মঙ্গলবার

ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ


টেলিকম

‘ডিজিটাল বৈষম্য স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম অন্তরায়’

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, দুপুর ৪:৫৭

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

২০০৬ সাল থেকে দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসলেও আমরা এই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য লক্ষ্য জনগণের মাঝে তুলে ধরতে পারিনি।

বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ‘ডিজিটাল উদ্ভাবন, টেকসই উন্নয়ন’ স্লোগানে আগামী ১৭ মে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

দিবসটি উপলক্ষে বৃধবার (১৫ মে) গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এক বিবৃতিতে, দেশের সকল গ্রাহক, নাগরিক, টেলিযোগাযোগ খাতে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও টেলিযোগ সেবায় নিয়োজিত সকল সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আই টি ইউ) এর সদস্যপদ লাভ করলেও আজ পর্যন্ত দেশের নাগরিকদের মাঝে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা সম্ভব হয়নি। বরং দিন দিন ডিজিটাল বৈষম্য বাড়ছে। ১৮৬৫ সালে ১৭ মে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার স্মরণে যে বিশ্ব টেলিযোগ দিবস করা হয়েছিল তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির প্রসার এবং সংযুক্তি সকল নাগরিকের তথা বিশ্ববাসীর মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। সেই সাথে ইনফরমেশন সোসাইটির যে লক্ষ্যে ছিল জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ হয়নি।

তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহার জরিপ ২০২৩ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করে মাত্র ৪৩.৬ শতাংশ, স্মার্টফোন ব্যবহার করে ৬৩.৩ শতাংশ, রেডিও ব্যবহারকারী ১৪.৯%, কম্পিউটার ব্যবহারকারী ৮.৯%, এবং সরকারি ল্যান্ডফোন ব্যবহার করে মাত্র ০.৭ শতাংশ নাগরিক। এই জরিপের মাধ্যমেই বোঝা যায় যে দেশের নাগরিকদের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য এখনো বিরাজমান। তবে আমাদের সফলতাও রয়েছে অনেক যেমন, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, দৈনিক প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, প্রান্তিক পর্যায়ে অনলাইন সেবা, ভূমি থেকে শুরু করে সরকারি সকল সেবা অনলাইনে যুক্ত করা, দেশের ১৭ টি প্রতিষ্ঠানের হ্যান্ডসেট সংযুক্তি করাসহ আরো অনেক সফলতায় রয়েছে।

সংগঠনটির সভাপতি বলেন, এতকিছুর পরেও আমরা বলব বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও ইনফরমেশন সোসাইটি দিবস সার্থক ও সাফল্যমন্ডিত করতে হলে দেশের নাগরিকদের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে সরকারকে বৃহৎ কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে উচ্চ কর হার টেলিযোগাযোগের প্রধান অন্তরায় বলে আমরা মনে করি। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাইলে উচ্চ কর হার পরিহার করে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে হবে।

মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ২০০৬ সাল থেকে দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসলেও আমরা এই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য লক্ষ্য জনগণের মাঝে তুলে ধরতে পারিনি। দিবসটি উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে ইন্টারনেটের উপর কর প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে ১৭ মে শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্লেকার্ড সাথে নিয়ে ওসমানী মিলনায়তনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। আমাদের দাবির মধ্যে অন্যতম ইন্টারনেটের ওপর কর প্রত্যাহার করতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহারে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ইন্টারনেটের নিরাপত্তা চাই, নিরবিচ্ছিন্ন মানসম্পন্ন ইন্টারনেট চাই, সবার জন্য সাধ্যের মধ্যে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন চাই।
 

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ২১৩ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর