১৭ ঘন্টা আগে
১৮ ঘন্টা আগে
২১ ঘন্টা আগে
২২ ঘন্টা আগে
২৩ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার রিসোর্স যেমন নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার প্রভৃতি সার্ভিস সহজে, ক্রেতার সুবিধা অনুযায়ী এবং ব্যবহারের ভিত্তিতে ভাড়া দেয়ার ব্যবস্থা থাকে। এটি ব্যক্তি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান উভয় ক্ষেত্রেই অবকাঠামোর একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাজ্যের ক্লাউড কম্পিউটিং বাজারে দীর্ঘ সময় নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে অ্যামাজন ও মাইক্রোসফট। এতে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাজারে প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে দেশটির প্রতিযোগিতা ও বাজার কর্তৃপক্ষের (সিএমএ) তদন্তের মুখে পড়েছে তারা।
ব্রিটিশ সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকমের তথ্যমতে, যুক্তরাজ্যের ক্লাউড কম্পিউটিং বাজারের ৭০-৮০ ভাগের নিয়ন্ত্রণ এ দুই প্রতিষ্ঠানের হাতে। আর তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী গুগলের দখলে রয়েছে মাত্র ৫-১০ শতাংশ। বিদ্যমান বাস্তবতায় এ দুই প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমিয়ে রাখে কি না, সেটি নিয়ে তদন্ত চালাবে সিএমএ।
অ্যামাজন ও মাইক্রোসফট উভয়েই বিবিসিকে জানিয়েছে, তদন্তকাজে তারা সিএমএর সঙ্গে সহযোগিতা করবে। যদিও অ্যামাজন বলছে, অফকমের উদ্বেগগুলো এ খাতের বিষয়ে মৌলিক কিছু ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার রিসোর্স যেমন নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার প্রভৃতি সার্ভিস সহজে, ক্রেতার সুবিধা অনুযায়ী এবং ব্যবহারের ভিত্তিতে ভাড়া দেয়ার ব্যবস্থা থাকে। এটি ব্যক্তি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান উভয় ক্ষেত্রেই অবকাঠামোর একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ নিজেদের ডাটা সঞ্চয় করে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারে, গান ও ভিডিও স্ট্রিম করতে পারে এবং গেম খেলতে পারে। এটিকে অনেক সময় অন্যের কম্পিউটার হিসেবেও বর্ণনা করা হয়। এখানে বিশ্বজুড়ে বিশাল ডাটা সেন্টারে শক্তিশালী মেশিনের বিশাল নেটওয়ার্ক সংরক্ষিত থাকে।
অফকমের ধারণা, ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে ক্লাউড পরিষেবার বাজারমূল্য ৭৫০ কোটি পাউন্ডের বেশি ছিল। সিএমএর প্রধান নির্বাহী সারাহ কার্ডেল বলেন, ‘অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখন সম্পূর্ণ ক্লাউড পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল। ফলে এই বাজারে কার্যকর প্রতিযোগিতা অপরিহার্য। দৃঢ় প্রতিযোগিতা বাজারে সমতা নিশ্চিত করে, যাতে পুরো ব্যবস্থাটি কিছু প্রতিষ্ঠানের হাতে কুক্ষিগত না হয়ে পড়ে।’
দ্রুত বিকাশমান এই বাজারের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে চায় অফকম, যাতে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি এর সর্বোচ্চ সুবিধাটি পেতে পারে।
সিএমএ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে তাদের তদন্তকাজ সম্পন্ন হবে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের বাজারের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা রাখে সংস্থাটি। অভিযুক্ত কোম্পানির নিয়মবহির্ভূত চর্চার রাশ টেনে ধরা এমনকি তাদের ব্যবসার কিছু অংশ বিক্রি করে বাধ্য করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের।
যুক্তরাজ্যের কেবিনেট অফিসের আইসিটি বিভাগের সাবেক প্রধান নিকি স্টুয়ার্ট বলেন, ‘ডাটা ইগ্রেস ফি, প্রযুক্তিগত ও বাণিজ্যিক লক-ইনের মতো প্রতিযোগিতামূলক সমস্যা মোকাবেলার যাবতীয় কৃতিত্ব অফকমের। এ সমস্যাগুলো অনেক দিন ধরে যুক্তরাজ্যের ক্রমবর্ধমান ক্লাউড অবকাঠামো বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’ সূত্র: বিবিসি।
মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আইএসপিএবি'র সাবেক...