১১ ঘন্টা আগে
১২ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
আমাদের প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষর মতো এফ কমার্স উদ্যোক্তা আছেন। প্রতিদিন একজন উদ্যোক্তা কম করে ১ হাজার ৫০০ টাকার জিনিস বিক্রি করেন। তাহলে সে হিসেবে প্রতিদিন আমাদের ক্ষতি হয়েছে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তাহলে গত ৮ দিনে আমাদের কি পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে সেটা বুঝতেই পারেন।
সারা দেশে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্লাটফর্মে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষর মতো এফ-কমার্স উদ্যোক্তা আছেন। শুধু মোবাইল ইন্টারনেটনির্ভর এই উদ্যোক্তারা গত ৮ দিন ধরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে আছেন চিন্তায়। তাই সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব ফেসবুক চালু করার অনুরোধ করেছেন এফ কমার্স খাতের উদ্যোক্তারা।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতার জেরে ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সেবা বন্ধ করায় দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর পরের দিন ১৮ জুলাই রাত পৌনে নয়টা থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এতে ইন্টারনেট-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুরো দেশই। বিপাকে পড়ে সারা দেশের এফ কমার্স উদ্যোক্তারা।
এ প্রসঙ্গে ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই)-এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশকে বলেন, অনলাইন, ফেসবুক বা এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্লাটফর্মে যারা ব্যবসা করেন, তারা খুবই ছোট উদ্যোক্তা। তাদের ব্যবসার পুঁজি ও মূলধন অল্প পরিমাণের। এখান থেকে যে আয় হয়, সেটি দিয়ে তারা তাদের সংসার চালায়। আর আমাদের এই উদ্যোক্তাদের ব্যবসাটা শুধুই ফেসবুককেন্দ্রিক। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতা হয়। এর ফলে ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সেবা বন্ধ করায় দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর সাথে সাথে আমাদের এফ কমার্স উদ্যোক্তাদের ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এক বা দুইদিন, কিংবা তিন হলে ঠিক আছে। কিন্তু একটা লম্বা সময় ধরে এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমাদের জন্য অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। কারণ আমাদের বেশির ভাগ উদ্যোক্তাই ঢাকার বাইরে থাকেন। সারা দেশের সব অঞ্চলে তো আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ নাই। আর যেসব অঞ্চলে আছে সবাই তো আর ভিপিএন অ্যাপ ব্যবহার করে ফেসবুক চালাতেও জানেন না। এ পরিস্থিতিতে এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
দেশের দায়িত্বশীলদের উদ্দেশে ই-ক্যাবের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, চলমান পরিস্থিতির জন্য এফ কমার্স উদ্যোক্তাদের যা ক্ষতি হওয়ার, তা তো হয়েই গেছে। এখন দায়িত্বশীলদের উদ্দেশে বলবো যত দ্রুত সম্ভব ফেসবুক চালু করে আমাদের ছোট উদ্যোক্তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় সহযোগিতার করার জন্য। আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটা তো আর এতো সহজেই পূরণ করা সম্ভব না। তবে নতুন করে যেনো আর বড় কোনো ক্ষতির মুখে না পড়ি, সে ব্যবস্থা করতে সরকারকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এফ কমার্স উদ্যোক্তাদের গত ৮ দিনের ক্ষতির সম্পর্কে উই-এর প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষর মতো এফ কমার্স উদ্যোক্তা আছেন। প্রতিদিন একজন উদ্যোক্তা কম করে ১ হাজার ৫০০ টাকার জিনিস বিক্রি করেন। তাহলে সে হিসেবে প্রতিদিন আমাদের ক্ষতি হয়েছে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তাহলে গত ৮ দিনে আমাদের কি পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে সেটা বুঝতেই পারেন।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...