১৯ ঘন্টা আগে
২০ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
এতে এআই সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ, নৈতিক, নিরাপদ, সুরক্ষিত ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে ব্যবহৃত হবে এবং এআইকে মানুষের ও পৃথিবীর জন্য টেকসই করা হবে এমন বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে।
এআই-কে একটি টেকসই, নিরাপদ এবং দায়িত্বশীল প্রযুক্তি হিসেবে তৈরি করা এবং এর বৈশ্বিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে প্যারিসে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল এআই সামিটে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই’ এআই ঘোষণাপত্রে ফ্রান্স, চীন, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা’সহ বিশ্বের ৬০টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সই করেনি।
গার্ডিয়ান পত্রিকা প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্ত এআই প্রযুক্তি বিকাশ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সমন্বিত পদ্ধতি তৈরির আশাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
এই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, এতে এআই সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ, নৈতিক, নিরাপদ, সুরক্ষিত ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে ব্যবহৃত হবে এবং এআইকে মানুষের ও পৃথিবীর জন্য টেকসই করা হবে এমন বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে।
‘‘এআইয়ের বৈশ্বিক শাসন ও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রযুক্তির প্রভাব মোকাবেলা করতে এই ঘোষণাপত্র যথেষ্ট নয়।’’- বলে জানান যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র।
সম্মেলনের মঞ্চে উঠে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এআই প্রযুক্তির ওপর ইউরোপের কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং চীনের সঙ্গে সহযোগিতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, এমন ঘটনার পরপরই ঘোষণাপত্রে দুই দেশের সই না করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সই না করার কারণে ব্রিটেনও অস্বীকৃতি জানিয়ে দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে জবাবে তখন কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেন, ‘‘তারা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বা কারণ সম্পর্কে অবগত নন’’।
ফ্রান্স গ্লোবাল এআই সামিট হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন যা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি, এর উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিশ্ব নেতাদের, বিজ্ঞানীদের, গবেষকদের এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করেছে। এই সামিটে বিভিন্ন দেশ এবং কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা এআই-এর ভবিষ্যৎ, এআই-এর নিরাপত্তা ঝুঁকি, নৈতিক দৃষ্টিকোণ এবং এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...