শনিবার

ঢাকা, ১৫ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ


টেলিকম

টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবাখাতের সংস্কার সময়ের দাবি

প্রকাশ: ৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ২:২৮

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবাখাতে সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের গতি হতে হবে সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস। কোয়ালিটি বেঞ্চমার্ক নির্ধারণ করতে হবে। ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের মূল্য কমিয়ে আনতে হবে। ডাটার কোন মেয়াদ থাকবে না। ইন্টারনেট যে কোন অজুহাতে বাজে কোন কারণে সরকার বন্ধ করবে না এই ঘোষণা অথবা এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। পাশাপাশি ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। 

প্রতিবেশী দেশ থেকে ইন্টারনেট সেবার অন্যতম হাব সিডিএন দেশের স্থাপন করা হলে ইন্টারনেটের দাম ৫০ শতাংশ কমে যাবে। তাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে মোবাইল অপারেটরদের  সুযোগ দিতে নতুন লাইসেন্সিং হুটহাট করে পলিসি বদল না করে, মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দাতাদের হাতে হাত রেখে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

রবিবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘দ্রুতগতির মানসম্পন্ন ও সহজলভ্য ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকম বিশেষজ্ঞ মোস্তফা হুসাইন।

মোস্তফা হুসাইন বলেন, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবাখাতে সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের গতি হতে হবে সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস। কোয়ালিটি বেঞ্চমার্ক নির্ধারণ করতে হবে। ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের মূল্য কমিয়ে আনতে হবে। ডাটার কোন মেয়াদ থাকবে না। ইন্টারনেট যে কোন অজুহাতে বাজে কোন কারণে সরকার বন্ধ করবে না এই ঘোষণা অথবা এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। পাশাপাশি ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। 

টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবাখাতের সংস্কারের জন্য তিনি কিছু সুপারিশ করেন। সুপারিশে তিনি বলেন, অবৈধ আইএসপি ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে মোবাইল অপারেটরদের আইএসপি ব্যবসা থেকে বিরত রাখতে হবে। ওভারহেড ফাইবার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। ব্যান্ডউইথ ও এনটিটিএন এর দাম নির্ধারণ না করে বাজার প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দিতে হবে। ইন্টারনেট এর ওপর কর কমিয়ে আনতে হবে। সহজ লভ্য হ্যান্ডসেট গ্রাহকদেরকে কিস্তির মাধ্যমে অপারেটরদেরকে বিক্রয়ের জন্য বাধ্য করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মোবাইল অপারেটর যদি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায় আসে তাহলে আইএসপির ব্যবসা থাকবে

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি'র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইমাদুর রহমান, বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান, টেলি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ মাহতাব উদ্দিন, আইআইজিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, বিডি জবসের সিইও ও বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর, আইএসপিএবি'র সভাপতি ইমদাদুল হক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, বেসিসের অ্যাসোসিয়েট কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাসির, গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিনিয়র ডাইরেক্টর কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, রবির রেগুলেশনের ডিরেক্টর শাহ মো. ফজলে খোদাসহ আইআইজিবি, আইএসপিএবি, মোবাইর অপারেটর প্রতিনিধি এবং টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৫৯ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর