বুধবার

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ


খবর

তরুণ বক্তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হলো উদ্ভাবনী সমাধানে নেতৃত্ব তৈরির প্রত্যয়

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, সকাল ৭:৫২

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিকভাবে ৮০০ রেজিষ্ট্রেশন থেকে কয়েক ধাপে সারাদেশ থেকে ২০ জন গ্রান্ড ফিনালিষ্ট ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বে বিচারকদের সামনে এই ৩ টপিক থেকে যেকোন এক টপিকে ৪ মিনিট করে পাব্লিক স্পিকিং করে। চূড়ান্ত রাউন্ড শেষে বিজয়ী হন তিনজন প্রতিযোগী-বিজয়ী এবং প্রত্যেকেই পেয়েছেন প্রাইজমানি। সব ফাইনালিস্টদের ট্রফি ও সনদপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

অপতথ্যের বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সত্য উন্মোচন, আগামীর দুনিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নিজেদের অবস্থান সুসংহত করণ এবং উদ্ভাবনী সমাধানে নেতৃত্ব তৈরির প্রত্যয়ে শেষ হলো ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ ২০২৫। এমন তিনটি বিষয়ে সফট স্কিল অর্জনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে তা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে দেশের তরুণ বক্তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হলো নেতৃত্বের আহ্বান, আত্মবিশ্বাসের প্রকাশ এবং ভবিষ্যতের গল্প।

শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্ব। প্রতিযোগিতায় সিলেট আর্মি আইবিএ থেকে মাশরুরা মেশকাত পূর্ণ হয়েছেন ১ম স্থান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাসনিমুল ইসলাম আফিফ ২য় এবং ঢাকা মোহাম্মদপুর প্রিপেরটরি হাই স্কুল থেকে আদিবা সুলতানা আলিফা হয়েছেন ৩য়।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইয়ুথ আপস্কিল নেটওয়ার্ক-ইউনেট জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৮০০ রেজিষ্ট্রেশন থেকে কয়েক ধাপে সারাদেশ থেকে ২০ জন গ্রান্ড ফিনালিষ্ট ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বে বিচারকদের সামনে এই ৩ টপিক থেকে যেকোন এক টপিকে ৪ মিনিট করে পাব্লিক স্পিকিং করে। চূড়ান্ত রাউন্ড শেষে বিজয়ী হন তিনজন প্রতিযোগী-বিজয়ী এবং প্রত্যেকেই পেয়েছেন প্রাইজমানি। সব ফাইনালিস্টদের ট্রফি ও সনদপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন আমান সুলায়মান, ইংলিশ অলিম্পিয়াড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সংগঠক, কে এম হাসান রিপন, জেন বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির নির্বাহী পরিচালক ও অধ্যক্ষ, সোলায়মান আহমেদ জিশান, পাব্লিক স্পিকিং অফিসিয়াল (পিএসও)-এর প্রতিষ্ঠাতা, এবং ব্যারিস্টার রাফায়েলুর রহমান মেহেদী, জেসিআই বাংলাদেশ ন্যাশনাল গভর্নিং বডি মেম্বার।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক, ভাইস চ্যান্সেলর, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। তিনি বলেন, "যে তরুণ-তরূণী কথা বলতে জানে, তারাই পারে ভবিষ্যত গড়তে। এই আয়োজন সেই সাহসী কণ্ঠগুলোকে একত্র করেছে।"

ইভেন্ট ডিরেক্টর মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল, ইউনেট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, তার বক্তব্যে বলেন, “যুব কণ্ঠ যত দৃঢ় হবে, দেশ তত সমৃদ্ধ হবে। তরুণরা যখন তাদের কণ্ঠ খুঁজে পায়, তখনই তারা নিজেদের লক্ষ্য খুঁজে পেতে শুরু করে। ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ আমরা আয়োজন করেছি এই বিশ্বাস থেকে-যেন তরুণরা সাহস নিয়ে কথা বলতে পারে, চিন্তা প্রকাশ করতে পারে, এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা ছড়াতে পারে। আজকের প্রতিটি বক্তৃতাই ছিল ভবিষ্যতের একেকটি রূপরেখা।”

মাহির আশেফ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিওও এবং এই আয়োজনের কনভেনার, বলেন, “আসল পরিবর্তন শুরু হয় আত্মপ্রকাশ থেকে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা এমন এক প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই যারা যুক্তির সাথে কথা বলতে জানে, সহানুভূতির সাথে নেতৃত্ব দিতে পারে, এবং সচেতনভাবে কাজ করতে পারে। আমরা যে উদ্দীপনা ও সম্ভাবনা দেখেছি, এটি কেবল শুরু মাত্র।”

আয়োজনটির স্পন্সর হিসেবে যুক্ত ছিলো ইংলিশ থেরাপি, চমৎকার ডিজিটাল, গ্লোবাল ট্রাভেলস, ব্যাস নেটওয়ার্ক এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। 

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৬২ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর