৮ ঘন্টা আগে
৯ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
প্রদর্শিত পণ্যগুলির বেশিরভাগই হস্তশিল্প, খাদ্য, তথ্যপ্রযুক্তি এবং পোশাক। ই-ক্যাব নারী উদ্যোক্তাদের ২টি স্টল ছাড়াও বাংলাদেশ হতে সর্বমোট ১৬টি প্রতিষ্ঠান ৯টি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করেছে।
বিশ্বের ৩২টি দেশের উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সামনে প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে নিজেদের সক্ষমতাকে বিশ্ববাসী কাছে তুলে ধরতে মালয়েশিয়ায় আয়োজন করা হয় মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস ‘মিহাস’ বাণিজ্য প্রদর্শনীর ১৯তম আসর।
১২ সেপ্টেম্বর এমআইটিইসি মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টার কুয়ালালামপুরে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যতম বড় বাণিজ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো’ সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম। আয়োজনটি চলে শুক্রবার পর্যন্ত।
বিশ্বের এই বড় বাণিজ্য প্রদর্শনী মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস-এর এ আয়োজনটি শুধুমাত্র বড় একটি ইভেন্টই নয় বরং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হালাল প্রদর্শনীও। আয়োজনটির মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে নেয়া হয়েছে ‘হালালের পথকে প্রশস্ত করা’। আয়োজনে ১৩টি হালাল ইন্ডাস্ট্রির সাম্প্রতিক প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনগুলি প্রদর্শন করা হয়েছে।
চারদিনের এই আয়োজনে দুটি স্টল নিয়ে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এবং ই-ক্যাব উইমেন ফোরাম (ইডব্লিউএফ)-এর ১৫ জন নারী উদ্যোক্তা। তারা তাদের পণ্য প্রদর্শন করেছেন। প্রদর্শিত পণ্যগুলির বেশিরভাগই হস্তশিল্প, খাদ্য, তথ্যপ্রযুক্তি এবং পোশাক। ই-ক্যাব নারী উদ্যোক্তাদের ২টি স্টল ছাড়াও বাংলাদেশ হতে সর্বমোট ১৬টি প্রতিষ্ঠান ৯টি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করেছে।মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল প্রদর্শনীতে ই-ক্যাব উইমেন ফোরামের সভাপতি নাজনীন নাহারের নেতৃত্বে একটি দল অংশগ্রহণ করছেন। দলে ছিলেন ইডব্লিউএফ মালয়োশিয়া ইভেন্টের সমন্বয়কারী ফারহা মাহমুদ তৃণা, ইডব্লিউএফ-এর সহ-সভাপতি শাম্মী আক্তার ও জারিন মারজান খান। সদস্য হিসাবে ছিলেন শাকিলা আক্তার।
ইডব্লিউএফ-এর সভাপতি নাজনীন নাহার বলেন, এটা মিহাসে ই-ক্যবের প্রথম অংশগ্রহণ। এই অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হলো মালয়োশিয়ায় বাংলাদেশের পণ্যের বাজারজাতকরণ সম্ভাবনা যাচাই এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশের সাথে বিজনেস টু বিজনেস মিটিংয়ের মাধ্যমে দেশী পণ্যের বাজার যাচাই করা। এছাড়াও ই-ক্যাবের পক্ষ হয়ে মালয়োশিয়ার বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করা। আমাদের দেশের নারীদের হাতে তৈরি পণ্য বিশ্বের বহুদেশে সমাদৃত কিন্তু সুযোগ এবং সহযোগিতার অভাবে আমাদের এই পণ্যগুলো বিশ্ববাজারে সেভাবে উপস্থাপিত হয় না। বিশেষ করে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য। তাই এবার ই-ক্যাব উইমেন ফোরাম এই উদ্যোগটি নিয়েছে। চার দিনের এই মেলায় আমাদের স্টলে প্রদর্শিত ২১ টি ভিন্ন ভিন্ন পণ্যের মধ্যে সুপারির খোলের উপর করা হ্যান্ড পেইন্ট, রিকশাসহ রিকশা পেইন্ট, নকশী কাথাঁ, হাতের তৈরি গহনা, হাতের তৈরি আখেঁর চিনি, হাতের তৈরি বালাচাও, জামদানি শাড়ি , জামদানি গহনা ও বিভিন্ন ধরনের শোপিচের প্রতি দর্শনার্থীর আগ্রহ ছিল বেশি। বাংলাদেশে ই-কর্মাস বিজনেসের ব্যাপরেও তাদের আগ্রহ ছিল উল্লেখ করার মত।
ইডব্লিউএফ মালয়োশিয়া ইভেন্টের সমন্বয়কারী ফারহা মাহমুদ তৃণা বলেন, মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল প্রদর্শনীর এই আয়োজনে ইডব্লিউএফ-এর পক্ষ থেকে একজন সমন্বয়কারী হিসেবে অংশ নিতে পেরে আমি গর্বিত। শেখার ও নতুন অভিজ্ঞতার জন্য এটি বেশ চমৎকার এক আয়োজন। মালয়েশিয়ায় মেলা আয়োজনে আমরা আমাদের আগ্রহ প্রকাশে মালয়েশিয়া হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারির সাথে বৈঠক করেছি এবং তাদের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ জানিয়েছি। এই বিটুবি সেশন এবং ইভেন্টগুলির মাধ্যমে আমরা আশাবাদী যে ভবিষ্যতে মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
প্রদর্শনীটি কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ১২ থেকে শুরু হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে। এছাড়াও পুরো ইভেন্টজুড়ে, এই সংস্করণটির একটি ভার্চুয়াল অ্যাক্সেসযোগ্য প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত থেকে ফিজিক্যাল ট্রেড এক্সিবিশনে হাইব্রিড ফরম্যাটে সমন্বয় করা হয়েছিল। মালয়েশিয়া সরকারের বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয় , মালয়েশিয়া এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলাপম্যন্ট কর্পোরেশন এবং হালাল ডেভেলাপম্যন্ট কর্পোরেশনের যৌথ আয়োজনে এবং ডিপার্টম্যান্ট অব ইসলামিক ডেভেলাপম্যন্ট মালয়োশিয়ার সহযোগিতায় আয়োজিত ১৯ তম এই আসরে বিশ্বের মোট ৩৬ টি দেশ ৬২০ স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শনী করছে। পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি চলেছে বিটুবি সেশন, ফ্যাশন শো, সেমিনারসহ বিভন্ন অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশের ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় উঠে এসেছে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১৬ কোটি...