১৩ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
১৬ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
তিনি এমন একজন প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী, যিনি বাংলাদেশ থেকে প্রথম রোবোটিক্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি জাপানের উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন।
শুধু স্বপ্ন দেখলেই হয় না। লক্ষ্য স্থির রেখে সেই স্বপ্ন পূরণে অবিরাম কাজ করে যেতে হয়। তাহলেই একদিন অধরা স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। মোহাম্মাদ ফারহান ফেরদৌস এমনই একজন স্বপ্নবাজ তরুণ। ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে পড়ালেখা করে রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ার হয়ে নাসা কিংবা জাপানের বিখ্যাত টয়োটা, সনি, হোন্ডা, ফুজিৎসু-এর মত কোম্পানিগুলোতে একজন গর্বিত বাংলাদেশি হিসাবে কাজ করবেন। সেসাথে দেশের পিছিয়ে পড়া তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করবেন। এভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে নিজের আলাদা ও স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করবেন। আজ তার সে স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তিনি বিশ্বের অ্যাডভান্স টেকনোলজির শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক একটা সংস্থার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বাঙালি প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণ-তরুণীদের শিক্ষা এবং গবেষণা কাজে পরামর্শসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতার কাজ করছেন। অসংখ্য তরুণ-তরুণীদের অনুপ্রেরণার উৎস তিনি।
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ ফারহান ফেরদৌস জাপান-বাংলাদেশ রোবটিক্স অ্যান্ড অ্যাডভান্স টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি জাপানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করছেন। পাশাপাশি জাপান অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে গবেষণার কাজ করছেন। তিনি জাপান থেকে অ্যাডভান্স টেকনোলজি বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা সেন্টারের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি এমন একজন প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী, যিনি বাংলাদেশ থেকে প্রথম রোবোটিক্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি জাপানের উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন। জাপান, আমেরিকা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ ভিয়েতনামের আন্তর্জাতিক কনফারেন্সেও বক্তৃতা দিয়েছেন। রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং আন্তর্জাতিক বইয়ের অধ্যায়ে গবেষণা পত্র লিখেছেন তরুণ এই প্রকৌশলী ও গবেষক।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলায় জন্ম ফারহান ফেরদৌসের। বাবা মো. আব্দুর রউফ পেশায় উকিল। কাজ করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট-এর অ্যাডভোকেট হিসেবে। মা নাসিমা সুলতানা একজন লেখিকা। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে সাতক্ষীরায়। নিউ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। সরকারি চাকুরে বাবার কর্মস্থলের পরিবর্তনের সুবাদে তারা চলে আসেন যাদুর নগরী ঢাকায়। ভর্তি হন সরকারি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে মেকানিক্যাল বিষয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে মেধা তালিকায় ৩য় স্থান অর্জন করেন।
স্বপ্নে যোগ হয় নতুন পালক। তখন শুধু রোবোটিক্স বিষয়ে কাজ করার প্রবল ইচ্ছা জাগে মনে। ডিজিটাল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে রিসার্চ করেন তরুণ এই ইঞ্জিনিয়ার। ফল হিসেবে বুঝতে পারেন আগামীতে বাংলাদেশে রোবোটিক্স নিয়ে কাজ করার অবারিত সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভর্তি হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে। তখন বাংলাদেশে রোবোটিক্স নিয়ে পড়ার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়টিই ছিল একমাত্র প্রতিষ্ঠান। সেখান থেকে তিনি বিএসসি ইন মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ২য় স্থান অর্জন করেন। এবার লক্ষ্য বিদেশে উচ্চ শিক্ষা লাভ। লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চেষ্টা চালাতে থাকেন। অবশেষে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রোবোটিক্স বিষয়ক গবেষণার সুযোগটি পান এই মেধাবী তরুণ। জাপান অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন।
জাপানে গবেষণার কাজ করতে গিয়ে সারা বিশ্বে রোবোটিক্স সায়েন্সের প্রভাব, অ্যাডভান্স টেকনোলজির গুরুত্ব এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশে এআই-নির্ভর রোবটের ভূমিকার কথা চিন্তা করে জাপান ও বাংলাদেশ মিলে যৌথভাবে একটা অ্যাডভান্স টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজন অনুভব করেন। তখন বাংলাদেশ, জাপান, কোরিয়া, ভারত, আমেরিকা ইত্যাদি দেশের গবেষক, প্রফেসর এবং বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠান করেন জাপান বাংলাদেশ রোবোটিক্স ও অ্যাডভান্স টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার। উদ্দেশ্য দেশ-বিদেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের একত্রে করে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যতদূর সম্ভব সবার মাঝে রোবটিক্স তথা প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিক্ষার ছোঁয়া পৌঁছে দেয়া। বাংলাদেশের যে সকল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী নিজেদেরকে রোবটিক্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলে প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে তিনি তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেসাথে তাদের অ্যাডভান্স টেকনোলজি রিসার্চে মেন্টরিং করছেন।
তরুণ এই রোবটিক্স গবেষকের সংস্থাটি বাংলাদেশে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবোটিক্স, আইওটি, ড্রোন, মেশিন লার্নিং, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা সম্পর্কিত সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ পরিচালনা করছে। সেসাথে আন্তর্জাতিকভাবেও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে। শুধু তাই নয়, বিদেশের মাটিতে থেকেও দেশের প্রতি তার টান ও ভালবাসার কারণে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রযুক্তিনির্ভর সংগঠন এবং সংস্থার সাথে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছেন।
ফারহান বলেন, আজ থেকে ১০ বছর আগে আমি স্বপ্ন দেখেছি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন হবে। তখন সবেমাত্র ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর অ্যাডভান্স টেকনোলজির দিকে থেকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো অনেক এগিয়েছিল। সেগুলো দেখে আমি উপলব্ধি করেছিলাম, একদিন আমাদের দেশও এমন স্মার্ট হবে। রোবটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংকস), বিগ ডেটার অ্যাডভান্স টেকনোলজিগুলো আমাদের দেশেও ব্যবহার করা হবে। সে স্বপ্ন থেকেই রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গবেষণা শুধু বিজ্ঞান-কেন্দ্রিক হলে হবে না, সেটি নিজের বাস্তব জীবনেও কাজে লাগাতে হবে। আমি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে রোবোটিক্স নিয়ে পড়ার আগে গবেষণা করছিলাম ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ হবে রোবট এবং অটোমেশন-নির্ভর। আজ সে পথে হাটছে বাংলাদেশ। সরকার দেশের প্রত্যেকটা সেক্টরকে স্মার্ট করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
রোবোটিক্স, কন্ট্রোল সিস্টেম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডায়নামিক্স ফারহানের গবেষণার মূল বিষয়। তার কাজ এবং গবেষণার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সকলের কাছে একজন পরিচিত, প্রিয় মুখ। খুব অল্পদিনেই বিদেশী প্রফেসর, গবেষক এবং ছাত্রদের সাথে কাজ করে পরিচিতি লাভ করেছেন এবং সুনাম অর্জন করছেন একজন বাংলাদেশী হিসাবে।
তার মতে, বর্তমান বিশ্বের মানুষ এমন একটি যুগে বসবাস করছে, যেখানে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি যেমন, রোবটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংকস), বিগ ডেটা ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে একটি দেশের যেকোন সেক্টর এগিয়ে যেতে পারবে না। সময়ের সাথে সাথে প্রত্যেকটা সেক্টরকে সবশেষ টেকনোলজির সাথে নিজেদের আপডেট ও আপগ্রেড করে তুলতে হবে।
কথায় কথায় দেশে অ্যাডভান্স টেকনোলজির সম্ভাবনা কথাও তুলে ধরেন তরুণ এই রোবট ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ১৭ কোটি মানুষ বসবাস করছে। বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে ৮ কোটি সম্ভাবনাময় ও মেধাবী তরুণ রয়েছে। সময়ের সাথে সাথে মানুষের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে। এখন সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের হাতেও একটা করে স্মার্টফোন আছে। সবাই কারেন্ট, গ্যাস, পানি বিল নগদে, বিকাশে দিচ্ছে। দিন মজুররাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছে। তাদের সন্তানরা প্রযুক্তির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করছে। তাই, আমাদের দেশে প্রযুক্তি বিকাশের অফুরন্ত সম্ভাবনা আছে।
প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণদের প্রতি তার ভাষ্য, আগামীতে বাংলাদেশ হবে প্রযুক্তির বাণিজ্য কেন্দ্র। আর আমাদের মেধাবী তরুণরা প্রযুক্তি বিশ্বে নেতৃত্ব দিবে। তাই, যারা প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণ-তরুণী আছে তাদের এসব সেক্টরে এগিয়ে আসতে হবে। যদিও দেশে এখনও পর্যন্ত এসব বিষয় নিয়ে পড়ালেখার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে উঠেনি। তেমন ভাল সুযোগ-সুবিধা নাই। দেশে রোবোটিক্সে এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করার মত ভাল মানসম্পন্ন ল্যাব, দক্ষ শিক্ষক নাই। এছাড়া এসব বিষয়ে পড়ার জন্য বাজারে ভাল বই বা গাইডও পাওয়া যায় না। তবে, যারা আগ্রহী তাদের জন্য রয়েছে গুগল, ইউটিউব এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্লগ। এগুলো থেকে নিজেদের কষ্ট করে শিখতে হবে। যোগাযোগ রাখতে হবে বহির্বিশ্বের সাথে, গড়ে তুলতে হবে একটি শক্তিশালী কমিউনিটি।
জাপান বাংলাদেশ রোবোটিক্স ও অ্যাডভান্স টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের পক্ষ থেকে আগ্রহী তরুণদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সংস্থা রোবোটিক্স, ড্রোন, আইওটি, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত এবং দীর্ঘ কোর্স চালু করেছে। যারা অ্যাডভান্স টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী তাদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। আমাদের নতুন নতুন গবেষণা করে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে হবে। বাঙালি হিসেবে আমরা যে মেধাবী, আমরাও যে বিশ্বমানের টেকনোলজি উদ্ভাবন করতে পারি সেটা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে হবে। তবে এসব পড়াশোনা ও রিসার্চের কাজে অনেক টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। এই ধরনের কাজকে এগিয়ে নিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ স্টেইক হোল্ডারদের এগিয়ে আসতে হবে। সবার সম্মিলিত চেষ্টা ও আন্তরিক সহযোগিতা থাকলে আমাদের স্বপ্ন একদিন পূরণ হবে।
ফারহান বলেন, এই সংস্থার মাধ্যমে শুধু তরুণ ও শিক্ষার্থীদের স্বপ্নই দেখাতে চাই না। সেটিকে বাস্তবে রূপ দিতে চাই। ইতিমধ্যে আমাদের টেকনিক্যাল টিম মেম্বার ও আমি আমেরিকা গিয়ে আমাদের কাজকে বিশ্বের খ্যাতনামা প্রফেসর, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। বিদেশি খ্যাতনামা প্রফেসর, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের কাজের প্রশংসা করেছে। তারা বলেছে শত বাধা-বিপত্তির মাঝেও বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই এগিয়ে যাওয়াকে আরও দ্রুততম করতে আমারা কাজ করে যাব।
তিনি বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলে গবেষণা কার্যক্রম, ওয়ার্কশপ ও সেমিনার করে যাব। সেই সঙ্গে আশা করছি, আমরা যদি যথেষ্ট অর্থ আমাদের কর্মকাণ্ড ও গবেষণার জন্য অনুদান পাই তাহলে আমরা দেশবাসীকে উন্নত গবেষণা, মানুষের উপকারে আসে এমন ডিভাইস ও প্রযুক্তি আগামীতে দিতে পারব।
বাংলাদেশর জন্য তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে অনেক বেশি কাজ করতে চান স্বপ্নবাজ এই তরুণ রোবটিক্স গবেষক। এ জন্যই প্রতিনিয়ত নিজেকে আরও দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলছেন। তিনি বাংলাদেশের উপযোগী এমন সব নতুন নতুন রোবট বানাতে চান, যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজে আসবে। মানুষের কাজগুলো যাতে রোবট করতে পারে এমন রোবট বানানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি। তার বানানো প্রযুক্তিগুলোর সঠিক মূল্যায়ন এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তিনি দেশের তরুণদের নিয়ে নাসার মত গবেষণার কাজগুলো করতে চান। সেসাথে বাংলাদেশে একটা উন্নত ল্যাব তৈরি করারও পরিকল্পনা আছে তার, যেখানে তিনি জাপানীদের মত বাংলাদেশি তরুণদের হাতে-কলমে প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবেন। এ জন্য জাপানে থেকেও সব সময় চেষ্টা করছেন বাংলাদেশি তরুণদের পাশে থাকার। তাদের কাজে উৎসাহ দিয়ে মেন্টরিং করছেন।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...