মঙ্গলবার

ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ


বিশেষ প্রতিবেদন

অব্যবহৃত মোবাইল ইন্টারনেট ডাটার কী হবে, জানতে চায় গ্রাহক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, সকাল ৯:৫১

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

আমি এই ডাটা টাকা দিয়ে কিনেছি। পরিস্থিতির কারণে বন্ধ হয়েছে। এখানে আমার তো অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা ফিরে পাওয়ার অধিকার আছে। তাহলে আমি কি সেই ডাটা ফিরে পাবো?

কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক নাশকতা ও সহিংসতার মধ্যে বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। আন্দোলন শুরুর আগে কেনা মোবাইলের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটার কী হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। তবে মুঠোফোন গ্রাহকদের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি টেলিকম খাত সংশ্লিষ্টদের।

সারা দেশে বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। মোবাইলে ডাটার অব্যবহৃত থাকার পরও মেয়াদ শেষ হলে তা আর ব্যবহার করা যায় না। যার ফলে মোবাইলে ডাটা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকরা পড়েছেন বিপাকে। বিপুল পরিমাণ অব্যবহৃত ডাটা হারানোর আশঙ্কায় আছেন তারা।

ইয়াসিন হাসান। কাজ করেন একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। পেশাগত কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন কোম্পানির ক্লায়েন্টদের সাথে তাকে মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযাগ করতে হয়। তিনি ১৬ জুলাই এক সপ্তাহের প্যাকেজে মোবাইল ডাটা কিনেছেন। ১৭ জুলাই থেকে সারাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট সেবা। মাত্র একদিন কোনো রকমে মোবাইল ডাটা ব্যবহার করেছেন। ইয়াসিন হাসান টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশকে বলেন, আমি এই ডাটা টাকা দিয়ে কিনেছি। পরিস্থিতির কারণে বন্ধ হয়েছে। এখানে আমার তো অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা ফিরে পাওয়ার অধিকার আছে। তাহলে আমি কি সেই ডাটা ফিরে পাবো?

ইয়াসিন হাসানের মতো এমন আরও অসংখ্য গ্রাহক আছেন যারা একই পরিস্থিতির শিকার।

এই প্রসঙ্গে গ্রাহকদের অধিকার নিয়ে কথা বলা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশকে বলেন, ১৫ বা ১৬ জুলাই যারা এক সপ্তাহের প্যাকেজে মোবাইল ডাটা কিনেছেন, তাদের ইতিমধ্যেই এক সপ্তাহ শেষ। এই গ্রাহকগুলো আশা নিয়ে মোবাইল ডাটা কেনার পর আর ব্যবহার করতে পারলেন না। এই অব্যবহৃত ডাটা গেলো কোথায়? এগুলো তাকে ফেরত দিতে হবে। ইন্টারনেট চালু হওয়ার সাথে সাথে ওই প্যাকেজগুলো গ্রাহকদের জন্য নতুন করে চালু করতে হবে।

তবে, এক্ষেত্রে মোবাইল কোম্পানিগুলো আশার আলো দেখিয়েছে। গ্রামীণ ফোন, রবি ও বাংলালিংকের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, তারা গ্রাহকের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে। এজন্য তারা মোবাইল ইন্টারনেট চালু হওয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাত থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। তবে  বন্ধ হওয়া মোবাইল ইন্টারনেট আবার কবে থেকে সচল হবে, শুক্রবার একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেছেন, সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হলেও এখনও মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। যেসব সঞ্চালন লাইন এবং ডেটা সেন্টার রিপেয়ার করা হয়েছে, ইমপ্যাক্টটা কেমন পড়ছে এবং মোবাইল ইন্টারনেটে প্রেশার যেহেতু আরেকটু বেশি পড়বে সেজন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রবি-সোমবারের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান বিটিআরসির চেয়ারম্যান।

এর আগের দিনও একই রকম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কলেজ এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেটের ফোরজি সেবা সীমিত করা হয়। পরদিন ১৭ জুলাই থেকে সারাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট সেবা। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসির নির্দেশে অপারেটররা এ পদক্ষেপ নেয়।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ১২১ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর