১৩ ঘন্টা আগে
১৩ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
সেপ্টেম্বরে ২০ জন জিসিএসই (এইচএসসি সমমান সার্টিফিকেট) শিক্ষার্থীর জন্য নতুন শিক্ষকবিহীন এ কোর্স চালু করছে লন্ডনের এক বেসরকারি স্কুল ডেভিড গেম কলেজ। এ ক্লাসে শিক্ষার্থীরা তাদের কম্পিউটার, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হেডসেটে বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিখবে।
ক্লাসরুমে শিক্ষক ছাত্রদের পড়াবেন এটা সাধারণ দৃশ্য। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সবকিছুই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে যুক্তরাজ্যে শিক্ষকবিহীন জিসিএসই ক্লাসরুম চালু হচ্ছে বলে জানা গেছে। এখানে মানব শিক্ষকের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের পড়াবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।
সেপ্টেম্বরে ২০ জন জিসিএসই (এইচএসসি সমমান সার্টিফিকেট) শিক্ষার্থীর জন্য নতুন শিক্ষকবিহীন এ কোর্স চালু করছে লন্ডনের এক বেসরকারি স্কুল ডেভিড গেম কলেজ। এ ক্লাসে শিক্ষার্থীরা তাদের কম্পিউটার, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হেডসেটে বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিখবে।
এআই প্ল্যাটফর্মগুলো বুঝতে পারে শিক্ষার্থীরা কোন বিষয়ে পারদর্শী ও কোন বিষয়ে তাদের বাড়তি সাহায্যের প্রয়োজন এবং এর ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট টার্মের জন্য তাদের পাঠ পরিকল্পনা সাজানো হয়। শিক্ষার্থীরা যে বিষয়ে পারদর্শী সেগুলো টার্মের শেষের দিকে নেওয়া হয়, আর দুর্বল বিষয়গুলো আগেই শেখানো হয়। এ ব্যবস্থায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা আলাদা ও উপযুক্ত পাঠ পরিকল্পনা করা হয় বলে উল্লেখ রয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে।
স্কুলের সহকারী প্রিন্সিপ্যাল জন ডেলটন বলেছেন, ‘‘এখানে অনেক দুর্দান্ত শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু আমাদের সবারই ভুল হতে পারে। আমি মনে করি এআইয়ের মতো নির্ভুলতার স্তর অর্জন করা ও ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা খুবই কঠিন। এ ছাড়া, কেউ যদি সত্যিই জানতে চান একজন শিশু ঠিক কি শিখছে না, সে ক্ষেত্রে এআই ব্যবস্থাগুলোই এটিকে আরও কার্যকরভাবে চিহ্নিত করতে পারে।’’
এ ক্লাসে অংশ নেওয়া ২০ জন শিক্ষার্থীর প্রতিবছরের কোর্স ফি ২৭ হাজার পাউন্ড বা ৩৫ হাজার ডলার বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক পলিসি উপদেষ্টা ক্রিস ম্যাকগভর্ন বলেছেন, ‘‘ক্লাসরুমে এআইয়ের ভূমিকা থাকলেও এ বিষয়টি একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। এআই এবং কম্পিউটার স্ক্রিনের সমস্যা হল এটি মেশিন ও জড়বস্তু। এর মাধ্যমে আসলে আপনি সরাসরি শেখার প্রক্রিয়াকে অমানবিক করে তুলছেন। এর মাধ্যমে যোগাযোগে মানবীয় দক্ষতা এবং ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে সংযোগ কেড়ে নিচ্ছেন।”
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যজুড়ে শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি বিভিন্ন বিষয়কে প্রাণবন্ত করতে সাহায্য করে। তবে, এ কলেজের ক্ষেত্রে এআই শুধু সাহায্যই করছে না, নেতৃত্ব দিচ্ছে। সূত্র: স্কাই নিউজ।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...