৮ ঘন্টা আগে
৮ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চায়ের সঠিক তথ্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে ইনোভেশন কর্মপরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক ‘টি সফট: স্মার্ট টি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম' নামে সফটওয়্যার ও অ্যাপ উদ্ভাবন করা হয়েছে।
দেশের চা শিল্পের চোরাচালান রোধ, রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত এবং সঠিক তথ্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্ভাবিত ‘টি সফট’ নামে একটি সফটওয়্যার ও মোবাইল অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সফটওয়্যার ও অ্যাপটি উন্মুক্ত করা হয়। এর ফলে সমতলের চা শিল্পে এক নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সফটওয়্যার ও অ্যাপটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম।
এ সফটওয়্যার ও মোবাইল অ্যাপটির উদ্ভাবক বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চায়ের সঠিক তথ্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে ইনোভেশন কর্মপরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক ‘টি সফট: স্মার্ট টি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম' নামে সফটওয়্যার ও অ্যাপ উদ্ভাবন করা হয়েছে। সফটওয়্যারটির মাধ্যমে পঞ্চগড়ে চা বাগান ও চাষিদের কাঁচাপাতা বিক্রি, কারখানা কর্তৃক চাষিদের কাছ থেকে কাঁচা পাতা কেনা, কারখানায় তৈরি চা ফরম ক যথাযথ পূরণ করে ভ্যাট অফিসে জমা দেওয়া, স্থানীয় ভ্যাট অফিস কর্তৃক চালান ফরম অনুমোদন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউনিক কিউআরকোড ও বারকোড সমৃদ্ধ ডেসপাস চালান সংগ্রহ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কিউআরকোড ও বারকোডের সঠিকতা যাচাই, নির্ধারিত পরিবহনে ডেসপাস করা চা সংশ্লিষ্ট ওয়্যারহাউজে পাঠানো, ওয়্যারহাউজ কর্তৃক ওই চা প্রাপ্যতা নিশ্চিকরণ করা সম্ভব হবে। এতে যেমন চা চোরাচালান রোধ হবে, তেমনি সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত হবে।
সফটওয়্যারটির ওয়েব ভার্সন www.teasoft.com.bd এবং মোবাইল অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন গুগল প্লেস্টোরে পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সরকারের যুগ্মসচিব ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এসএম. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রিয়াজ উদ্দিন, বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব মোহাম্মাদ রুহুল আমীন, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন, বাংলাদেশ চা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (বাণিজ্য) মুহাম্মদ মদহুল কবীর চৌধুরী, পঞ্চগড় চা বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন, রেবনাল গ্লোবাল লিমিটেডের সিইও মো. সাইদুর রহমানসহ বাংলাদেশ চা বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা,স্মল টি গার্ডেন অ্যান্ড টি ট্রেডার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ বটলিফ টি ফ্যাক্টরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ, ক্ষুদ্র চা চাষি সমবায় সমিতির প্রতিনিধি, ব্রোকার হাউজ ও ওয়্যারহাউজ মালিক, চা ব্যবসায়ীরায।
বাংলাদেশের ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় উঠে এসেছে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১৬ কোটি...