১২ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
১৬ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (নিক্স)-এর মাধমে ইন্টারনেট প্রোটোকল ব্লক অ্যাসাইনের মাধ্যমে শুধুমাত্র আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুব সহজে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট দেওয়া সম্ভব।
দেশের চলমান পরিস্থিতির জেরে আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বড় যে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে সেটি হলো-বিদেশি ক্লায়েন্টদের কাছে ইমেজ হারানো। ভবিষ্যতে যাতে আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেজন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইকুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব)-এর সভাপতি ও বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ফলে ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সেবা বন্ধ করায় দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর পরের দিন ১৮ জুলাই রাত পৌনে নয়টা থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এতে ইন্টারনেট-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুরো দেশই। এতে বিপাকে পড়েন দেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রির ই-কমার্স, এফ-কমার্স, কুরিয়ার লজিস্টিক সাপোর্ট প্রতিষ্ঠান, সফটওয়্যার, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়ীসহ ফ্রিল্যান্সাররা।
আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে ভষ্যিতে যখন আাবরও এ ধরনের জটিল পরিস্থিতি আসবে, তখন কি করলে ওই পরিস্থিতিতে বিদেশি ক্লায়েন্ট সাথের কাজ করা যাবে, বিকল্প কোনো উপায় আছে কি না, জানতে চাইলে বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশকে বলেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইকুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) ও বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিএফডিএস)-এর সদস্য প্রতিষ্ঠান এবং ফ্রিল্যান্সারদের সরকারের দেওয়া আইডি কার্ড নম্বর ধরে আইএসপি ও আইআইজির কাছ থেকে আলাদাভাবে ইন্টারনেট প্রোটোকলের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
বেসিসের সাবেক এই নেতা বলেন, যৌথভাবে বেসিস, বাক্কো, ই-ক্যাব, ভিসিপিয়াব ও বিএফডিএস-এর সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিজ নিজ সদস্য প্রতিষ্ঠানের এই দায়িত্ব নিতে হবে যে, ভবিষ্যতে দেশের এরকম কোনো দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সদস্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ইন্টারনেটের কোনো প্রকার অপব্যবহার করতে পারবে না। যেমন, ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো বা কোনো ধরনের নাশকতামূলক কাজের সাথে জড়াবে না। এই জন্য প্রয়োজনে বেসিসের নেতৃত্বে বাক্কো, ই-ক্যাব, ভিসিপিয়াব ও বিএফডিএস-এর নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটা মনিটরিং সেল গঠন করা যেতে পারে। এই সেল সদস্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ইন্টারনেটের অপব্যবহারের বিষয়গুলো নিয়মিত মনিটরিং করবে। এই এভাবে আইটি ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ সংগঠনের পক্ষ থেকে যদি সরকারকে আশ্বস্ত করা যায়, তাহলে আমি মনে করি, আইটি ইন্ডাস্ট্রির জন্য আলাদা করে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা সম্ভব হতে পারে।
শামীম আহসান নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়ে একটা সল্যুশনও দিয়েছেন। তিনি বলেন, নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (নিক্স)-এর মাধমে ইন্টারনেট প্রোটোকল ব্লক অ্যাসাইনের মাধ্যমে শুধুমাত্র আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুব সহজে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট দেওয়া সম্ভব।
ভিসিপিয়াব-এর সভাপতি বলেন, তবে আমাদের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির যে ক্ষতিটা হয়েছে, তা দীর্ঘমেয়াদী। এবারের আঘাতই আমাদের ৫ বিলিয়ন ডলারের স্বপ্নটা ভেঙে গেছে। ভবিষ্যতে দেশে এমন পরিস্থিতি যদি আবার হয় তাহলে, আমাদের এক বিলিয়ন ডালারের ইন্ডাস্ট্রি ১০০ মিলিয়নে চলে আসবে। কেননা, চলমান পরিস্থিতির জন্য আমাদের বিদেশি ক্লায়েন্টরা বাংলাদেশের উপর আস্থা ও ভরসা হারিয়ে ফেলেছে। আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সেটি হলো- বিদেশি ক্লায়েন্টদের কাছে বাংলাদেশের ইমেজ হারানো। যদিও ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ফোরজি ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে, কাজের ক্ষেত্রে আগের মতো গতি পাওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই বড় ক্লায়েন্টরা চলে গেছে। আর ইন্টারনেটের এমন অবস্থা থাকলে আস্তে আস্তে ছোটখাটো ক্লায়েন্টগুলোও চলে যাবে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের মতো দেশেও কিন্তু যুদ্ধের মধ্যে ইন্টারনেট চালু রেখে তাদের ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে আউটসোর্সিয়ের কাজ চালিয়ে নিয়েছে। সেখানকার আইটি কোম্পানিগুলো কাজ করে যাচ্ছে। আমাদেরও এখানে সেটা করা যেতে পারতো। তাহলে আমাদের বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছে ইমেজটা নষ্ট হতো না। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশকে এখন আর প্রমিজিং ডেস্টিনেশন হিসেবে গণ্য না করে রিস্কি ডেসটিনেশন হিসেবে গণ্য করা হবে।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...