তিনি।
এরই অংশ হিসেবে সোমবার মাস্ক ইউএসএইডকে ‘অপরাধী সংগঠন’ বলে অভিহিত করে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। প্রায় ১২০টি দেশে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা এই সংস্থাটির ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্মীদের ইমেইলের মাধ্যমে অফিসে না আসতে বলা হয়।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ‘জেন্ডার আইডিওলজি’ প্রচারে যুক্ত সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত সব প্রকল্প বন্ধের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনার পর একাধিক সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ‘এলজিবিটিকিউ’ বিষয়ক তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে, এমনকি জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইট থেকেও।
সোমবার সিডিসির ওয়েবসাইটে ওই বিষয়গুলোর পেজে প্রবেশ করলে একটি বার্তা দেখায় যেখানে লেখা, ‘আপনি যে পৃষ্ঠাটি খুঁজছেন, তা পাওয়া যায়নি।’
এই নির্দেশনার ফলে মার্কিন সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) ওয়েবসাইট থেকে এইচআইভি ও এলজিবিটিকিউ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সিডিসি ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য সরিয়ে ফেলা গভীর উদ্বেগের বিষয় বলে জানিয়েছে ইনফেকশাস ডিজিজেস সোসাইটি অব আমেরিকা (আইডিএসএ)। সূত্র: এএফপি
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...