বুধবার

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ


খবর

নাগরিকবান্ধব ভূমি প্রশাসন নিশ্চিতে ল্যান্ড সার্ভিস গেইটওয়ে চালু করতে চায় সরকার

প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০২৫, দুপুর ১২:০০

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

ই-মিউটেশন পদ্ধতিগতভাবে বিচারিক প্রক্রিয়ার সাথে সংযুক্ত হওয়ার পাশাপাশি এতে একাধিক সংস্থা ও দপ্তর সংস্থার সংশ্লিষ্টতা থাকায় সেবাটির পদ্ধতিগত সহজিকরণ এবং ই-নথি ব্যবস্থা সহজীকরণে আরো পর্যাপ্ত পাইলটিং প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। 

সরকার নাগরিকবান্ধব ভূমি প্রশাসন নিশ্চিত করতে ডিজিটাল সেবাকে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে। পূর্বে এলডি ট্যাক্স, ই-মিউটেশন, ই-পর্চা এবং ই-খতিয়ান সেবাসমূহ ভিন্ন ভিন্ন সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পরিচালিত হতো, ফলে সেবাগ্রহীতাকে একাধিক ধাপে যেতে হতো। এসব সমস্যার সমাধানে 'ল্যান্ড সার্ভিস গেটওয়ে' নামে একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যেখানে উল্লেখিত চারটি সেবা আন্তঃসংযুক্তভাবে প্রদান করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের জরুরি নির্দেশনা অনুসারে, ভূমি ডিজিটাইজেশনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেয়ার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ঢাকা জেলার ১৯টি ভূমি সার্কেলে ই-মিউটেশনের উন্নততর ভার্শন এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য সফটওয়্যারের পাইলটিং শুরু হয়েছে। তথ‍্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নেতৃত্বে এছাড়াও চার ধরনের ভূমিসেবা অনলাইনে নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। সেবাগুলো হচ্ছে- এলডি ট্যাক্স (সারাদেশে), ই-মিউটেশন (পাইলট ফেইজ, ঢাকার ১৯টি সার্কেল), ই-পর্চা (সারাদেশে), ই-খতিয়ান এবং মৌজা ম্যাপ (সারাদেশে)। এলডি ট্যাক্স সেবাটি সারা দেশে উন্মুক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ভূমিরাজস্ব আদায় সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার অফিস সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।

সূত্রমতে, ই-মিউটেশন পদ্ধতিগতভাবে বিচারিক প্রক্রিয়ার সাথে সংযুক্ত হওয়ার পাশাপাশি এতে একাধিক সংস্থা ও দপ্তর সংস্থার সংশ্লিষ্টতা থাকায় সেবাটির পদ্ধতিগত সহজিকরণ এবং ই-নথি ব্যবস্থা সহজীকরণে আরো পর্যাপ্ত পাইলটিং প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা নিজে এবং তার দপ্তর, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ভূমি সেবার ট্রান্সফর্মেশনে যৌথভাবে কাজ করছেন।

এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে জানাগেছে, ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশনের পরবর্তী পর্যায়ে বেসরকারি উদ্যোক্তা এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা করা হবে। এর মাধ্যমে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে অনলাইন ভূমি সেবাগুলোকে উদ্যোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশের আদালতগুলোতে মোট মামলা এবং অপরাধের প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি ভূমির মালিকানা, দখল, বেদখল, অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর কেন্দ্রিক। এমতাবস্থায় সরকার ভূমি সেবাগুলোকে যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে সহজে ব্যবহারযোগ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে উন্মুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নাগরিক ভোগান্তি কমাতে বিচ্ছিন্নভাবে আলাদা আলাদা সফটওয়্যার সিস্টেমে ডিজিটাল ভূমি সেবা না দিয়ে সরকার এলডি ট্যাক্স, ই-মিউটেশন, ই-পর্চা/ই-খতিয়ানসহ চারটি সেবাকে আন্তঃসংযুক্ত করে একটি আধুনিক 'ল্যান্ড সার্ভিস গেইটওয়ে' চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সেবাগুলোর জন্য আলাদা রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন হবে না। এই সিঙ্গেল সার্ভিস গেইটওয়ে সারাদেশের সব ভূমি সার্কেলের উন্মুক্ত করা গেলে নাগরিকদের আরো সহজে ভূমি সেবা দেয়া সম্ভব হবে। 
 

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৬৪ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর