সোমবার

ঢাকা, ১৯ মে ২০২৫

সর্বশেষ


ই-কমার্স

১৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন

সাড়ে ৬ হাজার অভিযোগের মধ্যে ১৫০টি নিষ্পত্তি করলেন রাসেল

প্রকাশ: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, দুপুর ১:২১

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

ই-কমার্সে ৮০ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। গ্রেফতার পদক্ষেপের পর অনেকেই টাকা নিয়ে দেশের বাইরে চলে যায়। দেশে আটক ব্যক্তিদের নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি বলে এরপর অভিযোগ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। এসক্রো সেবা, এসওপি, ডিবিআইডি করার পর এখন ডিজিটাল কমার্স অথরিটি করা হচ্ছে। এসক্রো থেকে আটকে থাকা ৩৮০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জমা পড়া সাড়ে ৬ হাজার অভিযোগের মধ্যে দেড়শ’ অভিযোগ নিষ্পত্তিতে ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন ই-ভ্যালি প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোহাম্মদ রাসেল। বাকি পাওনাদারদের টাকা ধীরে ধীরে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে সংস্থার মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামানের উপস্থিতিতে পাওনার চেক হস্তান্তর করা হয়।

এসময় কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পরিচালক ফকির মোহাম্মাদ মনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ই-কমার্সে ৮০ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। গ্রেফতার পদক্ষেপের পর অনেকেই টাকা নিয়ে দেশের বাইরে চলে যায়। দেশে আটক ব্যক্তিদের নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি বলে এরপর অভিযোগ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। এসক্রো সেবা, এসওপি, ডিবিআইডি করার পর এখন ডিজিটাল কমার্স অথরিটি করা হচ্ছে। এসক্রো থেকে আটকে থাকা ৩৮০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন ৫৪ ধারা অনুযায়ী ভোক্তাদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখতে হয় ভোক্তা অধিকার অধিপ্তরকে। আমরা পজেটেভি মানসিকতা চাই। ব্যবসা করে হলেও তারা গ্রাহকের টাকা ফেরত দিক সেটা চাই।

মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমি স্পষ্টত বলতে চাই, আজ যে ১৫০ জন টাকা ফেরত পাচ্ছে তা বিগত এক মাসের ব্যবসায় মুনাফার টাকা থেকে। এই টাকা আমরা ৬৫ হাজার অর্ডার থেকে বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত কমিশন থেকে আয় করেছি। একারণে আমি মার্চেন্টদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এখন আমরা ঘোষণা দিচ্ছি যারা অভিযোগ করেননি তাদের টাকাও আমরা ব্যবসায়ের মুনাফা থেকে ফেরত দেবো।

ভোক্তার পাওনা পরিশোধে এসময় তিনি ই-ক্যাব, ভোক্তা অধিকার ও ইভ্যালির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গেটওয়ের টাকার লিস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সপ্তাহের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন। আশা করি, মে মাসের মধ্যে এই টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হবে।

ক্যাব সাধারণ সম্পাদক বলেন, কারও জেলে যাওয়া না যাওয়া আমাদের বিষয় নয়। আমরা চাই ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তারা তাদের টাকা ফেরত পাক। যারা এখনো অভিযোগ করেননি তারা অভিযোগ করুন। আর যারা বিদেশে পালিয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনা হোক।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৪৩০ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর