৪৬ মিনিট আগে
ছবি: সংগৃহীত
২০২৯ সালের মধ্যেই মানব অবতরণ সম্ভব হতে পারে। তবে প্রাথমিক মিশন সফল হলে ২০৩১ সালের দিকেই এটি বাস্তবে রূপ নিতে পারে।
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক ঘোষণা করেছেন যে ২০২৬ সালের শেষের দিকে স্টারশিপ মহাকাশযান মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। এই ঐতিহাসিক অভিযানে সঙ্গে থাকবে টেসলার হিউম্যানয়েড রোবট ‘অপ্টিমাস’, যা ভবিষ্যতে মঙ্গলে মানব বসতির সহায়তা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাস্ক শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তার এই ঘোষণার ফলে মহাকাশ গবেষণা ও আন্তগ্রহ অভিযানের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। স্পেসএক্স দীর্ঘদিন ধরে মঙ্গলে মানব বসতি স্থাপনের স্বপ্ন দেখছে, আর ‘অপ্টিমাস’ রোবট এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
মাস্ক আরও উল্লেখ করেছেন যে, ২০২৯ সালের মধ্যেই মানব অবতরণ সম্ভব হতে পারে। তবে প্রাথমিক মিশন সফল হলে ২০৩১ সালের দিকেই এটি বাস্তবে রূপ নিতে পারে।
তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, টেসলার অপ্টিমাস রোবট ২০২৪ সালের মধ্যেই কারখানায় কাজ করার উপযোগী হয়ে উঠবে। এই রোবট ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টারশিপ বর্তমানে স্পেসএক্সের সবচেয়ে উন্নত রকেট প্রযুক্তি, যা মহাকাশে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর আগে, ২০২৪ সালের ৬ মার্চ টেক্সাসের বোকা চিকায় স্টারশিপের অষ্টম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়, যা ভবিষ্যতের অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, সাম্প্রতিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় আসায় নাসার চন্দ্রাভিযানের তুলনায় মঙ্গল অভিযানের গুরুত্ব আরও বাড়তে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারি সংস্থাগুলোর সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর পক্ষে থাকবে, যা স্পেসএক্সের জন্য এক বড় সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। সূত্র: রয়টার্স
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...