১ ঘন্টা আগে
৪ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
ইবার জগতে নারীদের হয়রানির সমাধানে পুলিশের যে ‘সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ রয়েছে, সাড়ে তিন বছরে (২০২৪ সালের মে পর্যন্ত) ৬০ হাজার ৮০৮ জন প্রতিকার চেয়েছেন।
যেসব নারীরা আদর্শগত কাজে জড়িত অথবা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখছেন, সেসব নারীরাই সাইবার আক্রমণের শিকার। সাইবার স্পেসে ভুক্তভোগী এসব নারীর ৪১ ভাগই ডক্সিংয়ের শিকার হয়েছেন। এছাড়া এছাড়া ১৮ শতাংশের ফেসবুক আইডি হ্যাক, ১৭ শতাংশকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল ৯ শতাংশ নারীকে ছদ্মবেশে হয়রানি এবং ৮ ভাগ সাইবার বুলিং করা হয়।
শনিবার রাজধানীর শ্যামলীতে ভয়েস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত তথ্যবিনিময় সভায় এই তথ্য দিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ‘ভয়েসেস ফর ইন্টারঅ্যাকটিভ চয়েস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ (ভয়েস)।
জরিপের ভিত্তিতে সংস্থাটি বলছে, সাংবাদিকতা কিংবা মানবাধিকারের মত আদর্শগত পেশায় সম্পৃক্ত নারীদের তুলনামূলক বেশি সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে। সাইবার জগতের এসব সহিংসতা ভুক্তভোগী নারীদের বাস্তব জীবনেও চরম প্রভাব ফেলছে।
জরিপের অংশ হিসেবে গত অক্টোবরের পরের ১৩টি ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলে জানান সংস্থাটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রমিতি প্রভা চৌধুরী। তিনি বলেন, “যেসব নারী কোনো আদর্শগত কাজে জড়িত, যেমন- সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী কিংবা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখছেন, তারা সাইবার হামলার শিকার বেশি হচ্ছেন।’’
“বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা নারীদের প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক হয়রানিমূলক আচরণ দেখা গেছে, যা তাদের বাস্তব জীবনেও চরম প্রভাব ফেলেছে। তাই সরকার পরিবর্তনের পর অনেকেই অনলাইনে রাজনৈতিক মতাদর্শের চর্চা ও বাকস্বাধীনতার প্রয়োগ থেকে বিরত আছেন।”
সভায় জানানো হয়, সাইবার জগতে নারীদের হয়রানির সমাধানে পুলিশের যে ‘সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ রয়েছে, সাড়ে তিন বছরে (২০২৪ সালের মে পর্যন্ত) ৬০ হাজার ৮০৮ জন প্রতিকার চেয়েছেন। ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, “সাইবার জগতে যৌন হয়রানি মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার হল জনসচেতনতা। অনলাইন সহিংসতার বিভিন্ন ধরন, এর প্রভাব ও সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারাভিযান ও কর্মশালার আয়োজন করাটা জরুরি।’’
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...