মঙ্গলবার

ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ


অটোমোবাইল

রয়েল এনফিল্ডের গেরিলা মোটরসাইকেল

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, দুপুর ১১:৫২

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

রয়েল এনফিল্ড গেরিলা ৪৫০ মডেল নিয়ে অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে বাইকের ওপর থেকে পর্দা সরাল বিখ্যাত মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

অবশেষে বাজারে এলো রয়েল এনফিল্ডের গেরিলা মোটরসাইকেল। ১৭ জুলাই নতুন এই মোটরবাইক ভারতের বাজারে উন্মুক্ত করা হয়। ৫০০ সিসি সেগমেন্টে জমি শক্ত করতে এই মোটরবাইক বাজারে এনেছে রয়েল এনফিল্ড। এই বাইকে পাবেন দুর্দান্ত সব ফিচার্স। রয়েছে মডার্ন-রেট্রো ডিজাইন।

রয়েল এনফিল্ড গেরিলা ৪৫০ মডেল নিয়ে অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে বাইকের ওপর থেকে পর্দা সরাল বিখ্যাত মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। যা সংস্থার নতুন মডার্ন-রেট্রো বাইক। ৪৫০ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিনের সঙ্গে বাইকে রয়েছে গুগল ম্যাপস এবং ব্লুটুথ ফিচার্স।

এই মোটরসাইকেল তিনটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে- ফ্ল্যাশ, ড্যাস এবং অ্যানালগ। ফ্ল্যাশ ভ্যারিয়েন্টে পাবেন ব্রাভা ব্লু এবং ইয়েলো রিবন পেইন্ট, ড্যাস ভ্যারিয়েন্টে গোল্ড ডিপ এবং প্লায়া ব্ল্যাক পেইন্ট, অ্যানালগ ভ্যারিয়েন্টে স্মোক এবং প্লায়া ব্ল্যাক পেইন্ট।

ভারতে রয়েল এনফিল্ড গেরিলার দাম রাখা হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার রুপি। দামের হিসেবে বেশ চমক দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কেননা, এই দামেই গত বছর লঞ্চ হয়েছে ট্রায়াম্ফ স্পিড ৪০০। যা গেরিলার সবথেকে বড় প্রতিপক্ষ বলে মনে করা হচ্ছে। বাইকটির দাম রয়েল এনফিল্ড হিমালয়ানের থেকেও কম। তবে এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, এটি ইন্ট্রোডাক্টরি প্রাইস। এরপর দাম বাড়তে পারে।

সব মূল্য এক্স-শোরুম। বাইকের বুকিং বা ডেলিভারি কবে থেকে শুরু হবে তা এখনও জানা যায়নি। দামের ক্ষেত্রে বাইকের মূল প্রতিপক্ষ হতে চলেছে দুইটি মডেল ট্রায়াম্ফ স্পিড ৪০০ এবং হিরো ম্যাভরিক ৪৪০।

রয়েল এনফিল্ডের এই বাইকে রয়েছে ৪৫২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার পেট্রোল ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন ৩৯.৫০ হর্সপাওয়ার এবং ৪০ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। এতে পাবেন ৬ স্পিড গিয়ারবক্স।

বাইকটির ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি রয়েছে ১১ লিটার। হার্ডওয়্যার ফিচার্সের ক্ষেত্রে পাবেন টেলিস্কপিক ফর্ক/মনোশক সাসপেনশন এবং দুই চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক। উন্নত ব্রেকিংয়ের জন্য রয়েছে ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস)। বাইকে মিলবে সিয়েট গ্রিপ এক্সএল টায়ার।

মোটরবাইকের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৯ মিলিমিটার এবং কার্ব ওয়েট ১৮৫ কেজি। ফিচার্সের ক্ষেত্রে পাবেন এলইডি লাইটিং, টিএফটি ডিসপ্লে, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, গুগল ম্যাপস এবং রাইডিং মোড। এইসব ফিচার্স বাইকের টপ মডেলে পাবেন। বেস মডেলে রয়েছে অ্যানালগ-ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং ট্রিপার নেভিগেশন।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ১১২ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর