মঙ্গলবার

ঢাকা, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

সর্বশেষ


টেলিকম

টেলিটকের কাছে পাওনা ১৩ কোটি টাকা চান ডিলাররা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বিকাল ৫:২৬

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

রিটেলারদের টেলি চার্জ ও পল্লী বিদ্যুৎ সেল করার জন্য টেলি-পে অ্যাপ সামান্য অজুহাতে মাঝে মাঝে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিম এক্টিভেশন এবং প্রথম রিচার্জ করতে মিনিমাম ২০ মিনিট সময় লাগে। যাতে করে রিটেলাররা টেলিটকের সিম বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করে। টেলিটকের টাওয়ারে ব্যাটারি ব্যাকআপের কোনো ব্যবস্থা নাই। 

ডিলার হাউজের সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ (এসআর), সুপারভাইজার এবং ব্যান্ড প্রোমোটারদের (বিপি) বেতন বাবদ কম্পেনসেশন ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের চলতি মাস পর্যন্ত সকল বকেয়া কমপেনসেশন ১৩ কোটি টাকা শিগগিরই পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছে টেলিটক ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (টিডিএবি)

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি ও প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনের দুই সমন্বয়ক মো. রেজাউল করিম জাহাঙ্গীর এবং মো. নুরুল ইসলাম। আর দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে সব ডিলাররা লিফটিং এবং মার্কেটিং বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. রেজাউল করিম জাহাঙ্গীর বলেন, স্বৈরাচার সরকারের আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে বর্তমান সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্ট টেলিটককে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। এই গ্রুপের একমাত্র কাজ হলো টেলিটককে একটি লস প্রজেক্ট হিসাবে দাঁড় করিয়ে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করে বড় আকারের কমিশন বাণিজ্য করা। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কেটে সিমের চাহিদা থাকলেও চাহিদা মোতাবেক সিম ডিলারদের কাছে দেওয়া হয় না।

তিনি বলেন, রিটেলারদের টেলি চার্জ ও পল্লী বিদ্যুৎ সেল করার জন্য টেলি-পে অ্যাপ সামান্য অজুহাতে মাঝে মাঝে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিম এক্টিভেশন এবং প্রথম রিচার্জ করতে মিনিমাম ২০ মিনিট সময় লাগে। যাতে করে রিটেলাররা টেলিটকের সিম বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করে। টেলিটকের টাওয়ারে ব্যাটারি ব্যাকআপের কোনো ব্যবস্থা নাই। কারেন্ট চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটওয়ার্কও চলে যায়। আরো কষ্টের কথা হলো আমাদের এবং রিটেলারদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিম প্যাকেজের প্রাপ্য ইউজেস কমিশন অফিস অর্ডার থাকা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত প্রদান করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এই সব কারণে বর্তমানে আমাদের ডিলাররা প্রতি মাসে আর্থিক এবং মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমাদের মাসিক এস আর, সুপারভাইজার এবং বিপিদের বেতন বাবদ কম্পেনসেশন, বর্তমান জিএম সর্বশেষ ২০২১ সালের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর প্রদান করেছেন। কিন্তু জানুয়ারি ২০২২ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রেখেছে। টেলিটক প্রথমে প্রত্যেক ডিলারের কাছ থেকে জামানতস্বরূপ এক লাখ টাকা করে নেয় এবং পরবর্তীতে পল্লী বিদ্যুৎ/টেলিচার্জ বাবদ সারা বাংলাদেশের ডিলারদের কাছ থেকে ২০১৯ সালে ডিলার প্রতি ৩ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সিকিউরিটি ডিপোজিট নেয়। কিন্তু বছরখানেক পর কিছু অসাধু কর্মকর্তা পল্লী বিদ্যুৎ বিল ও টেলিচার্জ ব্যবসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওয়ার বাই টেলিটক হিসেবে চুক্তি করে। এতে ডিলারদের বিদ্যুৎ বিল ও টেলিচার্জ ব্যবসা কমতে শুরু করে এবং ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে আসে।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৬৯ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর


Card image

আইসিএসবি সম্মাননা পেল রবি

প্রকাশ: ৯ অক্টোবর ২০২৪