ছবি: সংগৃহীত
২০১৯ সালে এই মামলা শুরু হয়, যখন লারন্ডা রাসমুসেন নামের এক নারী কর্মী জানতে পারেন, তার পদে থাকা ছয়জন পুরুষ সহকর্মী তার তুলনায় অনেক বেশি বেতন পাচ্ছেন। তার মধ্যে এমন একজন পুরুষ ছিলেন, যার অভিজ্ঞতা রাসমুসেনের চেয়ে কম হলেও তিনি বছরে ২০ হাজার ডলার বেশি আয় করতেন। এই বৈষম্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর রাসমুসেন ডিজনির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন।
বিশ্বখ্যাত বিনোদন প্রতিষ্ঠান ওয়াল্ট ডিজনি ক্যালিফোর্নিয়ার নারী কর্মীদের করা বেতন বৈষম্যের মামলায় ৪৩.৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়েছে। সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলাটির বাদীপক্ষের আইনজীবীরা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে এই মামলা শুরু হয়, যখন লারন্ডা রাসমুসেন নামের এক নারী কর্মী জানতে পারেন, তার পদে থাকা ছয়জন পুরুষ সহকর্মী তার তুলনায় অনেক বেশি বেতন পাচ্ছেন। তার মধ্যে এমন একজন পুরুষ ছিলেন, যার অভিজ্ঞতা রাসমুসেনের চেয়ে কম হলেও তিনি বছরে ২০ হাজার ডলার বেশি আয় করতেন। এই বৈষম্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর রাসমুসেন ডিজনির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন।
জানা গেছে, এই মামলায় প্রায় ৯,০০০ বর্তমান এবং প্রাক্তন নারী কর্মী অংশ নেন, যাদের অভিযোগ ছিল একই ধরনের। যদিও ডিজনি এই ক্লাস অ্যাকশন মামলা থামানোর চেষ্টা করেছিল, ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
সমঝোতার অংশ হিসেবে, ডিজনি আগামী তিন বছরের জন্য একজন শ্রম অর্থনীতিবিদ নিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই বিশেষজ্ঞ ক্যালিফোর্নিয়ার ফুলটাইম, নন-ইউনিয়ন কর্মচারীদের (ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের নিচে) বেতনের সাম্যতা বিশ্লেষণ করবেন এবং যদি কোনো বৈষম্য পাওয়া যায়, তা সমাধানে কাজ করবেন।
আইনজীবী লরি অ্যান্ড্রুস বলেন, “এই মামলাটি করার সাহস দেখানো নারী কর্মীরা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। তারা তাদের ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে ফেলে ডিজনির মতো বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন এবং ন্যায়বিচারের জন্য লড়েছেন।”
ডিজনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা সবসময় আমাদের কর্মচারীদের ন্যায্য বেতন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই মামলাটি সমাধানে আমরা সন্তুষ্ট এবং আমরা বিশ্বাস করি, এটি আমাদের কর্মক্ষেত্রকে আরও ন্যায্য এবং স্বচ্ছ করে তুলবে।”
ডিজনির মানবসম্পদ বিভাগের তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতিবিদ ডেভিড নিউমার্ক দেখিয়েছেন, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিজনির নারী কর্মীরা তাদের পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় গড়ে ২ শতাংশ কম বেতন পেয়েছেন। এই তথ্যই মামলাটিকে আরও শক্তিশালী ভিত্তি দেয়।
যদিও সমঝোতার মাধ্যমে মামলাটি সমাধানের পথে রয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতের অনুমোদন এখনো বাকি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সমঝোতা কেবল ডিজনির অভ্যন্তরীণ সংস্কারেই ভূমিকা রাখবে না, বরং অন্যান্য বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। সূত্র: রয়টার্স
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...