১০ ঘন্টা আগে
১০ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
আলোচিত তিন দিনের মেয়াদে ১৫ জিবি ডাটা দিলে তা গ্রাহকের উপকারে আসে না জানিয়ে এসময় অপারেটরদের মুক্তবাজার ‘গুণগত মানে সর্বনিম্ন’ মূল্যে প্রতিযোগিতার প্রতি আহ্বান জানান মোস্তাফা জব্বার।
‘অতিরিক্ত বা বাড়তি মুনাফা’ করতেই মোবাইল অপারেটরদের ‘মেয়াদের চক্র’ গড়ে তুলেছে অভিযোগ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, এই চক্র ভেঙ্গে দিতে প্রয়োজনে আগামীতে ডাটার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয়া হবে।
রবিবার আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ‘মোবাইলফোন অপারেটরসমূহের ডাটা এবং ডাটা সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ সম্পর্কিত নতুন নির্দেশিকা-২০২৩’ তুলে ধরেন বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ভয়েসের দিন শেষ। সামনে ডেটার সময়। আমার ডেটা আমি ব্যবহার করবো। মেয়াদ বেধে দেয়া জনবান্ধন না। অনেক যুদ্ধ করে আনলিমিটেড প্যাকেজ করেছি। জনবান্ধব না হলে হোঁচট খেতে হবে। ব্যান্ডউইথ কিনে ডেটা বিক্রির মধ্যে কেনো সাম্য নেই। সামাঞ্জস্য করতে চেষ্টা করছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ব্যবসায়ের সীমা আছে। ক্ষুদ্র ও অসংখ্য মেয়াদে বিভ্রান্ত হয় জনগণ। তারা মনে রাখতে পারে না। তিন দিনের মেয়াদ বাদ দেয়ায় মহাভরত অশুদ্ধ হয়নি। কেননা এতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। এটা ইন্ডাস্ট্রির সাবলিল গতি নষ্ট হয়। তিন দিনের পরিবর্তে সাত দিনে বাড়ানোয় ব্যবহারকারী উপকৃত হবে। অপারেটরদের মধ্যে ব্যবহারকারীর ডাটা খেয়ে ফেলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে নীতি-নৈতিকতার মধ্যে দিয়ে ব্যবসা করতে হবে।
আলোচিত তিন দিনের মেয়াদে ১৫ জিবি ডাটা দিলে তা গ্রাহকের উপকারে আসে না জানিয়ে এসময় অপারেটরদের মুক্তবাজার ‘গুণগত মানে সর্বনিম্ন’ মূল্যে প্রতিযোগিতার প্রতি আহ্বান জানান মোস্তাফা জব্বার।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অ্যামটব সভাপতি ও বাংলালিংক সিইও এরিক অস, গ্রামীণফোন সিইও ইয়াসির আজমান, রবি’র চিফ রেগুলেটর অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহেদ আলম এবং টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচলক এ কে এম হাবিবুর রহমান নতুন প্লান নিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, বিটিআরসি’র নতুন নির্দেশিকায় অপারেটর ও গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া হয়েছে এবং টেলিপ্ল্যানগুলোতে গ্রাহকদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসি কর্তৃক নির্ধারিত ৪০টি প্যাকেজের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, প্যাকেজ সংখ্যা ৪০ এর মধ্যে রাখার বিষয়ে কাজ শুরু করেছে টেলিটক।
অ্যামটবের সভাপতি এবং বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলালিংক গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ শাহেদ আলম বলেন, রবি সবসময় গ্রাহককের গুণগত সেবা দেওয়ার পাশাপাশি উদ্ভূত প্রতিটি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গ্রাহকদের সাথে নিয়ে অপারেটরগুলো কাজ করবে উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বিটিআরসির সহায়তা কামনা করেন তিনি।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, বিটিআরসি’র নতুন নির্দেশিকায় অপারেটর ও গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া হয়েছে এবং টেলিপ্ল্যানগুলোতে গ্রাহকদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি কর্তৃক নির্ধারিত ৪০ টি প্যাকেজের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, প্যাকেজ সংখ্যা ৪০ এর মধ্যে রাখার বিষয়ে কাজ শুরু করেছে টেলিটক ।
আইনের দায়িত্ব পালন করতেই ১৪টি সভার মাধ্যমে নতুন ডেটা প্যাকেজ করা হয়েছে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করতেই ব্যবসায়ীরা যেনো নিয়ম মাফিক ব্যবসা করতে পারবে। যারা এখনো তিন দিনের পক্ষে বলছেন তারা না বুঝে বলছেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিটিআরসি ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা তৈরিতে এবং প্রান্তিক জনগণের দোড়গোড়াঁয় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে বিটিআরসি। নতুন ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকার ফলে গ্রাহক ভোগান্তি ছাড়াই তাদের পছন্দ অনুযায়ী ডাটা প্যাকেজ বাছাই করতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অপারেটরগণ নিজেদের স্বার্থেই ডাটার মূল্য কমিয়ে আনবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যেদের মধ্যে লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশল শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনশ বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবীর, স্পেকক্ট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, মহাপরিচালক (লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং) আশীষ কুমার কুন্ডু, সচিব (বিটিআরসি) ও মোবাইল অপারেটরদের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় উঠে এসেছে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১৬ কোটি...