ছবি: সংগৃহীত
টরন্টো স্টার, মেট্রোল্যান্ড মিডিয়া, পোস্টমিডিয়া, দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল, কানাডীয় প্রেস এবং সিবিসি–এর মতো সংবাদ সংস্থাগুলো এই মামলায় অংশ নিয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা কোম্পানি ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কানাডার বৃহত্তম সংবাদমাধ্যমগুলো।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কোম্পানিটি অবৈধভাবে সংবাদ প্রতিবেদনগুলো তার সফটওয়্যার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করছে। কানাডায় প্রথমবারের মতো এই ধরনের মামলা দায়ের করেছে।
টরন্টো স্টার, মেট্রোল্যান্ড মিডিয়া, পোস্টমিডিয়া, দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল, কানাডীয় প্রেস এবং সিবিসি–এর মতো সংবাদ সংস্থাগুলো এই মামলায় অংশ নিয়েছে।
সংবাদ সংস্থাগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘সাংবাদিকতা জনগণের স্বার্থে কাজ করে। ওপেনএআই যদি অন্য কোম্পানির সাংবাদিকতা তাদের নিজেদের বাণিজ্যিক লাভের জন্য ব্যবহার করে, তা হলে সেটা বৈধ নয়। এটা অবৈধ।’
অপরদিকে ওপেনএআই তাদের মডেল সম্পর্কে বলেছে, ‘সাধারণভাবে পাওয়া ডেটা’ ব্যবহার করে এগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, সফটওয়্যারটি ‘ন্যায্য ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক কপিরাইট নীতির ভিত্তিতে তৈরি, যা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ন্যায্য এবং উদ্ভাবনকে সমর্থন করে। কোম্পানিটি সংবাদ প্রকাশকদের ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করে, যার মধ্যে রয়েছে তাদের কনটেন্ট দেখানো, স্বীকৃতি দেওয়া, এবং চ্যাটজিপিটি অনুসন্ধানে তাদের কনটেন্ট ও লিংক যুক্ত করা। যদি তারা ইচ্ছুক হন তাহলে তাদের কনটেন্ট সহজভাবে বাদ দেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়।
৮৪ পৃষ্ঠার মামলার নথিতে বলেছে কানাডীয় মিডিয়া জোট বলেছে, পে-ওয়াল বা কপিরাইট ডিসক্লেইমারের মতো সুরক্ষা ব্যবস্থা উপেক্ষা করেছে ওপেনএআই, যা কনটেন্টের অননুমোদিত কপি প্রতিরোধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
কোম্পানিগুলো বলেছে, ‘কপিরাইট এবং অনলাইন ব্যবহারের শর্ত নিয়মিতভাবে ভঙ্গ করে ওপেনএআই। কানাডিয়ার মিডিয়া থেকে বিশাল পরিমাণ কনটেন্ট চুরি করে, যার মাধ্যমে তাদের পণ্য যেমন চ্যাটজিপিটি উন্নত করতে সহায়তা করে।’
কানাডার শীর্ষ সংবাদপত্রগুলোর প্রকাশকদের নিয়ে এই গ্রুপ গঠিত। প্রতিটি নিবন্ধের জন্য ওপেনএআইকে ২০ হাজার কানাডিয়ার ডলার জরিমানা করার দাবি করছে গ্রুপটি। তারা অভিযোগ করেছে যে, অবৈধভাবে চ্যাটজিপিটি প্রশিক্ষণের জন্য নিবন্ধগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ক্ষতিপূরণ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।
সংবাদ সংস্থাগুলো আরও একটি রায় চাচ্ছে, যার মাধ্যমে তাদের নিবন্ধ ব্যবহার করে অর্জিত লাভ শেয়ার করতে বাধ্য হবে কোম্পানিটি। এ ছাড়া ওপেনএআইকে ভবিষ্যতে তাদের নিবন্ধ ব্যবহার করতে না পারে সে জন্য একটি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি করছে।
গত বছর নিউ ইয়র্ক টাইমস ও অন্যান্য প্রকাশকদের যুক্তরাষ্ট্রে অনুরূপ একটি মামলা দায়ের করেছিল। গত এপ্রিলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের আইনজীবীরা ওপেনএআইকে অভিযুক্ত করেছেন যে, তারা বিচারকার্যের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণ মুছে ফেলেছে।
আরেকটি মামলায়, অটর্স গিল্ড এবং জন গ্রিশামের মতো লেখকদের একটি দলও কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিল।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে এক প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, কোম্পানিটি তার সর্বশেষ বিনিয়োগ সংগ্রহের পর ওপেনএআইয়ের বাজারমূল্য ২১৯ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছেছে। সূত্র: বিবিসি
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...