১৫ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
অল্প বয়সীদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবকে অভিশাপ বলে উল্লেখ করেছেন আলবানিজ। তিনি বলেন, শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে চলতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে একটি আইন প্রণয়ন করা হবে।
শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এর জন্য ন্যূনতম বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মোবাইলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে শিশুদের দূরে সরিয়ে তাদের খেলার মাঠে ফেরাতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এসব কথা বলেছেন।
অল্প বয়সীদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবকে অভিশাপ বলে উল্লেখ করেছেন আলবানিজ। তিনি বলেন, শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে চলতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে একটি আইন প্রণয়ন করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লগ ইন করার ন্যূনতম বয়সসীমা কত হতে পারে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে তা ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে রাখা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আর ব্যক্তিগতভাবে ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়ার পক্ষে আলবানিজ।
আলবানিজ বলেছেন, আগামী মাসগুলোতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই পদ্ধতির পরীক্ষা চালানো হবে। তবে অনলাইনে বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি আদৌ কার্যকর করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকেরা।
আলবানিজ বলেন, আমি শিশুদের ডিভাইস থেকে দূরে দেখতে চাই এবং চাই তারা খেলার মাঠে, সুইমিং পুলে এবং টেনিস খেলার মাঠে থাকুক।
অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এবিসিকে আলবানিজ বলেন, আমরা চাই তারা (শিশুরা) সত্যিকারের মানুষদের সঙ্গে মিশে সত্যিকারের অভিজ্ঞতা অর্জন করুক। কারণ, আমরা জানি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সামাজিক ক্ষতির কারণ। এটি (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) একটি অভিশাপ। আমরা জানি এটি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। কম বয়সীদের অনেককে এ জন্য ভুক্তভোগী হতে হয়েছে।
এদিকে মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক টোবি মারে বলেছেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্য নির্ভরযোগ্য কোনো প্রযুক্তি অস্ট্রেলিয়ায় আছে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। আমরা জানি যে বর্তমানে বয়স যাচাইকরণ যে পদ্ধতিগুলো আছে তা নির্ভরযোগ্য নয়। এ প্রক্রিয়াকে সহজেই ফাঁকি দেওয়া যায়। এটি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
কুইন্সল্যান্ড প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল মিডিয়া-সংক্রান্ত গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ড্যানিয়েল অ্যাঙ্গাস বলেন, কম বয়সীদের ডিজিটাল দুনিয়ায় অর্থপূর্ণ ও বলিষ্ঠ অংশগ্রহণ থেকে দূরে রাখলে তা গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...