রবিবার

ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ


উদ্যোগ

প্রবাসী উদ্যোগ বিলিয়ন্স ফর বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, দুপুর ১১:৪২

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা নাসা ও গণিত অলিম্পিয়াড এর মতো প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু প্রতিবছরই আড়াই কোটি শিক্ষার্থী চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণীতে ঝড়ে পড়ছে। তাই আমরা তাদেরকে শ্রেণীকক্ষে মেন্টর হিসাবে কাজে লাগাতে চাই। 

যুগ যুগ ধরে তারা দেশের বাইরে। কেউ আমেরিকা কেউ অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, লন্ডন, কেউ থাকেন সিডনিতে, দুবাই কেউ আছেন জাপান। দেশের প্রয়োজনে ফিরেছেন মাতৃভূমিতে। তাদের লক্ষ্য দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং কার্বন নির্গমন শূন্যের কোথায় নামিয়ে বাংলাদেশের জন্য শতকোটি ডলার বিনিয়োগের স্বপ্ন বাস্তবায়ন। এই বিনিয়োগ দেশের কৃষি থেকে শিল্পে প্রযুক্তির টেকসই রূপান্তরে ঘুর্ণায়মানভাবে নিয়োজিত থাকবে। ব্যয় হবে সামাজিক প্রভাব সৃষ্টিকারী বিভিন্ন টেকসই উন্নয়ন কাজে। অ্যাপের মধ্যেই সব আপডেট হিসাব থাকবে উন্মুক্ত। অক্টোবরে শুরু হয়েছিল এই পরিকল্পনা গ্রহণ। গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বিনিয়োগ সংগ্রহের কাজ। সামাজিক ব্যবসায় মডেল এ সংগৃহীত অর্থ বিদ্যমান ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করা হবে শিক্ষা, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও কৃষি। প্রবাসী বিনিয়োগ হলেও বাংলাদেশিরা এই ব্যবস্থাপনায় যুক্ত থাকতে পারবেন।

শুক্রবার রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে বিলিয়ন্স ফর বাংলাদেশের (বিএফবি) কর্মশালায় তুলে ধরা হল এই স্বপ্নের পথরেখা। বিশ্বস্ততা, স্বচ্ছতা এবং অগ্রগামী প্রত্যয়ে চলবে এই বিএফবি।

গুগলের অফার ছেড়ে এই প্রত্যয় বাস্তবায়নে বাংলাদেশের এসেছেন মাহাদি উজ্জামান অপু। শিক্ষায় কুপার মত মডেল ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা নাসা ও গণিত অলিম্পিয়াড এর মতো প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু প্রতিবছরই আড়াই কোটি শিক্ষার্থী চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণীতে ঝড়ে পড়ছে। তাই আমরা তাদেরকে শ্রেণীকক্ষে মেন্টর হিসাবে কাজে লাগাতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় যে পাঁচ লক্ষ শিক্ষার্থী বেকারত্ব কারখানা বলছি, তাদের দক্ষতা অনুযায়ী পুরুষদের শেখানোর কাজে ব্যবহার করতে চাই। কেননা শিক্ষক মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে।‌ তাই কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা যে খাতেই বিনিয়োগ করা হোক না কেন, তা হতে হবে ট্রান্সফর্মেটিভ। এই খাতগুলোতে রয়েছে প্রবল সম্ভাবনা।

অপর সহ প্রতিষ্ঠাতা আনিস এম রহমান জানালেন, প্রবাসী ২ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে হাজার শেয়ার প্রতি হাজার ডলার বিনিয়োগ সংগ্রহ করা হবে। ১০ লাখ প্রবাসীর কাছ থেকে ১০০০ ডলার করে সংগ্রহ করা হবে। শিক্ষার্থীরাও ১০০ ডলার দিয়ে সংযুক্ত হতে পারবেন দেশ গড়ার এই উদ্যোগে। এখানে কেউ ১০০০ ডলারের বেশি বিনিয়োগ করতে পারবেন না।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিশ্বের ২০০টি দেশের প্রবাসী দূতসহ ৪০ জন পরিচালনা বোর্ড সদস্য থাকবেন।

উদ্যোগ নিয়ে আশাবাদী এফবিসিসিআই সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিন হেলালী বললেন, সমৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নৈতিকতার শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই আমরা সবাই মিলে এই কাজটা করবো।

অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ জান রুমি, সাপ্তাহিক ঠিকানার সম্পাদক আনিসুর রহমান, প্রবাসী সাংবাদিক এনামুর রহমান এনাম, ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী, রহিম আফরোজের গ্রুপ এডমিন নিয়াজ রহিম‌, বিওডি কো ফাউন্ডার মো. এ কবির জাসির উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালয় বিনিয়োগ চেয়ে ইউনিভার্সিটি মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা আশীষ চক্রবর্তী জানালেন বাংলাদেশে অঙ্গ-প্রতিস্থাপন কার্যক্রম শুরুর কথা।

অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুরাদ ইউসুফ জানালেন সমষ্টিগতভাবেই প্রবাসীরা এবার বাংলাদেশকে ফেরত দিতে যাকাত ফান্ড থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছেন।

নিউইয়র্কের এ্যটর্নি জেনারেল মৌসুমী খান মনে করেন এই উদ্যোগ বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।

অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ চেম্বারের সেক্রেটারি হিমি হোসেন বলেন, প্রবাসী হিসেবে আমাদের অভিজ্ঞতার অনেক কিছুই বাংলাদেশকে দেয়ার রয়েছে। এই প্রার্থনা সেই সুযোগে তৈরি হবে মনে করেছে। আমরা এই তহবিলে বিনিয়োগ করতে চাই। বিগত সময়ে অসততার কারণে আমি এই দেশে যথেষ্ট প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি।

এই কল্যাণমুখী সামাজিক ব্যবসায় পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন জাপান প্রবাসী আলিমুজ্জামান। তরুণ প্রতিনিধি নাফিস শাহিন বললেন, নতুন প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গণমাধ্যম গুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া দরকার। শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করার উদ্যোগকে স্বাগত জানালো কানাডা বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা আজিম দেওয়ান। জাপানের তরুণ প্রতিনিধি মাহি ইসলাম দেশের দক্ষ লোককে বিদেশ বুকে না হয় এ দেশেই উৎপাদন কার্যক্রম চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ আই সুনামির উপর সতর্কতা প্রকাশ করেন জিএম কনসাল্টিং এর কামাল মাহমুদ। 

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৯২ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর