স্মার্ট ভিলেজ গড়তে মানিকগঞ্জ ও ফেনীতে কর্মশালা

একটা প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামকে স্মার্ট ভিলেজের মডেল হিসেবে গড়ে তুলে ধারাবাহিকভাবে সেটির কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে মানিকগঞ্জ ও ফেনীতে দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

স্মার্ট ভিলেজের কার্যক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে প্রথমে মানিকগঞ্জে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ আগস্ট স্মার্ট ভিলেজ সোসাইটির আয়োজনে ‘ক্যারিয়ার ইন ই-কমার্স’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ১১০ জন তথ্যপ্রযুক্তিপ্রেমী তরুণ-তরুণী  অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল আই-মেশ লিমিটেডে ও টেক সলুশানস। সহযোগিতায় ছিল ই-ক্যাব ওমেন ফোরাম, ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই) এবং নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন।

এরই ধারাবাহিকতায় ফেনী জেলার উদীয়মান আগ্রহী উদ্যোক্তাদের নিয়ে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফেনীর ক্রাউনওয়েস্ট রেস্টুরেন্ট  স্মার্ট ভিলেজ সোসাইটির আয়োজনে ‌‘ব্যবসা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনীর বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হানিফ। প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন আই-মেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির শাহেদ আলী এবং বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম ও ই-ক্যাব ওমেন ফোরামের সভাপতি নাজনীন নাহার।

কর্মশালায় ব্যবসার পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নির্ধারণ, বিনিয়োগ ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা,  বিপনন ও নতুন বাজারে প্রবেশ, নিজের ও সহকর্মীর দক্ষতা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।  

আই-মেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির শাহেদ আলী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন সরকার  স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরকে স্মার্ট করে তুলতে হবে। আর শহরগুলোর সাথে সাথে গ্রামগুলোকেও স্মার্ট হতে হবে। তাহলেই কেবল সারাদেশ স্মার্ট করা সম্ভব। সে জায়গা থেকে গ্রামগুলোকেও স্মার্ট করতে হলে আগে স্মার্ট করতে হবে সে এলাকার শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণীকে। তাই সে লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে সারাদেশের তরুণ-তরুণীদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি, ই-কমার্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথমে মানিকগঞ্জ ও পরে ফেনীতে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে  স্মার্ট ভিলেজ সোসাইটি। এভাবে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন জেলায় তরুণ-তরুণীদের স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়ে তুলেতে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

ই-ক্যাব ওমেন ফোরামের সভাপতি নাজনীন নাহার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য ৪টা মূল স্তম্ভ ঠিক করা হয়েছে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট। এ চারটি স্তম্ভের উপর গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। পরিকল্পিত স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। এককথায় তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সব সেক্টরের সব কার্যক্রমই করা যাবে স্মার্টলি। যেমন, স্মার্ট করা হবে সব শহরকে, তেমনি স্মার্ট হবে গ্রাম এবং স্মার্ট হবে উদ্যোক্তাগণ তাদের উদ্যোগ নিয়ে।

এই কর্মশালার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান হিসেবেও ছিল আই-মেশ লিমিটেডে ও টেক সলুশানস। সহযোগিতায় ছিল ই-ক্যাব ওমেন ফোরাম, ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই) এবং নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন।