ছবি: সংগৃহীত
শেনজেন-ভিত্তিক স্টার্টআপ এমন একটি রোবোটিক সমাধান তৈরি করেছে। উদ্যোগটি হলো ওমনি সিস্টেম রান্না। ‘ওমনি’ একটি রোবটিক সিস্টেম। রান্নায় সাহায্য করতে সক্ষম এই রাঁধুনি রোবট।
শ্রমিক সংকট শুধুমাত্র গুদামঘরগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়। মহামারি শুরুর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে রেস্তোরাঁগুলো কর্মী স্বল্পতার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই সমস্যার সমাধানে, অনেক স্টার্টআপ অটোমেশনের মাধ্যমে এমন প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে, যা কম জনবলে কার্যক্রম সচল রাখা এবং খাবার গরম রাখা সম্ভব করে তুলছে।
শেনজেন-ভিত্তিক স্টার্টআপ এমন একটি রোবোটিক সমাধান তৈরি করেছে। উদ্যোগটি হলো ওমনি সিস্টেম রান্না। ‘ওমনি’ একটি রোবটিক সিস্টেম। রান্নায় সাহায্য করতে সক্ষম এই রাঁধুনি রোবট।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) প্রযুক্তি-বিষয়ক নিউজপোর্টাল টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রযুক্তি এই যুগে বাণিজ্যিক রান্নাঘরের জন্য এখন নানা ধরনের রোবোটিক সমাধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে ‘মিসো’ বেশ আলোচিত। ‘মিসো’র বিশেষত্ব হলো তার বার্গার উল্টানোর জন্য রোবটিক বাহু রয়েছে। এটি দিয়ে সে কৌশলে কাজ সেরে নেয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোটিনকিট- যা “(রো) বট ইন কিট (চেন)” এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ‘ওমনি’ রোবটে তেমন চোখ ধাঁধানো শারীরিক বৈশিষ্ট্য নেই। বরং এটি সাধারণ রান্নাঘরের যন্ত্রপাতির মতো ডিজাইন করা হয়েছে। অর্থাৎ, এটি এমন একটি রোবট যা দেখতে রোবটের মতো নয়। বরং এটি স্বয়ংক্রিয় কিয়স্কের মতো, যেখানে একটি টাচস্ক্রিনও রয়েছে। সিস্টেমটি রান্নাঘরের জন্য নিরাপদ এবং আল্প মানবকর্মী দ্বারা পরিচালনা করা সম্ভব।
ওমনি সিস্টেম রান্না, স্টার-ফ্রাইসহ যেকোনো ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সক্ষম। মূলত, খাবারের জন্য যা কিছু আইটেম রান্না করা যায়, এই রোবটটি সেগুলো মানুষের সাহায্য ছাড়াই করতে পারে।
শেনজেন-ভিত্তিক এই স্টার্টআপের দাবি, ওমনি সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে বড় কোনো রেস্তোরাঁয় রান্নাঘরের কর্মীদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব।
‘‘আগামী ১০ বছরে রান্নাঘর কেমন হবে, আমি যখন তা ভাবি, তখন আমার মনে হয় এটি আর আজকের মতো পুরনো ধাঁচে থাকবে না,’’- বললেন শেনজেন-ভিত্তিক স্টার্টআপের সিইও শার্লি চেন।
তিনি বলেন, ‘‘অতএব, আমরা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজগুলো, যেমন রেস্তোরাঁর শেফদের কাজ দিয়ে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ শেফদের ব্যবহার করার সময় কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা খুব কঠিন।’’
২০২১ সালে বোটিনকিট প্রতিষ্ঠা করেন শার্লি চেন। ওই সময় তিনি কেপিএমজির কৌশলবিদ হিসেবে কাজ করতেন। পাশাপাশি একটি রেস্তোরাঁর মালিক ছিলেন। তিনি জানান, এই দুটো ভিন্ন ভূমিকায় কাজ করার কারণে আমি রেস্তোরাঁর বিভিন্ন ধরনের কাজের চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে বুঝতে সক্ষম হই।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে পরিচালনার জন্য উদ্যোগটি দ্রুত বড় হতে থাকে। তাই এর প্রতি বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কোম্পানিটি ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ১৩ মিলিয়ন ডলারের সিরিজ ফান্ডিং ঘোষণা করেছিল। পরে সিরিজে এক্সটেনশন যোগ হওয়ার ফলে, এখন সেই পরিমাণ বেড়ে ২১ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।
বোটিনকিটের সবচেয়ে বড় বাজার হলো এশিয়া। তবে কৌশলগত কারণে স্টার্টআপটি এখন ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রসারিত হয়েছে। এই নতুন ফান্ডিংটি কোম্পানির আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...