৬ ঘন্টা আগে
৬ ঘন্টা আগে
৭ ঘন্টা আগে
৮ ঘন্টা আগে
১১ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
তথ্যের এই অবাধ প্রবাহ যে সমাজকে অগ্রসর করতে সাহায্য করছে তাও নয়, বরং তথাকথিত তথ্যের জোয়ারে অনেক সময়ই খেই হারাতে হচ্ছে আমাদেরকে। আর এ সমস্যার সাথে যেসব বিষয়সমূহ জড়িত, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে ভুয়া সংবাদ তথা ফেইক নিউজ, তথ্যমারী বা ইনফোডেমিক, ডিপফেইক প্রযুক্তি ইত্যাদি।
তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে তথ্য আমাদের কাছে দিনে দিনে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। একুশ শতকের এই সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির দুর্বার প্রবাহ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহের কল্যাণে তথ্য বর্তমানে আমাদের হাতের মুঠোয়। তথ্য এখন আর সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রেণির অধিকৃত নিজস্ব সস্পদ নয় বরং শ্রেণি নির্বিশেষে যে কেউই যেকোনো প্রকারের তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ও প্রচার করতে পারেন।
তথ্যের এই অবাধ প্রবাহ যে সমাজকে অগ্রসর করতে সাহায্য করছে তাও নয়, বরং তথাকথিত তথ্যের জোয়ারে অনেক সময়ই খেই হারাতে হচ্ছে আমাদেরকে। আর এ সমস্যার সাথে যেসব বিষয়সমূহ জড়িত, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে ভুয়া সংবাদ তথা ফেইক নিউজ, তথ্যমারী বা ইনফোডেমিক, ডিপফেইক প্রযুক্তি ইত্যাদি।
ইন্টারনেটের দ্রুতি, ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা; এই দুইয়ের বৃদ্ধিই হচ্ছে তথ্যপ্রবাহের মূল চালিকাশক্তি। আর এর ফলে কেবল তথ্যই নয়, তার সাথে সাথে অপ-তথ্যের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্তর্জাল দুনিয়ায়। ফলে সঠিক তথ্যটি খুঁজে পাওয়া ভীষণ জরুরি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে ক্রমশ। সেজন্য প্রয়োজন তথ্যের সত্যতা, বস্তুনিষ্ঠতা ইত্যাদি যাচাই। আর এ যাচাই বা পরীক্ষার প্রক্রিয়াটিই ফ্যাক্ট-চেকিং নামে পরিচিত।
আজকের আলোচনায় আমরা জানব কীভাবে যে কেউই ঘরে বসে, নিখরচায়, কিছু সহজ টুল ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাহায্যে খুব সহজেই ফ্যাক্ট-চেকিং-এর কাজটি করতে পারেন। কিন্তু তার আগে চলুন ফেইক নিউজ, ইনফোডেমিক ইত্যাদি সম্পর্কে সাধারণ ধারণা নেওয়া যাক।
সংবাদের উৎস যাচাই
সংবাদ নিবন্ধ কোন ওয়েবসাইট থেকে এসেছে, তা যাচাই করতে হবে। এটি কী দেখতে আসল? এর লেখনী কি ভালো? এতে অন্যান্য ধরনের সংবাদ আছে বা এটাই সাইটের একমাত্র সংবাদ কি না? নিজেকে এইসব প্রশ্ন করতে হবে কারণ অনেক সময় ফেক নিউজ সাইটগুলো এমন ওয়েব অ্যাড্রেস ব্যবহার করে, যা আসল সংবাদপত্রের কোনো সাইটের মতোই শোনায়।
এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী দ্বিধাবোধ করলে সাইটের ‘অ্যাবাউট’ পেইজে ক্লিক করে এতে প্রতিষ্ঠানের স্পষ্ট বর্ণনা উল্লেখ আছে কি না, সে বিষয়টি যাচাই করতে হবে।
ভুয়া ছবি শনাক্ত করা
অনেক ভুয়া সংবাদেই ফটোশপ করা বা অপ্রাসঙ্গিক কোনো সাইট থেকে ছবি নেওয়া হয়। তবে ছবিতে সুক্ষ্মভাবে দেখলে বোঝা যায়, এতে কোনো পরিবর্তন এসেছে কি না। অথবা এর পরিবর্তে ‘গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ’ ফিচার ব্যবহার করলে দেখা যাবে, একই ছবি অন্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে কি না।
একই সংবাদ অন্যান্য সাইটে আছে কি না, চেক করুন
ব্যবহারকারীর পড়তে চাওয়া সংবাদ নিবন্ধ অন্য কোনো বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ সাইটে এসেছে কি না, তা যাচাই করে দেখতে হবে। ফলে, সংবাদটি আসল না নকল, সে বিষয়টি বোঝা যাবে। কারণ শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো কোনো নিবন্ধ প্রকাশ করার আগে এর সত্যতা যাচাই করে থাকে।
আংশিক নয়, পড়ুন পুরোটা
অনেকেই শুধু শিরোনাম দেখেই খবরটি বিশ্বাস করে ফেলে বা শেয়ার দিয়ে দেয়। ভুয়া সংবাদ পরিহার করতে পুরাটাই পড়া উচিত।
লেখক বা প্রতিবেদক কে
লেখা বা সংবাদের লেখক বা প্রতিবেদক কে এটি দেখে নিন।
সময় যাচাই: সংবাদটি কোন সময়ের বা কখন প্রকাশিত হয়েছে সেটি দেখে নিন। পুরোনো সংবাদ নতুন করে ভাইরাল করেও মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলা হয় অনেক সময়।
ফান পেজ
বাস্তব অনেক ঘটনা নিয়ে ফান পেজগুলো কনটেন্ট তৈরি করে থাকে। মানুষ না বুঝে সেগুলো সত্য মনে করে বিশ্বাস করে ফেলে।
অনুসন্ধিৎসু মন
নিজের বিশ্বাস, চিন্তা ও অনুসন্ধিৎসু মন ভুয়া সংবাদ যাচাইয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিজের মতের প্রতি আপনি নিজেও কতটুকু আস্থাশীল সেটির প্রতিও খেয়াল রাখুন।
বিশেষজ্ঞদের মত
এরপরও যদি আপনার মধ্যে সন্দেহপ্রবণতা কাজ করে তাহলে এ বিষয়ে যারা ভালো জানে বা বিশেষজ্ঞ তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।
অন্যান্য উপায়
ফেক নিউজ যাচাই করার অন্যান্য কৌশলও আছে। এর মধ্যে রয়েছে সকল শব্দে বড় হাতের অক্ষর ব্যবহার ও লিংকে ক্লিক করার পর অনেক বিজ্ঞাপন পপ-আপ করার মতো বিষয়গুলো। এ ছাড়া, সংবাদটি ব্যবহারকারীর মনে কী ধরনের অনুভূতির সঞ্চার ঘটায়, সে বিষয়টি যাচাই করাও গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ হিসেবে, কোনো সংবাদ পড়ে রাগ উঠলে তা সে লক্ষ্যেই নকশা করা হয়েছিল, এমন হতে পারে।
অনলাইনের সংবাদ যাচাই করার বেলায় দৈনন্দিন জীবনে এ পন্থাগুলো অনুসরণ করলে ব্যবহারকারী নিজের সংবাদ পড়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...