শনিবার

ঢাকা, ১৫ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ


টেলিকম

ফিক্সড ব্রডব্যান্ডে মোবাইল অপারেটরদের কাজের সুযোগ দিতে চান না আইএসপিএ চট্টগ্রাম শাখা

প্রকাশ: ৮ মার্চ ২০২৫, দুপুর ৩:১৪

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

ফাইবার অপটিকের মাধ্যমে যারা ফিক্সড ব্রডন্ডব্যান্ড সেবা দেন তাদের মধ্যে মোবাইল অপারেটররা এলে দেশের ২২০০ আইএসপি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা দুই লাখ কর্মসংস্থান হারাবো। এই সেবার সঙ্গে দেশের ১০ লাখ পরিবারের রুটি-রুজি জড়িত। এটা হুমকির মুখে পড়া আমরা কখনোই মানবো না। 

ফিক্সড ব্রডব্যান্ডে মোবাইল অপারেটরদের প্রবেশাধিকার দিতে ব্রডব্যান্ড আইএসপি লাইসেন্সিং নীতিমালায় কোনো ধরনের পরিবর্তন না আনার দাবিতে মানব বন্ধন করেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম শাখা।

শনিবার (৮ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এই মানবন্ধনে  শতাধিক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন।

মানব বন্ধনে অংশ নিয়ে আইএসপিএবি চট্টগ্রাম শাখার আহ্বায়ক শাহরিয়ার রুবেন্স রাজিব দাবি তুলে ধরে বলেন, ফাইবার অপটিকের মাধ্যমে যারা ফিক্সড ব্রডন্ডব্যান্ড সেবা দেন তাদের মধ্যে মোবাইল অপারেটররা এলে দেশের ২২০০ আইএসপি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা দুই লাখ কর্মসংস্থান হারাবো। এই সেবার সঙ্গে দেশের ১০ লাখ পরিবারের রুটি-রুজি জড়িত। এটা হুমকির মুখে পড়া আমরা কখনোই মানবো না।  

মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় বিনিয়োগ ও প্রতিযোগিতার স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি’র কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরেছেন ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা। দাবিগুলো হলো- ফ্রিক্সড ব্রডব্রান্ড লাইসেন্স শুধুমাত্র দেশীয় ব্রডব্যান্ড আইএসপিদের জন্য সংরক্ষিত রাখা, মোবাইল অপারেটরদের শুধুমাত্র তাদের নির্ধারিত লাইসেন্সের অধীনে কাজ করতে বাধ্য করা এবং বর্তমান আইএসপি নীতি অপরিবর্তিত রেখে নতুন ফি বা কাঠামো অপরিবর্তিত রাখা।

শাহরিয়ার রুবেন্স ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি চট্টগ্রামের যুগ্ম আহ্বায়ক নিয়াজ মোর্শেদ, সদস্য সচিব ফারহান ফুয়াদ ও স্থানীয় আইএসপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিটিআরসি থেকে ইউনিফায়েড লাইসেন্স দেয়ার মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারন্ট সেবা দেওয়ার যে পায়তারা চলছে তাতে ইন্টারনেট সেবা খাত ধ্বংসের মুখে ফেলবে। এ কারণেই বিটিআরসি’র এ ধরনের লাইসেন্সিং সংস্কার কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। কেননা এটা করা হলে প্রযুক্তি গত ও নীতিগত বৈষম্য সৃষ্টি করবে। স্থিতিশীল ও নির্ভরযোগ্য সেবা থেকে গ্রাহকরা বঞ্চিত হবে। মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ইন্টারনেট লাইসেন্স দেওয়া হলে তাহলে তারা বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে। বেনিয়া মোবাইল অপারেটরদের একচেটিয়া সুবিধা দেওয়া হবে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার হবে।  

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৫৪ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর