১ ঘন্টা আগে
৩ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
আগামী দুই বছরের মধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যাবে। আশা করা যায়, ২০২৯ বা ২০৩০ সালের মধ্যে এআই এমন এক স্তরে পৌঁছাবে, যেখানে এটি সকল মানুষের চেয়ে বেশি স্মার্ট হয়ে উঠবে।
ইলন মাস্কের মতে, ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে পারে। তার মতে, এটি মানব সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এআই যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে এটি মানুষের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক হওয়া জরুরি।
সম্প্রতি জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স’-এ অংশ নিয়ে ইলন মাস্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় মনে করি, এআই মানুষের চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট হয়ে উঠবে। এটি মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। আর সেই শঙ্কা এখন বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে।’
এআইয়ের সক্ষমতা নিয়ে ইলন মাস্ক এখনো কিছুটা দ্বিধায় আছেন। তার মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ২০ শতাংশ। তবে এটি তার নতুন কোনো উদ্বেগ নয়। এর আগেও, গত বছর নরওয়ের নরজেস ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিকোলাই ট্যানজেনের সঙ্গে আলোচনার সময়, তিনি একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তখনও তিনি এআইয়ের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন।
সে সময় ইলন মাস্ক বলেছিলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যাবে। আশা করা যায়, ২০২৯ বা ২০৩০ সালের মধ্যে এআই এমন এক স্তরে পৌঁছাবে, যেখানে এটি সকল মানুষের চেয়ে বেশি স্মার্ট হয়ে উঠবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এআইয়ের কারণে মানব সভ্যতা ধ্বংসের সম্ভাবনা প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে।
ইলন মাস্কসহ প্রযুক্তি জগতের অনেক বিশেষজ্ঞ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জিওফ্রে হিন্টনের মতে, এআইয়ের কারণে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে মানবসভ্যতা বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০ শতাংশ। অন্যদিকে, এআই নিরাপত্তা গবেষক রোমান ইয়াম্পলস্কি আরও গুরুতর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তার মতে, এআইয়ের কারণে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০০ শতাংশ, অর্থাৎ এটি একসময় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।
এআইয়ের কারণে মানবসভ্যতা ধ্বংসের সম্ভাবনা থাকলেও ইলন মাস্ক অলাভজনক ওপেন সোর্সনির্ভর এআই কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছিলেন ২০১৬ সালে। চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতাও ইলন মাস্ক। বিভিন্ন কারণে চ্যাটজিপিটি ছেড়ে এলেও নিজের মালিকানাধীন এক্স এআইয়ের মাধ্যমে গ্রোক এআই চ্যাটবট তৈরি করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...