ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে এসএমই খাতে ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশই ক্ষুদ্র এবং ৬ দশমিক ৪ শতাংশ মাঝারি ব্যবসা। ট্যালি প্রাইম সফটওয়্যার এসএমইগুলোর ডিজিটাল অর্থনীতিতে অংশগ্রহণে ভূমিকা রাখবে। ট্যালি প্রাইম সহজে ব্যবহারযোগ্য ও উদ্যোক্তাবান্ধব একটি সফটওয়্যার।
দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা (এসএমই) খাতে সম্মাননা দিয়েছে হিসাবরক্ষণ ও ব্যবসা পরিচালনার সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ট্যালি সলিউশনস।
সম্প্রতি ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫ বিভাগের ২৫ জন এসএমই উদ্যোক্তাকে ‘ট্যালি এমএসএমই সম্মাননা ২০২৪’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ওয়ান্ডারওম্যান, বিজনেস মায়েস্ট্রো, নিউজেন আইকন, টেক ট্রান্সফরমার ও চ্যাম্পিয়ন অব কজ বিভাগে পুরস্কারগুলো দেওয়া হয়। চতুর্থবারের মতো এই সম্মাননা প্রদান করল ট্যালি। চলতি বছর এমএসএমই সম্মাননার জন্য ৬০০টির বেশি মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ট্যালি সলিউশনস।
বাংলাদেশে ট্যালি সলিউশনসের কান্ট্রি ম্যানেজার সালাহউদ্দিন সানজি বলেন, বাংলাদেশে এসএমই খাতে ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশই ক্ষুদ্র এবং ৬ দশমিক ৪ শতাংশ মাঝারি ব্যবসা। ট্যালি প্রাইম সফটওয়্যার এসএমইগুলোর ডিজিটাল অর্থনীতিতে অংশগ্রহণে ভূমিকা রাখবে। ট্যালি প্রাইম সহজে ব্যবহারযোগ্য ও উদ্যোক্তাবান্ধব একটি সফটওয়্যার।
দেশের সাধারণ উদ্যোক্তাদের কথা বিবেচনা করে ট্যালি প্রাইম তৈরি করা হয়েছে। এর ব্যবহার খুবই সহজ এবং ইন্টারফেসের জন্য তেমন প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজন নেই বলে জানান সালাহউদ্দিন সানজি।
তিনি বলেন, ‘আরও সহজ করতে আমরা বাংলা ভাষা যুক্ত করেছি। ফলে ব্যবহারকারীরা ধাপে ধাপে ব্যবহারের নির্দেশনা পাবেন এবং এর ড্যাশবোর্ড ব্যবহারকারীদের সহজে ইনভয়েসিং ও ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।’
ট্যালি প্রাইম আরও উন্নত করা হয় ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া, মতামত ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে। সালাহউদ্দিন সানজি বলেন, আগের সংস্করণে বাংলা ভাষা ছিল না। ব্যবহারকারীদের অনুরোধ ও চাহিদা বিবেচনা করে নতুন সংস্করণে বাংলা যোগ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত হতে পারে। তাই ট্যালি প্রাইম এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন অনলাইন ও অফলাইনে কাজ করা যায়। ইন্টারনেট সংযোগ থাক বা না থাক, নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। ট্যালি প্রাইম তাৎক্ষণিক ডেটা প্রদান করে, ফলে ব্যবসায়ীরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
ট্যালি এমএসএমই সম্মাননা ২০২৪ বিজয়ী যাঁরা
ওয়ান্ডারওম্যান বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন জারিন’স ক্রিয়েশনের আফরোজা সুলতানা, প্রাইম এন্টারপ্রাইজের কানিজ ফাতেমা, এইমার মার্চেন্টের সাবিনা ইয়েসমিন, র–তে রঙের আতিকা রহমান ও গ্যারেজ ফুড কোর্টের নাজনীন কামাল।
এমএসএমই বিজনেস মায়েস্ট্রো বিভাগের বিজয়ীরা হালিমা গ্রুপের আবুল কালাম হাসান, সাগর ট্রেডার্সের মো. ইব্রাহিম হোসেন, একে ট্রেডার্স লিমিটেডের আবদুল খালেক, আলিন ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ওমর ফারুক ও আর্টিসান টাইলস অ্যান্ড কংক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেডের মনজুর সাজ্জাদ।
টেক ট্রান্সফরমার্স বিভাগে বিজয়ীরা হলেন ইতালি ফুটওয়্যারের মো. আবদুল মান্নান, আরকে মেটালের পরিতোষ কুমার মালো, ডায়নামিক প্রোলাইসিসের বাবুল চন্দ্র বর্মন, প্ল্যানটেন অ্যাগ্রো লিমিটেড ও টিডব্লিউসির খালেদা আদিব।
চ্যাম্পিয়ন অব কজ বিভাগে সম্মাননা পেয়েছেন ফাউন্ডেশন ফর উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড অ্যাসিস্ট্যান্সের ওয়াহিদা খানম, ইএসডিওর মো. শহিদুজ্জমান, নিউরোশেডের ঝুমোনা মুল্লিক, মন বাগানের সমীরন দত্ত ও বেলাশেষের তসলিমা ফেরদৌসী।
নিউজেন আইকন বিভাগে সম্মাননা পেয়েছেন জেআরসি আইওটি বোর্ডের রেদোয়ান ফেরদৌস, পিউপিল স্কুল বাসের মো. আবদুর রশিদ, বিগ শটের ফারহান তানভির, কেক স্টোরির নুরুল হাসান ও শপ-আপের আফিফ জামান।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...