১৩ ঘন্টা আগে
১৩ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
করোনার প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করায় ধীরে ধীরে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করে মানুষ। কমে যায় ভার্চুয়াল মিটিং ও জুমের ব্যবহার। তখন থেকেই গুঞ্জন ওঠে তাহলে কী ফুরিয়ে গেছে জুমের মতো ভার্চুয়াল মিটিং প্লাটফর্মের চাহিদা?
করোনা মহামারির সময় যোগাযোগের দুনিয়ায় জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম হয়ে ওঠে ‘জুম’। করপোরেট মিটিং থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম- জুমের ব্যবহার চোখে পড়েছে সর্বত্র।
করোনার প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করায় ধীরে ধীরে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করে মানুষ। কমে যায় ভার্চুয়াল মিটিং ও জুমের ব্যবহার। তখন থেকেই গুঞ্জন ওঠে তাহলে কী ফুরিয়ে গেছে জুমের মতো ভার্চুয়াল মিটিং প্লাটফর্মের চাহিদা?
২০২০ সাল। কোভিড মহামারিতে বিপর্যস্ত গোটা দুনিয়া। বন্ধ অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি কার্যক্রম।
লক ডাউনের দিনগুলোতে মানুষের একমাত্র ভরসা তখন মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে অফিস কালচারে নতুন সংযোজন হিসেবে আসে জুম, মাইক্রোসফট টিমস, গুগল মিট ও কনভের মতো ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম।
কিন্তু মহামারির প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করায় ধীরে ধীরে কর্মক্ষেত্র ফিরতে শুরু করেন কর্মীরা। জনপ্রিয়তায়ও ভাটা পড়ে ভার্চুয়াল মিটিং প্লাটফর্মগুলোর। শেয়ার বাজারেও চরম ক্ষতির মুখে পড়ে জুমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জুম ভিডিও কমিউনিকেশন ইনকরপোরেশন।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ড্যানিয়েল নিউম্যান বলেন, ‘বাড়ি থেকে অফিস করার বিষয়টি ধীরে ধীরে প্রচলিত হতে শুরু করায় জুমের জনপ্রিয়তা রাতারাতি বেড়ে যায়। এবং, এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। কিন্তু ২০২১ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে এসে দেখা যায় এর বাজারদর কমতে শুরু করেছে। জুমের প্রতিদ্বন্দ্বী বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম বাজারে আসা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর হোম অফিস নিয়ে অনীহা- দু’টি কারণই সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে যেখানে ১ কোটি গ্রাহক জুম ব্যবহার করতেন, ২০২০ সালে মার্চে জুমের গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ কোটিতে। এ সময় জুমের বাজার দর ১৬ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।
কোভিড পরবর্তী সময়ে জুমের বাজার দর কমে দাঁড়ায় ২ হাজার কোটি ডলারে। লোকসান সামলাতে ২০২৩ এর ফেব্রুয়ারিতে ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জুম। এর কিছু দিন পর সবাইকে অবাক করে নতুন এক ঘোষণা দেন ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরিক ইউয়ান। বলেন, ছাঁটাই করা কর্মীদের ফিরিয়ে এনে নতুন চমক নিয়ে বাজারে আসবে জুম কমিউনিকেশন।
এ ঘোষণার আগ পর্যন্ত জুমের কর্মীরাও বাড়ি থেকেই অফিস করতেন। কিন্তু সিইও-এর ঘোষণার পর ৮০ কিলোমিটারের মধ্য বসবাসকারী কর্মীদের সপ্তাহে ২দিন অফিসে এসে কাজ করার নির্দেশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। নতুন উদ্যমে শুরু হয় কাজ।
এরই মধ্যে, গুগলের মতো নিজস্ব আর্টিফিশিয়াল চ্যাটবট তৈরি করেছে জুম কমিউনিকেশনস। এখন থেকে বিজনেস বা কর্পোরেট মিটিং আলোচ্য সূচির সারাংশ, সিদ্ধান্ত এমনকি খসড়া প্রস্তাবনা বানাতে সাহায্য করবে এই জুমের চ্যাটবট।
এছাড়া, জুমের ইন্টারফেস আরও বেশি গ্রাহক নির্ভর বানানো প্রক্রিয়া শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে জুমের ৬৫ শতাংশ কর্মীই অফিস থেকে অনেক দূরে থাকেন, সেই টিম নিয়েই জুমকে নতুনভাবে হাজির করতে চান প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার এরিক।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...