১৮ ঘন্টা আগে
২০ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
একটি কমিটি তখনই তার সর্বোচ্চটা দিতে পারে, যখন এর প্রতিটি সদস্য কাজ করার বা মতামত দেবার সুযোগ পায়। একটি দলীয় লক্ষ্যে কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রত্যেকজন সদস্যর যে দায়িত্ব থাকবে সে যদি সেটা ঠিক মত পালন করতে পারেন বা অন্যরা যদি তাকে সেই সহযোগিতা করেন, তবেই কেবল একটি শক্তিশালী কার্যনির্বাহী কমিটি গড়ে উঠে।
স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে এবং আইসিটি খাত থেকে আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আইসিটি ইন্ডিাস্ট্রির শীর্ষ পাঁচ বাণিজ্য সংগঠন বেসিস, বিসিএস, বাক্কো, আইএসপিএবি, ই-ক্যাবকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রত্যেকটি বাণিজ্য সংগঠনেরই স্বতন্ত্র ও আলাদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যেমন, আন্তর্জাতিক গুণগতমানসস্পন্ন ইন্টারনেট সেবা, অফিস আদালতের কাজ স্মার্টলি করতে প্রয়োজন আছে কম্পিউটার ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, সফটওয়্যার অটোমেশন সিস্টেম। অন্যদিকে, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং কাজ করে বিদেশি আয় বৃদ্ধি করতে ইন্টারনেট, কম্পিউটার ডেস্কটপ, ল্যাপটপের প্রয়োজন রয়েছে। আর ইন্টারনেট ছাড়া তো ই-কমার্স ব্যবসার কথা চিন্তাও করা যাবে না। মোটকথা, প্রত্যেকেটি সেক্টরই একটা অন্যটার সাথে যুক্ত। একটা ছাড়া অন্যটা পরিপূর্ণ না। আমরা যদি আগামী প্রজন্মের জন্য একটা আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ প্রস্তুত করতে চাই, তাহলে পাঁচ সংগঠনের নেতাদের একসঙ্গে বসে একটা কমনলি গোল সেট বা সুনির্দষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। সে অনুসারে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেডের প্রধান কার্যলয়ে টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের সাথে একান্ত আলাপে কথাগুলো বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত হোসাইন।
তিনি একজন সফল প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। একাধারে নিউজেন টেকনোলজি লিমিটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং লানার্স ক্যাফে, স্কুল অব লিডারশীপ ও জিপিএস ৭১-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও বেসিস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এইচআর ডেভেলমেন্টের কো-চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা আইটি উপ-কমিটির সদস্য, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশের জেনারেল সেক্রটারি, ওরাকল ইউনিভার্সিটির পার্টটাইম সিনিয়র ট্রেইনার ও বেসিস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন সার্টআপের মেম্বার।
দীর্ঘ আলাপে উঠে এসেছে দেশের বর্তমান সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির সমসাময়িক হালচালসহ আসন্ন বেসিস নির্বাচনের নানান দিক। আলাপের কিছু অংশ পাঠকদের উদ্দেশে এখানে তুলে ধরা হলো।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: বর্তমানে দেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির প্রকৃত অবস্থা কেমন?
লিয়াকত হোসাইন: আমি বিষয়টিকে এভাবে বলতে চাই, আমাদের দেশের মানুষ মেধাবী। তথ্যপ্রযুক্তিতে আমাদের তরুণরা ভালো করছে। তাদের প্রতিভা আছে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আছে, আমাদের অবকাঠামো মোটামুটি প্রস্তুত। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমরা এখনও যথাযথ পেশাদারিত্বে পৌঁছাতে পারিনি। সফটওয়্যার সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন ক্রেতা চাহিদা এবং বিক্রেতার সরবরাহকৃত সেবার মাঝে এখনও রয়েছে বোঝাপড়ার সমস্যা।
স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত সফটওয়্যারগুলোর স্থানীয়ভাবে প্রচারের এবং ক্রেতাদের উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে আমাদেরদুর্বলতা আছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর যেমন দায় রয়েছে, তেমনি দেশীয় পণ্যে ব্যবহারের প্রতি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের রয়েছে অনাগ্রহ। পেছনের কারণ আমরা এখনো দেশীয় বাজারে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পারি নাই। তাই আমরা আমাদের দেশীয় বাজারেই প্রতিযোগিতা করছি বিদেশি সফটওয়্যারগুলো সাথে।
এর মাঝে যারা ভালো করছি বা বিশ্ববাজারে পণ্যসেবা সরবরাহ করছে তাদেরকেও বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে বিক্রয়োত্তর সেবা সরবরাহ করার ক্ষেত্রে। সেসাথে বিদেশে সেবা সরবারহ নিশ্চিত করতে সেখানে শাখা অফিস স্থাপন করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। ফলে বিশাল পরিসরে বিশ্ববাজারে সেবা সরবরাহ করা সবসময় সহজ হয় না। তাই, দেশ ও বিশ্ব, দুই বাজারেই আমাদের যে খুব ভালো অবস্থান, তা নয়। তবে ভালো করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: সরকারি ও বেসরকারিভাবে বলা হয়েছে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের আইসিটি খাত থেকে রফতানি আয় হবে ৫ বিলিয়ন ডলার। এটা কি সম্ভব?
লিয়াকত হোসাইন: দেখুন, আমরা এখন ডিজিটাল হতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছি। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের অন্যতম হাতিয়ার তথ্যপ্রযুক্তিখাত। তাই সরকার এই খাতকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের রফতানি আয় ২ বিলিয়নেরও কম। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এটাকে ৫ বিলিয়নে উন্নীত করা আমাদের স্বপ্ন। আর একটা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করলে উৎসাহ বাড়ে। তবে এর বাস্তবায়নটা খুব সহজ নয়। কারণ এই রফতানিশিল্পের বড় নির্ভরতা হলো এখাতে কাজ করা মেধা শ্রমিকরা। আর বর্তমান রফতানির পরিমাণটা যদি বলি সেটা হলো বর্তমানে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির রফতানি আয় ৪৭ বিলিয়ন ডলার।সেখানে আইসিটি খাত এখনও ২ মিলিয়ন ডলারও রফতানি করে না। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সময় বাকি মাত্র ১ বছর। এই সময়ে এটা বাস্তবায়ন করা একটু কঠিনই হবে।
আমার প্রথম ইচ্ছা একটি সুসংঘবদ্ধ, সক্রিয় এবং সুশৃংখল কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা বা এমন কমিটির একজন সদস্য হয়ে উঠা। কারণ একটি কমিটি তখনই তার সর্বোচ্চটা দিতে পারে, যখন এর প্রতিটি সদস্য কাজ করার বা মতামত দেবার সুযোগ পায়। একটি দলীয় লক্ষ্যে কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রত্যেকজন সদস্যর যে দায়িত্ব থাকবে সে যদি সেটা ঠিক মত পালন করতে পারেন বা অন্যরা যদি তাকে সেই সহযোগিতা করেন, তবেই কেবল একটি শক্তিশালী কার্যনির্বাহী কমিটি গড়ে উঠে।
আমাদের জন্য খুশির বিষয় হলো, এখাতের উন্নয়নে আমাদের সরকার আন্তরিক। তবে এই খাতে মেধাবী এবং দক্ষ জনশক্তি গুরুত্বপূর্ণ। তাই, আমাদের দক্ষ জনশক্তি উন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে। সেসাথে এই খাতের ব্যাবসায়ীদের তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে তাদের মেধাকে কাজে লাগাবার যোগ্যতা ও অর্জন করতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নের সাথে সাথে তার সঠিক ব্যবস্থাপনাটা ও জরুরি। সেসাথে সরকারের কাজ হতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আদায় করে নিতে পারলে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: দেশীয় বাজারে বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে এখনও বিদেশি সফটওয়্যারের আধিপত্য-এই বিষয়টি দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?
লিয়াকত হোসাইন: আসলেই বিষয় দুটি একটু ভাবনার। তবে বিষয়টি আমি খুব বেশি নেতিবাচকভাবে দেখি না। আবার খুব বেশি ইতিবাচকভাবেও দেখি না। আমি মনে করি, আমাদের স্থানীয় সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী যেসব কোম্পানি রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেরই কাজের মান আন্তর্জাতিক কোম্পানির চেয়ে কোন অংশে কম না। বেশ কিছু কোম্পানি আছে যারা আন্তর্জাতিক গুণগতমানসম্পন্ন সফটওয়্যার তৈরি করে স্থানীয় ইন্ডাস্ট্রিতে বিক্রি করেছে। সেগুলো সফলতার সাথে ব্যবহার করা হচ্ছে। একই সাথে বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আমরা বলি, বিদেশি সফটওয়্যার দেশে আসতে দিবো না। কিন্তু বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাইরের দেশ থেকে সফটওয়্যার আনছে। আমার মতে, যেসব সফটওয়্যার আমরা তৈরি করতে পারি না, যেমন, ডাটা বেইজড অটোমেশন, ব্যাংকিং সফটওয়্যার, এগুলো দেশের বাইরে থেকে আনতে পারি। তবে এর আনুপাতিক হারটা বেশি হওয়া ঠিক না। তাছাড়া বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বাইরের দেশ হতে সফটওয়্যার আমদানি করলেও যদি তার সাথে বিক্রোয়াত্তর সেবা দেওয়ার জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুযোগ দেয় অর্থাৎ যৌথভাবে যদি কাজগুলো বন্টন করা যায়, তাহলে আমাদেরও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করবার সুযোগ তৈরি হয়।
নারী সদস্যদের জন্য বেসিস নারী উদ্যোক্তা ওয়ানস্টপ সলিউশন ডেস্ক চালু করবো। যেখানে বেসিসের নারী উদ্যোক্তাদের সব অভিযোগগুলো শোনা হবে এবং তাদের তৈরি পণ্যগুলো সেখানে রিভিউ করা হবে। সেসাথে এর মাধ্যমে তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার যে, আমাদের আমদানির হার আর রফতানির হারের মধ্যকার সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে হবে। খুব বেশি আমদানিনির্ভর হয়ে পড়া আমাদের দেশীয় শিল্পের জন্য অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: আপনি কি এবারের বেসিস নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন? যদি করেন আর জয়ী হলে বেসিসের কি ধরনের পরিবর্তন আনতে চান?
লিয়াকত হোসাইন: জ্বি, এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা আছে। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে টিমওয়ার্কে বিশ্বাসী। তাই সদস্যরা যদি তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে সংগঠনের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ দেন, তাহলে আমার প্রথম ইচ্ছা একটি সুসংঘবদ্ধ, সক্রিয় এবং সুশৃংখল কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা বা এমন কমিটির একজন সদস্য হয়ে উঠা। কারণ একটি কমিটি তখনই তার সর্বোচ্চটা দিতে পারে, যখন এর প্রতিটি সদস্য কাজ করার বা মতামত দেবার সুযোগ পায়। একটি দলীয় লক্ষ্যে কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রত্যেকজন সদস্যর যে দায়িত্ব থাকবে সে যদি সেটা ঠিক মত পালন করতে পারেন বা অন্যরা যদি তাকে সেই সহযোগিতা করেন, তবেই কেবল একটি শক্তিশালী কার্যনির্বাহী কমিটি গড়ে উঠে। আর সবাই সক্রিয় থাকলে ভালো কিছু হবেই। তাই, আমি প্রথমত, এই পরিবর্তনটি-ই আনতে চাই।
দ্বিতীয়ত, ঢাকার আশপাশে কোথাও বেসিসের নিজস্ব ভবন তৈরির কাজ শুরু করার চেষ্টা করবো। তৃতীয়ত, বেসিসের সদস্যদের জন্য কল্যাণ তহবিল চালু করা। চতুর্থত, দেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক আউটসোর্সিং করার সুযোগ তৈরি করা। বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আউটসোর্সিং করার সুযোগ রয়েছে। যেটা আমাদের দেশে নেই। এখানে যেসব ফ্রিল্যান্সিং করা হয় সেটা ব্যক্তি উদ্যোগে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নয়। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আন্তরিকতার কমতি নাই। শুধু আমাদের নেতাদের সঠিক নেতৃত্বের অভাবে দেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আউটসোর্সিং করার ক্ষেত্র তৈরি হয়ে উঠেনি। আমি এ জায়গাটাতে কাজ করতে চাই।
পঞ্চমত, সারাদেশের হাইটেক পার্কে সদস্যদের জন্য অফিস বরাদ্দের ব্যবস্থা করা। অনেক সদস্য আছেন যারা অফিসের ভাড়া দিতে পারেন না। তাদের জন্য ওই হাইটেক পার্কগুলোতে ফ্রিতে জায়গা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সরকার সদস্যদের কাছ থেকে শুধু গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ম্যান্টিন্যান্স সার্ভিস বিল নিবে। একই ভাবে ঢাকার পাশের জেলায় পদ্মার তীরে মাওয়া বা ফরিদপুর, এমনকি গোপালগঞ্জে একটা স্মার্ট সিটি তৈরি করে সেখানে সদস্যদের জন্য ফ্রিতে জায়গা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।
ষষ্ঠত, বেসিস সদস্যদের জন্য ক্যাশ ইনসেনটিভ সহজীকরণ করার চেষ্টা করবো। সফটওয়্যার সেবায় কর্পোরেট ভ্যাট ও করমুক্ত করার চেষ্টা করবো। সপ্তমত, নারী সদস্যদের জন্য বেসিস নারী উদ্যোক্তা ওয়ানস্টপ সলিউশন ডেস্ক চালু করবো। যেখানে বেসিসের নারী উদ্যোক্তাদের সব অভিযোগগুলো শোনা হবে এবং তাদের তৈরি পণ্যগুলো সেখানে রিভিউ করা হবে। সেসাথে এর মাধ্যমে তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। অষ্টমত, সদস্যদের এমপ্লয়ী ডাটাবেইজ তৈরি করবো।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: যদি কার্যনির্বাহী পরিষদে না আসেন, তখনও কি এসব কাজ করবেন?
লিয়াকত হোসাইন: দেখুন, গত মেয়াদে কার্যনির্বাহী পরিষদে না থেকেও আমি ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছি। ইন্ডাস্ট্রির প্রতি আমার ভালবাসা ও দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এটা করেছি। কার্যনির্বাহী পরিষদে থাকলেই যে ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করা যায়, এমনটা নয়। বাইরে থেকেও অনেক কাজ করা যায়। ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে কাজ করার জন্য দরকার একটা সুন্দর মানসিকতার। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তারা যদি কাজ করবার সুযোগ দেন আমি অবশ্যই আমার সেরাটুকুই করবো।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: নির্বাচিত হলে বেসিসকে কোন স্তরে দেখতে চান?
লিয়াকত হোসাইন: বেসিস আজকে যে অবস্থানে এসেছে তা একদিনে আসেনি। অসংখ্য মানুষের সম্মিলিত চেষ্টা, চিন্তা-ভাবনা, ত্যাগ, কঠোর পরিশ্রমের ফসল আজকের এই অবস্থান। যেসব নিবেদিত সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজকে বেসিসকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন, তাদেরকে জানাই কৃতজ্ঞতা। আমি মনে করি, আমরা যদি শুধু এককভাবে কোন পরিকল্পনা গ্রহণ না করে, আইসিটি ইন্ডিাস্ট্রির শীর্ষ পাঁচ বাণিজ্য সংগঠনকে এক ছাতার নিচে এনে সম্মিলিতভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করে সে অনুসারে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আমাদের আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ আইসিটি খাত থেকে রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার টার্গেট পূরণ করা কঠিন কিছু হবে না। আমার বিশ্বাস, আমরা যদি সঠিক পরিকল্পনা করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ হতে পারে বিশ্বের অন্যতম সফটওয়্যার আউটসোর্সিং গন্তব্য। আর এর নেতৃত্বে থাকবে বেসিস। আমি একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে বেসিসকে একটা কার্যকর সম্মানজনক বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে দেখতে চাই।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...