ওপেনএআইয়ের তথ্য ফাঁসকারী সুচির বালাজির মৃত্যু: আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু?

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সেসকোতে ওপেনএআইয়ের সাবেক কর্মী সুচির বালাজির (২৬) মৃতদেহ নিজ ফ্ল্যাটে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করলেও বিষয়টি নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।

ধারণা করা হচ্ছে ওপেনএআইয়ের কোম্পানির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা এবং তথ্য ফাঁসের কারণে তার মৃত্যু হতে পারে।  

চলতি বছরের শুরুতে ওপেনএআই ছাড়েন বালাজি। গত অক্টোবরে নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওপেনএআই-এর সাবেক কর্মী সুচির বালাজি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি সরাসরি অভিযোগ তোলেন যে, ওপেনএআই-এর জনপ্রিয় চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তৈরির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কপিরাইট আইন গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে।

সান ফ্রান্সেসকো মেডিকেল এক্সামিনারের অফিসের নির্বাহী পরিচালক ডেভিড সেরানো সেউয়েল শুক্রবার এনডিটিভিকে জানিয়েছেন যে, ওপেনএআই-এর সাবেক কর্মী সুচির বালাজির মৃত্যু প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

ওপেনএআই-এর সাবেক কর্মী সুচির বালাজির আকস্মিক মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক ইমেইলে তিনি জানান, ‘‘এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটি শোকাহত এবং তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি জ্ঞাপন করছে।’’

ওপেনএআই-এর মুখপাত্র বলেন, ‘‘আজকের এই হৃদয়বিদারক খবর আমাদের শোকে স্তব্ধ করেছে। আমরা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই’’

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বালাজির মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসকারীর মানসিক অবস্থা ও পেশাগত চাপে মৃত্যুর কারণ আরও বিশদভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক বালাজি ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওপেনএআই-এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

সুচির বালাজির মৃত্যু প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর নৈতিকতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই কোম্পানির কার্যক্রম নিয়ে আরও গভীর তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি ও ইন্ডিয়া টুডে