শনিবার

ঢাকা, ১৫ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ


ট্রেন্ডিং

পিএইচডি স্তরের এআই এজেন্ট আসলে কতটা কার্যকর

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১১:০৯

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

এই শক্তিশালী এআই মডেলগুলো গবেষণার কাজকে অনেক সহজ করে তুলতে পারে। তবে একই সঙ্গে, এর কার্যকারিতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দিন দিন উন্নত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন আলোচনায় এসেছে ‘পিএইচডি স্তরের এআই এজেন্ট’। প্রযুক্তি খাতে এই ধারণাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শক্তিশালী এআই মডেলগুলো গবেষণার কাজকে অনেক সহজ করে তুলতে পারে। তবে একই সঙ্গে, এর কার্যকারিতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

সম্প্রতি দ্য ইনফরমেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওপেনএআই নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিশেষ ধরনের এআই এজেন্ট চালুর পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে একটি এআই সরাসরি গবেষণার কাজে ব্যবহার করা যাবে। এটি এতটাই উন্নত যে, একজন গবেষকের মতো তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারবে। শুধু তাই নয়, এটি জটিল গবেষণার বিশাল তথ্যভান্ডার বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় প্রতিবেদনও তৈরি করতে পারবে।

তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার খুব একটা সস্তা হবে না। ওপেনএআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই এআই ব্যবহারের জন্য প্রতি মাসে ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২৪ লাখ টাকা খরচ করতে হবে (যদি ১ ডলার = ১২০ টাকা ধরা হয়)।

ওপেনএআই দাবি করেছে যে তাদের নতুন এআই মডেল, ওওয়ান (O1) এবং ওথ্রি (O3), গবেষকদের চিন্তাভাবনার পদ্ধতি অনুকরণ করতে পারে। এই মডেলগুলো ‘প্রাইভেট চেইন অব থট’ নামে একটি বিশেষ কৌশল ব্যবহার করে। সহজভাবে বলতে গেলে, যখন একজন গবেষক কোনো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন, তখন তিনি ধাপে ধাপে চিন্তা করেন, বিভিন্ন দিক থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করেন এবং শেষে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান। ওপেনএআইয়ের এআই মডেলগুলোও একইভাবে কাজ করে।

সাধারণ লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (LLM) সাধারণত ব্যবহারকারীর প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেয়। কিন্তু ওওয়ান ও ওথ্রি মডেল ধাপে ধাপে সমস্যা বিশ্লেষণ করে আরও গভীরভাবে যুক্তি খোঁজে এবং সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধান দেয়। এজন্য এই মডেলগুলো গবেষণা, বিশেষ করে চিকিৎসা, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্লেষণ এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।

এই প্রযুক্তি সত্যিই গবেষকদের কাজে কতটা সহায়ক হবে এবং এটি কতোটা নির্ভরযোগ্য হবে, তা নিয়ে প্রযুক্তিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে এটি গবেষণার জগতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে অনেকের ধারণা। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৩৬ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর