২০ ঘন্টা আগে
২১ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
বছরে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটে সবগুলো অপারেটরের মোট আয় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এনটিটিএন এর পেছনে তাদের খরচ দশমিক ৫ শতাংশ। এই হিসেবে তিন এনটিটিএন এর আয় ৬০০ কোটি টাকা। ৬০০ কোটি টাকা ৩৬ হাজার কোটি টাকার কত শতাংশ? ব্রডব্যান্ডে এই সুযোগটা দেওয়া হলে এই টাকাটা পুরোটাই দেশে থাকবে।
গত ৮ মাসে দেশে ১৭ শতাংশ দাম কমিয়েছে মোবাইল অপারেটররা। তারপরও বিগত সময়ে গ্রাহক বাড়লেও ডেটার ব্যবহার বাড়েনি। তাই দামের চেয়ে মান এবং কন্টেন্টে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান এমটব মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার।
তবে টেলিকম ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা মামুন হোসেন বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের আয় কম নয়। গ্রামীনফোনের টেলিনর এবং রবির ফাদার কোম্পানি আজিয়েটার আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখলে তাদের ৭০ শতাংশের মতো ইবিআইটি দেখেছি। তারা উভয় হয় করছে। বছরে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটে সবগুলো অপারেটরের মোট আয় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এনটিটিএন এর পেছনে তাদের খরচ দশমিক ৫ শতাংশ। এই হিসেবে তিন এনটিটিএন এর আয় ৬০০ কোটি টাকা। ৬০০ কোটি টাকা ৩৬ হাজার কোটি টাকার কত শতাংশ? ব্রডব্যান্ডে এই সুযোগটা দেওয়া হলে এই টাকাটা পুরোটাই দেশে থাকবে।
আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক করিম ভূঁইয়া মনে করেন, ফাইবার মাটির নিচে গেলে প্রতিমানে ১০০ কোটি টাকা বাঁচবে। ধানমন্ডিতে এ কাজে সফল হয়েছে আইএসপিএবি। তবে এখনো এই প্রকল্প বিকাশের অনুমোদন হয়নি।
কমন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে ট্রান্সমিশন খরচ কমবে বলে মনে করেন ফাইবার অ্যাট হোম ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনুল হোসেন। এজন্য শক্তিশালী অংশীদারিত্ব কমানা করেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে পেশাজীবী সংগঠন টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশের (টিআরএনবি) আয়োজনে দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয় নিয়ে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা। এ সময় ইন্টারনেটের দাম এবং মান গ্রাহকের সাধ্যের মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
রবির কোম্পানি সেক্রেটারি ও চীফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, দেশে ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের হার ৬.৩ শতাশ। তাই ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের মার্কেটে আইএসপিগুলোকে আরো বড় করতে পারি তাহলে এই খাতে আরো বিনিয়োগ আসবে। যদি এই মার্কেটে ইনসেনটিভ দেওয়া যায় তাহলে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড খাতে অনেক বেশি বিনিয়োগ আনা সম্ভব।
বাংলালিংকের চীফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, তরঙ্গের উচ্চমূল্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিদেশে মোবাইল, ব্রডব্যান্ড এসবের জন্য আলাদা আলাদা বিল দেয় না গ্রাহকেরা। এজন্য বাংলাদেশেও আমরা সবাই একসাথে কিভাবে এই কাজটি করতে পারি।
তিনি বলেন, এখন আইএসপিসহ সবাই মিলে কাজ করলে গুণগত মানসম্পন্ন সেবা দেওয়া সম্ভব। টেলিটকের এজিএম সাইফুর রহমান খান, নেটওয়াক বাড়াতে পারলে আমরা আরো ভালো সেবা দিতে পারবো।
মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আইএসপিএবি'র সাবেক...