৯ ঘন্টা আগে
৯ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীজনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অ্যাপসহ খারাপ কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদেরকে ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতন বাড়াতে প্রাথমিক স্তর থেকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা অপরিহায।তিনি বলেন ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে ডিজিটাল হতে হবে, একই সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় কাওরান বাজারে সফটওয়্যার পার্কের সম্মেলন কক্ষে ইউনিসেফ আয়োজিত বাংলাদেশে শিশুদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিশুরা কিভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের মনে রাখতে হবে শিশুদের কাছে আমরা কী কন্টেন্ট দিচ্ছি? শিশু উপযোগী কন্টেন্ট আমরা ইন্টারনেটে রাখিই না। শিশু পছন্দ করে এমন কন্টেন্ট দরকার।তিনি বলেন শিশুদের জ্ঞানার্জনের পদ্ধতির সাথে আমাদের বিদ্যমান পদ্ধতিটি বিপরীত মুখী। সরকারের এখনকার চেষ্টা হচ্ছে শিশুসহ নাগরিকদের খারাপ কন্টেন্ট থেকে রক্ষা করা।আবার খারাপ কন্টেন্টগুলোর উৎপত্তি স্থল কিন্তু বাংলাদেশ নয়। সে জন্য এটি একটি বড়চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য।আরো একটি বড় বিষয় হচ্ছে,যারা কন্টেন্টগুলো দুনিয়া ব্যাপী ছড়াচ্ছেন তারা তাদের নিজেদের স্ট্যান্ডার্টে চলেন, আমাদের স্ট্যান্ডার্টে চলেন না। তবে এক্ষেত্রে ও সাম্প্রতিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। আমাদের দেশের আইন পরিপন্থি অনেক বিষয়ের প্রতিতারা সম্মান দেখাতে সম্মত হয়েছে। এটা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের একটি বড় সফলতা। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিশেষ করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত দশ বছর আগে ও ছিল মাত্র ৮ লাখ । বর্তমানে তা প্রায় ৯ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এটা ও সরকারের বিশাল এক অর্জন।তিনি বলেন, ইন্টারনেট থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে অভিভাবকদেরকে ও সচেতন হতে হবে। অভিভাকদেরকে ও নিরাপদ ব্যবহারের দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। প্যারেন্টাইল গাইডনামেইন্টারনেটের একটা অপশন আছে যা প্রয়োগের মাধ্যমে খারাপ কন্টেন্ট থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখা যায় বলে মন্ত্রী জানান।
তথ্য বাডাটা নিরাপদ রাখা বর্তমান ডিজিটাল বিপ্লবের যুগে আরো একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, এই বিষয়ে ও নজর দেওয়া হবে। ইতোধ্যে কন্টেন্ট ফিল্টারিং করার সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগামী মার্চে এ প্রযুক্তি চালু করা সম্ভব। এটি চালু হলে পর্নোসহ বিপদগামী অনেক সাইট বন্ধ করে শিশুদের রক্ষা করতে পারব।
মন্ত্রী ৫ জিকে আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বলেন, আগামী দুই বছর পর প্রযুক্তি দুনিয়া এক বিস্ময়কর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে। ৫জির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার পাশাপাশি এখন থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশের ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় উঠে এসেছে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১৬ কোটি...