মঙ্গলবার

ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ


বিশেষ প্রতিবেদন

‘দেশের আইটি সেক্টরের হারানো ভাবমূর্তি ফেরাতে করতে হবে তিন কাজ’

প্রকাশ: ৩ আগস্ট ২০২৪, বিকাল ৫:০৩

উজ্জ্বল এ গমেজ

Card image

ছবি: সংগৃহীত

 সব মোবাইল অপারেটর, আইআইজিসহ সবাইকে বলে দিতে হবে যে, শুধু  ডাটা সেন্টার থাকলেই হবে না। দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাকআপ ডাটা সেন্টার তৈরি করতে হবে। তাহলে মূল ডাটা সেন্টার থেকে কোন ধরনের সমস্যা হলে  যাতে সাথে সাথে ওই ব্যাকআপ ডাটা সেন্টার থেকে সেবাগুলো চালু হয়ে যায়।

দেশের আইটি সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর প্রতি বিদেশি ক্লায়েন্টদের হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে সারা দেশে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন আইটি খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বিদেশি ক্লায়েন্টরা কথায় নয়, তারা কাজে বিশ্বাসী। তাই, আইটি সেক্টরে বাংলাদেশের  হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে যত দ্রুত সম্ভব পরিকল্পনা করে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট চালু রাখতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ফলে ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সেবা বন্ধ করায় দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর পরের দিন ১৮ জুলাই রাত পৌনে নয়টা থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এতে ইন্টারনেট-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুরো দেশই। এতে বিপাকে পড়েন দেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রির সফটওয়্যার, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়ীসহ ফ্রিল্যান্সাররা। টানা পাঁচদিন কোনরকম যোগাযোগ করতে না পারায় বাংলাদেশের আইটি ব্যবসায়ীদের উপর আস্থা হারায় বিদেশি ক্লায়েন্টরা। এতে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বাংলাদেশের আইটি সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর।

>> আরও পড়ুন: ইন্টারনেট শাটডাউন: সমাধানে আইটি ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের ভাবনা

>>আরও পড়ুন: ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ইন্টারনেট হলো মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো’

>>আরও পড়ুন: ‘ডাটা সেন্টার সুরক্ষায় কাজ করতে হবে সম্মিলিতভাবে’

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, চলমান পরিস্থিতির জন্য দেশে আইটি ইন্ডাস্ট্রির যে ক্ষতি হয়েছে, তা দীর্ঘমেয়াদী।এর জন্য বিদেশি ক্লায়েন্টরা বাংলাদেশের উপর আস্থা ও নির্ভরতা হারিয়ে ফেলেছে। এতে বাংলাদেশের যে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে, সেটি ফিরিয়ে আনতে আমাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।  

এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই উপদেষ্টা ও বেসিসের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশকে বলেন, এক্ষেত্রে তিনটি জিনিস করা যেতে পারে। যেমন, যেসব আইটি কোম্পানি দেশের বাইরের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করে বা আইটি প্রোডাক্টের এক্সপোর্টের কাজ করে তাদেরকে ভি-সেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। কেননা, আজকাল অনেক পোর্টেবল ভি-সেট পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সাথে যুক্ত করে এই ভি-সেট তারা ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের আইটি কোম্পানির যখন এই সংযোগ থাকবে, তখন বিদেশি ক্লায়েন্টরা তাদের কাজের জন্য আমাদের উপর ভরসা পাবেন। তারা এটা নিশ্চিত হবেন যে, এখন থেকে যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ সময়ে ইন্টানেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও ভি-সেটের সংযোগ সচল থাকবে। এর ফলে ধীরে ধীরে আমাদের কোম্পানিগুলোর উপরেও তাদের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে।

>>আরও পড়ুন: অব্যবহৃত মোবাইল ইন্টারনেট ডাটার কী হবে, জানতে চায় গ্রাহক

>>আরও পড়ুন: ‘টানা তিনদিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধে ১৫ দিনের বিল মওকুফ’

বেসিসের এই সাবেক সভাপতি বলেন,  দ্বিতীয় যে বিষয়টি করা যেতে পারে সেটি হলো এমন, সব মোবাইল অপারেটর, আইআইজিসহ সবাইকে বলে দিতে হবে যে, শুধু  ডাটা সেন্টার থাকলেই হবে না। দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাকআপ ডাটা সেন্টার তৈরি করতে হবে। তাহলে মূল ডাটা সেন্টার থেকে কোন ধরনের সমস্যা হলে  যাতে সাথে সাথে ওই ব্যাকআপ ডাটা সেন্টার থেকে সেবাগুলো চালু হয়ে যায়। এই কাজটি করার জন্য পরিকল্পনা করে তাদের একটা সময় দেওয়া যেতে পারে। যাতে  মোবাইল অপারেটর, আইআইজি কোম্পানিগুলো সেগুলো তৈরি করে নিতে পারে।

এফবিসিসিআইয়ের এই  উপদেষ্টা বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার আগে থেকেই আমাদের আইটি প্রোডাক্টের এক্সপোর্ট একটু একটু করে কমে যাচ্ছিল। এর কারণ ছিল  আমরা ইন্ডাস্ট্রি উপযোগী করে স্কিলড হিউম্যান রিসোর্স তৈরি করতে পারছিলাম না। যারা আইটিতে কাজ করছিল তারা আগের টেকনোলজিতেই কাজ করে যাচ্ছিল, নতুন টেকনোলজিতে আমরা সেরকম আইটি রিসোর্স তৈরি করতে পারিনি। তাই আমাদের কোয়ালিটিফুল কাজগুলো কমে যাচ্ছিল। দুর্যোগপূর্ণ সময়ে আমাদের যে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে, এ সময়ে আমরা যদি জরুরিভিত্তিতে একটা পদক্ষেপ নিয়ে আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন টেকনোলজিতে কয়েক হাজার স্কিলড জনবল তৈরি করে ফেলতে পারি, তখন আমরা বিদেশি ক্লায়েন্টদের বলতে পারবো, দেখেন আমাদের এখানে এতো হাজার ব্লকচেইন ইঞ্জিনিয়ার, এতো হাজার ডাটা এনালাইটিক্স ইঞ্জিনিয়ার, এতো হাজার এআই ইঞ্জিনিয়ার আছে। এ পরিকল্পনা বস্তবায়ন করা হলে আমাদের দেশের প্রতি বিদেশি ক্লায়েন্টদের ভরসা বাড়বে। আমি মনে করি, এই তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিলে আমাদের হারানো ভাবমূর্তিটা দ্রুত ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।

>>আরও পড়ুন: ৫ দিন ইন্টারনেট বন্ধে ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষতি প্রায় ১শ’ ২০ কোটি টাকা

>>আরও পড়ুন: ডিজিটাল কমার্সে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি

বেসিসের পরিচালক ও  অ্যাডভান্সড ইআরপি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশকে বলেন, দেখুন দেশে যেকোনো কারণে বা যেকোনো পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট বন্ধ হতে পারে। কিন্তু ওই জটিল পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল মন্ত্রী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। এতে সবার মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছে। এটা না দিয়ে সুর্দিষ্টভাবে বলতে হবে বর্তমানে দেশের ইন্টারনেটের অবস্থা এই। এ পরিস্থিতিতে আমাদের যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে তা মোকাবেলা করার জন্য এই ব্যাকআপ সুবিধা রয়েছে। এরপরও যদি কোন অসুবিধা হয়, তাহলে বিকল্প আছে আরেকটি। আমাদের  এধরনের একটা পরিষ্কার বক্তব্য লাগবে। এবং এই বক্তব্য নিয়ে যারা আমাদের বিদেশি ক্লায়েন্ট আছে, তাদের কাছে নিয়মিত প্রচার করতে হবে এবং সাধ্য মতো বোঝাতে হবে। সেসাথে আমাদের দেশের যেসব বিদেশি দূতাবাসগুলো রয়েছে, সেগুলোর অ্যাম্বাসেডরদেরকে ডেকে বলতে হবে এই হলো আমাদের সরকারের বক্তব্য, এই হলো আমাদের দেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রির ইন্টারনেট নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি।

বেসিসের এই পরিচালক বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কোনো পরিস্থতি হবে না। এখন থেকে  ইন্টারনেট নিয়ে আর কোনো টেনশন করার কারণ নেই। ইন্টারনেট নিয়ে বিভিন্ন দেশে সমস্যা হয়, আর হতেই পারে। আমাদের দেশে ভবিষ্যতে যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে সে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা এখন সক্ষম আছি।

তিনি বলেন, এভাবে যদি সরকারের বক্তব্য নিয়ে দূতাবাস, ক্লায়েন্ট এবং জাতীয় মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা যায়, তাহলে আমি মনে করি, তথ্য প্রমাণ দেখে বিদেশি ক্লায়েন্টরা আমাদের দেশের আইটি কোম্পানির উপর থেকে যে আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল, তা ধীরে ধীরে ফিরে আসবে। আর এভাবেই দেশের হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আর এটি ফিরিয়ে আনতে হলে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতার বিশেষভাবে প্রয়োজন। 

>>আরও পড়ুন: আইটি ইন্ডাস্ট্রির দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় যে পরামর্শ দিলেন শামীম আহসান

>>আরও পড়ুন: প্রতিদিন এফ-কমার্স উদ্যোক্তাদের ক্ষতি হয়েছে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা: নাসিমা আক্তার নিশা

বেসিসের সাবেক পরিচালক ও বেস্ট বিজনেস বন্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উত্তম কুমার পাল টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশকে বলেন, বিদেশি ক্লায়েন্টরা মুখের কথায় বিশ্বাস করেন না। বিশ্বাস করেন কাজে। তাই আমাদের দেশের যে পরিস্থিতির কারণেই তাদের বিশ্বাস বা আস্থা কমে গেছে সেটা ফিরিয়ে আনতে আমাদের আইটি ইন্ডাস্ট্রির জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবারহ নিশ্চিত করতে আমাদের অবকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে হবে। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যকোনো কারণে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে, সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হতে পারে, কিন্তু আমরা যারা আইটি বিজিনেস করি আমাদের ব্যবসার যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়, সেজন্য দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য ব্যাকআপ ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা রাখতে হবে। একটা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে যাতে আরেক সংযোগ কাজ করে।

বেসিসের সাবেক এই পরিচালক বলেন, দেশের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবারহ নিশ্চিত করতে অবকাঠামো তৈরি করে যদি বিদেশি ক্লায়েন্টদের প্রমাণসহ বলতে পারেন যে, এখন থেকে আমাদের আর ইন্টারনেটের সমস্যা হবে না। আমরা আপনাদের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন সার্ভিস দিতে প্রস্তুত। তাহলে হয়তো বিদেশিরা আমাদের উপর হারানো আস্থা ফিরে পেতে পারে। এছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নাই। এভাবে ধীরে ধীরে দুর্যোগপূর্ণ সময়ে আমাদের যে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে  সেটা ফিরে আসতে পারে।

>>আরও পড়ুন: একাডেমি ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যকার দূরত্বের কারণে তৈরি হচ্ছে না চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ মানবসম্পদ

রেইস আইটি সল্যুশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম রাশেদুল মাজিদ টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশকে বলেন, বেদেশি ক্লায়েন্টদের কাছে আমাদের দেশের যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, সেটি ফিরিয়ে আনতে হলে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতার প্রয়োজন। সেসাথে আমাদের আইটি ইন্ডাস্ট্রির ট্রেডবডি হিসেবে বেসিসকে সরকারের পক্ষ হতে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা যারা বিদেশি কোম্পানির সাথে আইটি পণ্যের ব্যবসা করি, তাদের পুরো ব্যবসটা নির্ভর করে ইন্টারনেটের উপর।এই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। আগামীতে যেকোনো পরিস্থিতিতে যাতে দেশের ইন্টারনেট আর বন্ধ না হয়, সেটি সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করতে হবে। সেসাথে ব্যাখ্যা দিতে হবে আমরা কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসছি, কতটুকু ব্যাকআপ তৈরি করতে পেরেছি, আর কোনো সময় এভাবে সারা দেশের ইন্টারনেট বন্ধ হবে না। এখন আমরা আগের মতো কোয়ালিটিফুল সার্ভিস দিতে প্রস্তুত। বিষয়গুলো সরকারি ও বেসরকারিভাবে বেসিসের পক্ষ থেকে জায়তীয় মিডিয়াসহ আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন মেলা, সেমিনারের আয়োজন করে সেগুলো প্রচার করতে হবে। যত বেশি করে আমাদের সক্ষমতা ও ইন্টারনেট বন্ধ না হওয়ার নিশ্চয়তার কথা প্রচার করা হবে ক্লায়েন্টরা তত দ্রুত আমাদের উপরে তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবে।

কে এ এম রাশেদুল মাজিদ বলেন, এছাড়াও বেসিসের পক্ষ থেকে শুধু আইটি ইন্ডাস্ট্রির সদস্যদের জন্য একটা আলাদা করে স্বায়ত্তশাসিত ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যাতে দেশের যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে সারা দেশের ইন্টারনেট বন্ধ হলেও এই ইন্টারনেট লাইন দিয়ে আইটি ব্যবসায়ীরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। আর এটা ফলাও করে বিদেশি ক্লায়েন্টদের জানাতে হবে। বেশি বেশি করে প্রচার করতে হবে। যদিও এটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কাজ। তবে চেষ্টা করলে এটা করা সম্ভব। এভাবে বিদেশি ক্লায়েন্টদের কাছে ইন্টারনেট বন্ধ না হওয়ার বিষয়টা প্রচার করলে আস্তে আস্তে আমাদের উপর তাদের হারানো বিশ্বাস ফিরে আসতে শুরু করবে। তখন আইটি ইন্ডাস্ট্রি ফিরে পাবে তার হারানো ভাবমূর্তি।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৩৯৩ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর