১৬ ঘন্টা আগে
১৬ ঘন্টা আগে
১৭ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
সরকারের সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে বা সরকারি কাজে দেশীয় সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের নিজস্ব অ্যাজেন্সির সাথে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়, তখন বিষয়টির ভাবনার জায়গাটা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে সরকারি অ্যাজেন্সিগুলো যেনো সরকারের সুবিধা ভোগ করে কাজগুলো বাগিয়ে নিতে না পারে। সেসাথে সংগঠন হিসেবে বেসিসের কাজ হবে সদস্যপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থ সুরক্ষায় মনোযোগী হওয়া। সরকারের সাথে সুসম্পর্ক যেনো সাংগঠনিক স্বার্থেই ব্যবহৃত হয়। কারণ সংগঠনের কাজ সদস্যদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নে সদস্য তথা ইন্ডাস্ট্রির সার্থে সরকারের সাথে দেনদরবার করা।
সকলে সম্মিলিতভাবে আগামী দিনের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সমমনা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ী নেটওয়ার্ক। তবে বিকল্প নয়, পুরাতন ভুল শুধরে এগিয়ে যেতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও দেশীয় প্রতিষ্ঠানে কাজ বণ্টন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ২.০’ বাস্তবায়ন করতে চায় এই নেটওয়ার্কের সদস্যরা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সমমনা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ী নেটওয়ার্ক-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘কেমন দেখতে চাই আগামী দিনের তথ্যপ্রযুক্তি খাত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বেসিস এর সাধারণ সদস্যরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সরকারের সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে বা সরকারি কাজে দেশীয় সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের নিজস্ব অ্যাজেন্সির সাথে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়, তখন বিষয়টির ভাবনার জায়গাটা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে সরকারি অ্যাজেন্সিগুলো যেনো সরকারের সুবিধা ভোগ করে কাজগুলো বাগিয়ে নিতে না পারে। সেসাথে সংগঠন হিসেবে বেসিসের কাজ হবে সদস্যপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থ সুরক্ষায় মনোযোগী হওয়া। সরকারের সাথে সুসম্পর্ক যেনো সাংগঠনিক স্বার্থেই ব্যবহৃত হয়। কারণ সংগঠনের কাজ সদস্যদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নে সদস্য তথা ইন্ডাস্ট্রির সার্থে সরকারের সাথে দেনদরবার করা।
তারা মনে করেন, সময় এসেছে বৈষম্য দূরীকরণের। এবং এই কাজটি করতে হবে সকলে মিলে। পরিবর্তন করতে হবে ব্যক্তি মানসিকতার। সাংগঠনিকভাবে চর্চা শুরু করতে হবে স্বচ্ছতার আর গণতান্ত্রিকতার। তথ্যপ্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রির সার্বিক উন্নয়নে তৈরি করতে হবে ব্যবসায়িক ইকোসিস্টেম। সরকারের সাথে কাজ করবার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে সাংগঠনিক স্বার্থকে। সরকারি দরপত্রে দেশীয় প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণের পরিক্রমায় আনতে হবে আধুনিকতা এবং নিশ্চিত করতে হবে সহজীকরণ। মনোযোগ দিতে হবে ইন্ডাস্ট্রিবান্ধব আইন প্রনয়ণে।সর্বোপরি প্রয়োজন দক্ষ জনগোষ্ঠী এবং গবেষণা। এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবার এখনই সময়। আর এই কাজগুলো করতে হলে প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ ও কর্মপরিকল্পনা। এভাবেই এগিয়ে যাবে আগামীর তথ্যপ্রযুক্তি খাত।
বেসিস সাবেক পরিচালক রাশাদ কবিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বেসিস-এর সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সদস্যদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে সরকারের সাথে ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে সঠিক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। দুর্যোগকালীন সদস্যদের পাশে থাকা এবং সদস্যদের স্বার্থেই কথা বলা।
বিগত সময়ে ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে ইন্টারনেট সংযোগ বিষয়ে নেতৃত্বের জায়গায় নিজের অবস্থান উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদেরকে নেতৃত্বে আরও দৃঢ়তার পরিচয় দিতে হবে। সরকারের সাথে কাজ করতে হবে অবশ্যই, তবে নেতৃত্বের জায়গা হতে একটি পেশাগত দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারণ ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নয়নে অনেক সময়ই আমরা আমাদের সাংগঠনি স্বার্থ উদ্ধার করতে ব্যর্থ হই। অপরদিকে আমরা আজও আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সঠিক অবস্থানটা পরিষ্কার করতে পারি নাই। সেটা স্থানীয়ভাবেই হোক, আর আন্তর্জাতিকভাবেই হোক। কারণ আমাদের কাছে নেই কোনো সঠিক তথ্য-উপাত্ত, নেই গবেষণা।
বিগত সময়ে বেসিসের পক্ষ হতে নেওয়া ইগভ ডট হাব ডট নেটসহ অন্যান্য উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, অনেক ভালো উদ্যোগই বন্ধ হয়ে গেছে রাজনৈতিক স্বার্থে বা ব্যক্তি স্বার্থে। একই চর্চাগুলো হতে দেখেছি সাংঠনিক কর্মকান্ডে। আমাদের অর্থ ব্যয়ের খাত যতটা না ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিংয়ে ব্যবহৃত হয়, তার অর্ধেকও হয় না ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গবেষণা বা সিস্টেম উন্নয়নে।
উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহযোগিতায় এন্ট্রাপ্রেনার্স সাপোর্ট ফান্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ইএসএফ ফান্ডের মত সরকারি বেশ কিছু সহযোগী কর্মকান্ড আছে, যেখানে বেসিসের নেই কোনো নিয়মিত যোগাযোগ। সরকারি দরপত্রের স্বচ্ছতা এবং বড় বড় কাজে খুব বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার আইনগত বিষয়টি আমরা নিশ্চিত কারছিলাম, কিন্তু এর বাস্তবায়ন এখনও হয়নি। সব মিলিয়ে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হলে সবার অংশগ্রহণ যেমন দরকার, তেমনি দরকার দায়িত্বে থেকে বাকিদেরকে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।
সেই সাথে সদস্য সংস্কারের গুরুত্ব দিয়ে বেসিসের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমরা বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে প্রস্তাব দেব এবং এই কাজে সহযোগিতারও প্রত্যয় আমাদের আছে। কারণ আমরা চাই সবার জন্য বৈষম্য বিহীন একটা বেসিস।
বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান বলেন, সংঠনের কাজ ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করা এবং ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে সরকারকে অ্যাডভোকেসি করা। সদস্যদের উচিত তাদের ব্যবসায়িক উন্নয়নে সাময়োপযোগী হওয়া। কারণ একটি সফল ব্যবসায়িক উদ্যোগ সংগঠনের ব্র্যান্ডিংয়ে জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর সংগঠনই তখন গুরুত্ব দেবে সেই উদ্যোগকে।
সংগঠনের দায়িত্বের জায়গায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ভিন্ন মত থাকতেই পারে বা ভিন্ন মত থাকবেই। কিন্তু নিজের স্বার্থ বা ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রত্যেক পরিচালকের উচিত কথা বলা, দাবি সঠিক থাকলে তা বাস্তবায়নে যুথবদ্ধ হওয়া। এতে করে সাংগঠনিকভাবে প্রতিবাদের ভাষার ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া যৌক্তিক নয়। আর কোনভাবেই কার্যনির্বাহী কমিটিকে সভাপতিকেন্দ্রিক হতে দেওয়া উচিত নয়।
এই সময়ে তিনি সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে গণতান্ত্রিক চর্চার কথা উল্লেখ করে বলেন, পারস্পারিক সহযোগিতা পরামর্শ এবং গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা।
বেসিসের সাবেক মহাসচিব ফোরকান বিন কাশেম বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা সরকারি দরপত্র, ভ্যাট, ট্যাক্স ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বলেই আসছি। দৃশত, আইনগত পরিবর্তন অজও হয়নি। বৈষম্যহীন সমাজ বা সংগঠন গড়ে তুলতে আইনের সংস্করণ ভীষণ জরুরি এবং এই বিষয়ে কাজ করবার এটাই উপযুক্ত সময়।
বেসিসের সাবেক জ্যৈষ্ঠ সভাপতি মুশফিকুর রহমান বলেন, আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখা নেতৃত্বের অনেক বড় একটি দায়। এবং এই দায় এড়াবার সুযোগ নাই। বৈষম্যহীন স্বচ্ছ সংগঠন গড়ে তুলতে বা আগামী প্রজন্মের জন্য যোগ্য নেতৃত্বের উদাহরণ তৈরিতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার চর্চাটা ভীষণ জরুরি। সাংগঠনের দায় বা সাংগঠনিক উন্নয়নে কার্যনির্বাহী কমিটি সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাটা ভীষণ জরুরি। এছাড়া বেসিসের সংস্করণের সময়ের পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিয়ে সংবিধানের পরিবর্তনের পরামর্শ দেন তিনি।
বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম অনেক স্মার্ট ও তারা প্রযুক্তিতে অগ্রহী এবং ইনোভেটিভ। তারা কাজ করতে চায়। তারা বিদেশে না গিয়ে দেশে থেকেই উপার্জন করছে বৈদাশিক মুদ্রা। আমাদের উচিত তাদের জন্য সঠিক কর্ম পরিবেশ এবং একটি ব্যবসায়িক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। পাশাপাশি, প্রয়োজন সঠিক তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণা। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এখন একটি সর্বজনীন চর্চা, যেখানে আমরা অনেক পিছিয়ে। সাংগঠনিকভাবে স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলোর গুরুত্ব আপরীসীম। তবে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণে আমাদের কাজ করতে হবে। কার্যনির্বাহী কমিটিতে এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েই কাজ করার চেষ্টার করছি আমরা।
আলোচনায় রায়েন্স কম্পিউটার্স-এর স্বত্বাধিকারী আহমেদ হাসান জুয়েল বলেন, সংগঠনকে সব সময় মনে রাখতে হবে তার শক্তির উৎস হচ্ছে তার সদস্য। তার উন্নয়ন এবং সফলতা নির্ভর করে সদস্যদের উন্নয়নে এবং ভালো থাকায়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নয়ন বা সাংগঠনিক উন্নয়নে সরকারের কোথায় কতটুকু প্রয়োজনীয়তা এটা নেতৃত্ব থাকা সদস্যদের বুঝতে হবে। সংগঠনের সকল কর্মকান্ডে সরকারের প্রতিনিধি থাকতে হবে, এমনটা যেনো না হয়। সাংগঠনিক অনুষ্ঠানগুলোতে সদস্যদের সর্বোচ্চ উপস্থিতির গুরুত্ব থাকতে হবে। তাদের স্বার্থ সুরক্ষা হতে থাকবে অগ্রাধিকারে। নিজের অবস্থান যদি সাংগঠনিকভাবে যথাযথ মর্যাদার হয়, তবেই আমরা সরকারের সাথে দেনদরবার করতে পারবো মাথা উঁচু করে।
সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি শোয়েব আহমেদ মাসুদ বলেন, সরকারি দরপত্রের পুরো প্রক্রিয়াটিকে আধুনিকীকরণ বা পরিমার্জন করা এখন সময়ের দাবি। একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সবার আগে তার কারিগরি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সরকারি প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ার পরিবর্তনে সংগঠনের ভূমিকা আরও জোরদার হওয়া উচিত।
সংগঠনের উন্নয়নে দলীয়করণ সংস্কৃতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, দলীয়করণের কারণে সংগঠন আজ দ্বিধাবিভক্ত। জাতীয় স্বার্থে এই চর্চা হতে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এক্ষত্রে বিকল্প কিছু নয়, বরং বিগত সময়ের ভুলগুলো সংশোধন করে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।
মামলুল কাদের বলেন, আমরা ইন্টারনেটে কথা বলছি তার প্রয়োজন অনস্বীকার্য, কিন্তু দেশে বর্তমান সময়ে বিদুৎ-এর অবস্থাও খারাপ হতে পারে। রাষ্ট্রীয় ব্যাংকিং অবস্থাও এখনো স্থিতিশীল নয়। তাই আমাদের সকলেরই উচিত হবে এই মহূর্তে বিদেশী বাজার উন্নয়নে মনোযোগী হওয়া।
পরিচালক রাশাদ কবির বলেন, দেশে আইসিটিকে জরুরি খাত হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে স্বচ্ছতার, গণতান্ত্রিকতার। মনোযোগী হতে হবে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে। দেশীয় সফটওয়্যার পণ্য সেবার আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিংয়ে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে ব্র্যান্ডিংয়ে মনোযোগী হতে হবে আমাদেরকে।
বেসিসের সাবেক জ্যৈষ্ঠ সহ সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, ইন্টারনেটের স্বাধীনতা বা ইন্টারনেট ব্যবস্থা এখন সময়ের দাবি। এক্ষেত্রে সাংগঠনিকভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে ও আমাদেরকে সংঘবদ্ধ হতে হবে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে আমাদের ব্যক্তিগতভাবে বিশ্ব বাজারে ব্র্যান্ডিংয়ের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করাও কঠিন কাজ। সারকারি কাজে সংগঠনের অংশগ্রহণের স্বচ্ছতা বজায় রাখা উচিত। সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে প্রবীণ এবং নবীণদের পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধের চর্চাটা জরুরি।
বেসিসের অন্যতম উদ্যোগ বিআইটিএম-এর বর্তমান দুদর্শার কথা উল্লেখ করে ফারহানা এ রহমান বলেন, ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে গঠিত বেসিসের এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কর্মকান্ড হতাশাজনক। আমাদের দক্ষ এবং গুণগতমানসম্পন্ন মানবসম্পদের অভাব এই জায়গায় বিআইটিএমের ভূমিকাকে জোরদার করার অনুরোধ জানান তিনি।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারের বাজেট বরাদ্দের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতি বছর বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি বরাদ্দ বাড়ার কথাই আমরা শুনে আসছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে জানতে পারিনি এই বরাদ্দ কি কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি কাজে বা সংগঠনের কাজে আমাদেরকে গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার চর্চার উপরে গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই কেবল প্রতিষ্ঠিত হতে পারে বৈষম্যহীন বেসিস।
বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি নাজনীন নাহার বলেন, সংগঠনের মূল দায়িত্ব হলো সদস্যদের জন্য কাম্য ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকারকে উৎসাহিত করা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ দাবি আদায়ে সোচ্চার হওয়া। সেই জায়গা হতে সরে গেলে বা ব্যক্তি স্বার্থ বড় হয়ে গেলে সংগঠনগুলো তাদের আবেদন হারায়। বর্তমান সারকার সংস্কারে মনোযোগী। আমাদের এই সুযোগটি কাজে লাগাতে হবে। নিজেদের মধ্যকার দ্বিধা ভুলে সবাই মিলে এক কন্ঠস্বরে ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে এবং সংস্কারে কাজ করতে হবে।
এছাড়াও সভায় বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মীর শাহরুখ ইসলাম, সদস্য নাদিম মজিদ, নাফিসা বর্ষা, মৃদুল চৌধুরী, তানজিম ইসলাম, ইশতিয়াক আহমেদ, মিনহাজ ফাহমি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...